
শাম্ব-র কবিতাগুচ্ছ
ভ্রম
১
নেপথ্যে চলেছ মানে অন্ধ-কল জেগেছে কোথাও?
বিমর্ষ করাত এলে তোমাদের কাছে যাব ভাবি।
রোগীর গলার কাছে কাদামাটি, মুণ্ডের আশ্রম
ফেলে আসবার মতো ফলকে দাঁড়াব সারারাত!
তোমাকে চেনাব তারা, এ পাঁজর যে বৃহন্নলার…
কোমরের মাংস খেয়ে তুমি পাবে কীর্তনের স্বাদ!
এমন বিষম খাও, ঢোক গেলো, গ্রামান্তরে ফেরো
এখানেই পর্ব-ভ্রম, মহাদেশ, মনস্তত্ববীদ
চেটেপুটে খেয়ে ফেলে হরবোলা জমানো শরীর।
অজ্ঞাতে পেতেছি ফাঁদ। ভোর হয় শ্রমিক-বন্ধুর,
ষাঁড়ের প্রভূত্বে জমা অ্যালিবাই হেমন্তকালের—
২
পোশাক শনাক্ত করা পশুর স্মৃতিতে মহাদেশ—
বারান্দায় অভাবের ভোরবেলা, শয়তানের সেবা…
হিস্যার বদলে তুমি আলজিব প্রশস্ত করেছ,
এতেই শিখেছি রোজ ভাঙাভাঙা ভাষা ব্যবহার।
উঠেছে অপেরা থেকে সদাশয় মচকানো ঘাড়ে!
অঙ্কে এতো স্পষ্ট নও, যতোটুকু জানালার ধারে,
অপচয়, গানচক্র ভাঙা ইতিউতি, কখনো সন্ধ্যায়…
বৃন্দগান মুখে নিয়ে দাঁত ফোটানোর মতো দেখা!
ইচ্ছাপত্রে হেঁটে আসে কালো বেড়ালের রুপকার।
গেরিলা জলার পাড়ে ভেসে ওঠে শ্রেষ্ঠ কবিতারা।
ক্যামোফ্লাজ
১
অত্যন্ত চেনা একটা তথ্যসূত্রের
গন্ধ ও ঝাকুনি উঠছে ট্রেনের ভেতর।
মাথা খসানোর মতো এই আলোড়ন,
কামেচ্ছা, জানালার পাশে নোয়ানো চিবুক—
প্রতিবারই বিকল্প আলো নেভা পশুর খন্ডচিত্র
গায়ে আমি দেখে নিচ্ছি ওপারের সমস্ত
বিপদ-প্রতিমা।
অনাবৃষ্টির মতো বারান্দায়
নেশা পুঁতে রাখবার মতো নাবালক নই বটে,
তবুও দেখেছি কিছু জলরঙের সন্ধেবেলা!
মাটিতে ছড়ানো মুড়ি খুঁটে খাচ্ছে
সন্দেহজনক ট্রেনের শিশুটি
২
পাখির গায়ের কাছে জমা
জরুরি বিভাগের কাজ।
নিরিবিলি বশ্যতার কাছে
শুধু যে মাস্তুল ফেরাব তাই নয়,
লোক-লৌকিকতা ভুলে ফি বৎসর
জানালার কাছে নষ্ট মুদ্রার খুন
যেহুতু তোমার কাছে স্পষ্ট নই ততো,
নাটকের ক্লাসে মনে পরে আর একটি শরীর।
পাঁজামার গিঁট থেকে ছক্কা-পুট খুলে নিতে নিতে
ধারালো চামড়া গলে পিচ রাস্তা, শরীরের কার্পণ্য
এমনকি জরতাও নেপথ্যে চলেছে
শুধু কি প্রকাশ্যে মৃগয়া মাথায় দুষ্টু ছেলেকে
ভুলিয়ে রেখেছ একা, দুপুর বেলায়।
৩
সাপ ও গিরগিটির সাপ্তাহিক সম্পর্ক থেকে
বুঝে নিতে হবে দিনের গরন।
নিরিবিলি ঢালের উপরে ক্যামোফ্লাজ,
এক-একটি শরীর নিরুপায়।
সন্ত্রাসের বিধিবদ্ধ খোঁজ,
সূর্যস্ত মোবাইল ক্যামেরায়—
নিরাপদ ঢালে দাঁড়ালেই,
যেমন বুদ্ধিজীবী মতান্তর ঘটে,
সেভাবেই হামাগুড়ি ঠেলে মঞ্চের সামনে
চলে আসছে মিছিল ও মিডিয়া।
নেপথ্যে খেলাচ্ছলে কাঁচা মূর্তির বুক
কামড়ে হালকা করে দিচ্ছে শিশু আর
সিংহ-শাবক।
নাটকের নাম লেখা ‘গণেশ জননী’