
শিবালোক দাস-এর কবিতা
রক্ত ও জলোচ্ছ্বাস ( বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় স্মরণে)
কেবল একটু অস্পষ্টতার ভেতর উচ্ছাস
আমাকে মনে করায় চাপ চাপ রক্তের দাগ।
সত্যি বলতে আমি হাতের পাঞ্জায় মেলে ধরা
ভুল আগুনে ফেলে দিইনা।
আকাশ ছুঁয়ে তারাই বৃষ্টি নামায় পরে।
নখ উঠে আসে, মাতৃস্নেহের উপর দাঁড়িয়ে
আমি আমার নিজের লেখা খুঁজে নিই।
জলোচ্ছ্বাস, তুমি চাইলে নিজেকে ধরে
রাখতে পারো চাঁদে, তবু, তুমি ধরে রাখো
প্রতিটি রাস্তায়, পড়ে থাকা বাঁকে, জঞ্জালে,
ধুলোয়, কোলাহলে, নীরব বিষে !
তুমি আমাকে ভাসাও, আমি রক্ত সন্ধ্যার
দিকে ঘুরে ছুঁড়ে দেব একটি ধারালো ফুঁ।
রক্ত চলকে উঠছে।
আমি জলোচ্ছ্বাস সরিয়ে বুকের ভেতর
ফাটিয়ে ফেলি রাস্তা…
আমাকে কেউ ভালোবাসলে আমি কোনোদিন
অশরীরী হইনা, বরং শুকিয়ে যাওয়া চোখে
ভোরের মতো ছুঁয়ে যাই।
তবে নিষিদ্ধ নামকরণে আমি কোনো কথা
রাখিনা, রাখি কঠিন হাত, রক্তমাখা,
বোতামবিহীন হৃদয়, যার মধ্যে ফুরিয়ে আসে দিন।
আমাকে মনে করায় চাপ চাপ রক্তের দাগ। ভাসাও রক্ত সন্ধ্যার দিকে….তবু তুমি ধরে রাখো প্রতিটি রাস্তায়..নীরব বিষে..রাখি হাত বোতামহীন হৃদয়ে।
সেই সময়ের আপোষহীন কবি এখনও আমাদের সময়কে বুঝিয়ে দেয় বুকে হাত রাখে তার কবিতা ।এখনো।তার লড়াই একাকী।
শিবালোক এক তরুন,সততায় , মননে উঠে এসেছে সেই বিধ্বস্ত অথচ বিধ্বংসী প্রতিবাদের প্রতি দায়ভার।
কমেন্ট তো করেছি।কিন্তু published তো হয়নি।