অরণ্যা সরকারের কবিতা
বিজ্ঞাপন
হারিয়ে যাবার সময় পরনে ছিল মানুষ রঙের টিশার্ট ও আকাশ ছেঁড়া জিন্স।
বিজ্ঞাপন বলেছে।
পাখি ও বাতাস বলেছে ‘খোঁজ খোঁজ’।
ট্রাফিক সিগন্যাল লাল সবুজ তথ্যের সাথে একটা হুইসেল ফ্রি দিয়েছে।
জনগণ বলছে, ‘নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি বেড়ে যাচ্ছে’।
উড়নচণ্ডী মেঘটা আসবে বলেছিল। এলো,
প্রতিবারই কিছু পুনর্বাসন রেখে গেলো।
দ্যাখো পিঁড়ি পেতে রেখেছি।
পিঁড়ির উপর এখন একজন অন্ধতা বসে আছে।
নিজেকে নামিয়ে রেখে কতকাল দেখছি
সেও বলছে না কিছুই।
অট্টহাসিতে আলো ভেঙে দিচ্ছে সব কটি গোয়েন্দা দপ্তর
জানা হচ্ছে না ঠিক কে হারিয়ে গেল ?
দ্যাখো দ্যাখো, কেমন বাড়ি ফিরছে ছাতিমগন্ধ।
রবিবার
হৈ হৈ করতে করতে তারারা ফাংশান দেখে এল।
ভরাট কালো সুরে সে কী তামাটে লিরিক
জমে ওঠা ষ্টেজ, শূন্যের সুপার পারফর্মেন্স
বইতে বইতে রাস্তাকে সাকিন দেবার কথা ভাবলো
ফিরে এসে ওরা বিদ্রোহ খুলে রাখলো
ফটফটে জন্মদিনগুলো বিছিয়ে বসলো
কথাবার্তা হল তল্লাস ও চিরুনি বিষয়ক
কথার উনুনে জলন্ত ফুলদানি বলে গেল
গানের ঘাম থেকেই সব নদীর জন্ম হয়
এরপরও বলো, এরপরও…
মনোময় মল্লিক
সাজুগুজু করে খেলতে যায় মন
কাজলে পাউডারে ম ম বিকেলের মাঠ
ফুল ও বুলেটের মাখামাখি দেখেও
সে নির্লিপ্ত, খেলতে যায়।
দ্বন্দ্ব টপকাতে না পারা পাড়াগুলো
লাফের ট্রেনিং নেয়, ইঙ্গিত দেয়।
সে আড়চোখে দেখে, বলতে চায়
‘পুরোটা এসো না’
ঝকঝকে গন্ধগুলো বাতি জ্বালিয়ে অন্ধকার দেখে।
সে না বলায় মাদুর বিছায়।
তাকে ঘিরে ধরে গরম গুড়ের মত ফুটন্ত পৃথিবী,
শিকারজীবন, ডারউইন, ও গোছানো উচ্চারণ।
‘কেন মন দিলে না মনে? কেন দেহ এমন মহাশূন্যের ভাণ্ডার?’
ফিসফিস করে বলে কেউ। ডিসেম্বর চেপে বসে।
বিশৃঙ্খলার তাপ নিতে নিতেই
পিঠে বেঁধে উপভোগের কাঠকুটো
উঠে দাঁড়ায়, খুলে দাঁড়ায়
মনোময় মল্লিক এবং অগণন কাটাছেঁড়া—-