
কুণাল সিংহ
লাল আলো
এই সব শূন্যতা এক জায়গায়
জড়ো করলে দারুণ ভরাট লাগে
আমরা সব যুদ্ধের সন্তান! অথচ অদ্ভুত
জানিনা কোথায় যুদ্ধ!
রক্ত চুঁইয়ে যায় বিনিদ্র ধাতুর শব্দে
অন্ধকার রজস্বলা ক্ষয়াটে পাথর
দেয়ালে এঁকেছে কাঠকয়লা মুখ
সে কোন প্রেমিক
যুদ্ধসুরঙ্গে কান পাতো অস্ত্রের গা বেয়ে
কবেকার ভালবেসে প্রতিশোধ
চকচকে ধার চুঁইয়ে নেমে আসে অনেক নীচে
নেমে যাচ্ছে অনেক নীচে এক অতলান্ত ঊরুধ্বনি
ডমরু না,দামামা সে শুধু মহাকালই জানে
আমি শুধু ভেসে যেতে পারি
পাথর মুঠোয় ধরে হাওয়ার পালকে
তারপর একদিন অবশ্যই দেখা হবে
শিরাউপশিরা কানাগলি পেরিয়ে
বস্তুত একটাই পথ
পথিকের পথ্য অনুসারে পাথেয়র রূপ নেয় পথ
এক নক্ষত্র থেকে প্রতিবেশি নক্ষত্রের
আলোকবর্ষ দূরপথ হৃদয়ের মাঝে
জোনাকির মারণ আলো
বাঘের চোখের তারা হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে
যুযুধান মধ্যরাতে অন্ধকার ভালবেসে চুক্তিবদ্ধ আমি; শ্বেতপায়রা পালক খোঁপায় বেঁধেছ।
একী কোন শান্তি চুক্তি! অন্ধকারে
ফোঁটাফোটা চিনচিনে রক্ত চোঁয়ায়
বস্তুত, একটাই পথ
আলোকবর্ষ হেঁটে পার হয়ে যায় যুদ্ধের সন্তান
বুদ্ধের সন্তান
আমরা সব সন্তান অসুখের
খেলার ছলে জন্ম নিয়েছি। অন্ধকারে।
জন্ম দেব বলে আলোকশিখার মত জাগিয়ে রেখেছি
জাগিয়ে রেখেছ স্বপ্নের আকাশে
মধ্যরাতে এক আকাশ থেকে
আর এক আকাশে ছুটে যাওয়া তীব্র লাল আলো!
ভোর হওয়ার আগে ফিসফিসিয়ে কে যেন বলে গেল,
প্রত্যেকের মধ্যে একটা প্যালেস্টাইন জেগে আছে!