
দেবার্ঘ্য সাহা-র কবিতাগুচ্ছ
মুগ্ধতা ঘিরে ধরে
তোমাকে বলেছি, দূরে দূরে থাকা ভাল
বেশি কাছে এলে হিমবাহ গলে যায়
মুগ্ধতা চিরে জেগে ওঠা উত্তাপে
কখনও সখনও বিদ্যুৎ চমকায়
উষ্ণ আবহে আদিমের সন্ধানে
জ্বলে ওঠে এই বনচারী দেহমন
একথা জেনেই দূরত্ব পুষে রাখি
যদিও বিরহে তোমাকেই প্রয়োজন
শৈত্য প্রবাহ থামেনি এ মহাদেশে
একা হেঁটে যাই মরে আসা রোদ্দুরে
সান্ধ্য ডানার কুহকে তোমাকে দেখে
গোপনে আবার মুগ্ধতা ঘিরে ধরে
সন্ত্রাস
যে কথা বলিনি, সে কথা বলতে গিয়ে
কথার পাহাড়ে জড়ো হওয়া মেঘ দেখি
আগামী ক্ষতের অমানিশা বুকে নিয়ে
শব্দদানব শৃঙ্খলে বেঁধে রাখি
যে কথা বলিনি, সে কথা বলার আগে
মনে পড়ে যায় অতীতের কারুভাষ
কথার গভীরে মুষল প্রোথিত ছিল
বুঝিনি আড়ালে অশনির উল্লাস
যে কথা বলিনি আলোচিত পরবাসে
শব্দদানব সে কথা লিখেছে দ্রোহে
কথার পাহাড়ে মৌনতা ফুটে ছিল
শব্দদানব ডুবে ছিল নির্মোহে
শৃঙ্খল ভেঙে ফুরিয়েছে পরবাস
যে কথা বলব, সে কথাই সন্ত্রাস…
শয্যা
দ্যাখো হাসি মুখে সমূহ বিপর্যয়
বলো চোখ বুজে শান্তি অহর্নিশ
উপশমে নাও গঙ্গার সংযম
বুঝেছে সবাই রাজনীতি বন্ধুর
অস্ত্র নামাও অন্ধের সৈনিক
স্মৃতি মর্মর ভীষ্মের শয্যা
ক্ষুধাসূচকের গুরুতর ইঙ্গিত
কল্পিত সব সীমাহীন সংহার
ধর্মের কোলে নিষ্প্রাণ সন্তান
উৎসবে দ্যাখো আলোকিত কঙ্কাল
অন্তিমে দানে অর্জন শূন্য
বিষিয়ে যাচ্ছে তরুণের স্পর্ধা