দুটি কবিতা শ্যামশ্রী রায় কর্মকার
গ্রাফিটি
অপ্রচলিতের রঙে স্নান সেরে উঠে
দিনমণি নিজে হাতে
একে একে জ্বালালেন যত নির্বাপিত
বোঝালেন, অশ্রু এক প্রণম্য দাহক
যত হাঁটো বিপরীতে, যত গাঁথো বিরোধ-আভাস
পায়ের তলায় আছে অতর্কিত
শান্ত ছদ্মবেশী
কখন সে সরে যাবে
এ তার প্রাচীন খেলা, গূঢ়
বুকের উপরে তার একটি সোনার হাত
খড়ি দিয়ে আঁকছে ইতিহাস
কালের নিজের হাতে আঁকা
এই বিচিত্র গ্রাফিটি
নশ্বরতা কেটে যাবে
প্রলেপে মুছতে পারবে না
না
যারা মুখগহ্বরে, উন্মাদ অন্ধকারে, ছিল
সদ্যজাগরণচিহ্ন মুছে
উচ্চারণে উচ্চারণে ছিঁড়ে দিলো জমি আর ছাদ
হাতবঁটি, ভাঙা কুলো, বাসন মাজার স্ক্রাব,
মেনোপজ, ফুলঝাড়ু, সদ্যন্যাপকিন
লিপস্টিক, গোলটিপ, ঘামতেলে জাত যাওয়া দিন
সীমানা পেরিয়ে অস্ত্র ছুড়ে দিল যে-ই
তাদের দিকেই
হ্যাঁ হ্যাঁ তাদের দিকেই
নিষেধছুরির ফলা ছুটে গেছে এত কাল
ঘন কালো পুঞ্জিভূত আক্রোশ গর্জন
করেছে মাথার ‘পর
অপেক্ষার তলা থেকে বুকে হেঁটে বেরিয়েছে তারা
ক’ হাজার বছরের অপেক্ষার তলা থেকে
জিভে পেরেকের ক্ষত, হাতে পায়ে ক্ষত-আলপনা
তুমি তাকে আর কোনও
অপেক্ষার ভয় দেখিও না