
তরুণ কবির কবিতা: তিতাস চট্টোপাধ্যায়
প্রিয়তমা
সে ঘর গেছে ভেঙে
সে বাড়ি আধোচেনা
সে মাটি জুড়ে আজ
স্মৃতির আস্তানা।
সে মাঠ পার করে
প্রথম প্রবেশিকা
প্রশ্নে সুমনামি
‘বিবর্ণ বেঁচে থাকা’
কোয়ার্ডে একদল
গানেতে মশগুল
স্লোগানে, তর্কে,
শপথে, দিনবদল।
প্লেটেতে চাউমিন
পনেরো টাকা দর।
প্রমোদ ক্যান্টিনে
প্রতিবাদের ঘর।
আলোরা নিবে এলে
সন্ধে হয় হয়
রাজার বাতি জ্বলে
এখন বাড়িটায়।
লাভার্স লেন জুড়ে
পাতারা শুয়ে আছে
প্রবীণ চেনা গাছ
উপড়ে নিয়ে গেছে।
এ ঘর গেছে ভেঙে
এ বাড়ি আধোচেনা
এ নামে আজ শুধু
অতীত, প্রিয়তমা।
স্মৃতিকোষ
স্মৃতিকোষ তবু উত্তাপ নিয়ে বাঁচে,
নিবু নিবু প্রেম ছাই চাপা পড়ে আঁচে
মাস পেরোলেই বসন্ত রঙ, তুমি
এ মাস তোমার প্রেমের জন্মভূমি।
অ্যাভিনিউ জুড়ে পায়চারি, পথ চলা,
একার গোধূলি, একার সন্ধেবেলা,
ভেঙে গেছে প্রেম, ভুল করে বেমালুম,
রাত নামে ঘরে, ঘুম নেই তবু ঘুম।
সাধ হয়
অস্তাচলে সূর্য গেলে
অন্ধকারে ডুব।
পঞ্চবটী, দিগন্তরেখা
নিঝুম নিশ্চুপ।
ভাগীরথী দেখেছিল
মারি রোগ,
কতকাল আগে।
হালিশহরের পারে প্রসাদকুটীরে,
‘কালী নামে দাও রে বেড়া…’
তীরে ভাসে কাঠামোর খড়।
নদী হওয়া সহজাত নয়,
তবু কেন নদী হতে সাধ হয়!
ভিতরমহল…
ভিতরমহল উপচে পড়ে
ভিতরমহল বাঁচে
ভিতরমহল পসরা জমায়
আগুন-ছেঁচা আঁচে।
ভিতরমহল আড্ডা কুড়োয়,
ভিতরমহল কাঁদে
ভিতরমহল একলা রাতে
প্রহর গোনে ছাদে।
ভিতরমহল নকশি বোনে
ভিতরমহল তাঁতি
ভিতরমহল আবছা শোনে
প্রেমটি আত্মঘাতী।
ভিতরমহল আবেগ জমা
ভিতরমহল খাক,
ভিতরমহল বন্ধ হল,
দুঃখ আমারই থাক।
কবিতাগুলি পড়লাম। মন্দ নয়। তবে ছন্দ নিয়ে একটু ভাবলে সুবিধা হয়।
আরো পরিণত ভাবনার কবিতা পড়তে চাই ভবিষ্যতে।
আরও*