
ধীমান ব্রহ্মচারী
শিরোনামহীন
১.
স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে কাহিনির পর কাহিনি, যন্ত্রণা চাপা বুকে জমেছে
দুঃস্বপ্নের প্রলেপ। আমরা ভালো আছি, নিস্তেজ মোহ আর আবেগঘন
মায়া মেখে প্রতিদিন ভোরের সূর্যোদয় দেখেনি বাড়ির শ্যাওলা ধরা
ছাদ থেকে, সময় থেকে সময়ন্তর নিষিদ্ধ গান যেভাবে আমাদের
মায়াবী রাতের নেশা জাগিয়ে মিলিয়ে যেন জং ধরা লোহার দরজায়
সেই দরজায় এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে যেন নিঃশব্দে
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল ময়না তদন্তের রিপোর্ট
রক্তমাখা মাটি সবটুকু শুষে নিয়েছে লোভের বশে,
এখন রাত দখলের লড়াই শেষে আমরা মাটি খুঁড়ছি বারুদের আশায়..
২.
শীতলপাটি বিছিয়ে দিয়েছে শহীদ মিনারের পাদদেশে
সন্ত্রাস চালিয়ে যে আততায়ী গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল
বুকের পাঁজর, সেই পাঁজরের আর্তনাদ শুনেছিল চারের দশকের
আমাদের পূর্বপুরুষ —
আমরা মাটি আঁকড়ে নিংড়ে নিয়েছি আমাদের ঔরস
জ্বলন্ত চিতায় পুড়িয়ে ফেলছি ইতিহাসের দলিল
এখন শুধুই মাটি ঘোলা জলে পাথর হাতড়ে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে হাত
শবের জৌলুস বাড়ছে সুগন্ধি আতরে…