
সোনালী ঘোষ-এর গুচ্ছ কবিতা
দাহক্ষেত্র
১
কেনো সে বাঁশি ওঠে বেজে
মথুরা নগরে? অধিপতি যে আজ ও ঘুমের ভেতর
মিলনের ঋতু শোনায়,
তুমি নেই তাই আমাদের ঋণ বাড়েনা কখনও
যে বোঝার সে বুঝে নেয়, সামনে শিখী
বর্ষা খুব দূরে নয়, বঁধুয়া তুমি মেঘ হও
আমি শ্যামাঙ্গী নদী,
২
বর্ম ছিড়ে গেলে,মাথায় চকোর কাটে
শকুনি লোভ
মাংস, মদ আর প্রবল মিথুন।
ক্রমশ হারিয়ে নাব্য
জেগে ওঠে বিপুল চর
আর মৃত্যু লেখে আশনাই।
দ্যাখ দমন পীড়ন যত ভুলেছে ইষ্টনাম,
তবু অমর চায়
এ কাটা মুন্ড ধর,
ডাকি তাকে ‘আয়, জন্তু,
কত জন্ম খেলি বল
করে বধ দুরূহ বিদ্যা’
৩.
অগোচরে বাড়ে দৃশ্য, তখন অচ্ছুত আঁধারও শ্রী
এষণা প্রবল মন জানে সব।
নিদ্রা পেরিয়ে গেলে মওকা বুঝে
নিষিদ্ধফল সহযোগে মোহ… হৃদয় এড়িয়ে যায় কত কীট
গত শীতে যারা করেছিল পাঠ বাৎসয়ন,বৃথা গেছে জানি, ধক ছিলনা সে সবদিনে তাই জন্ম প্রক্রিয়া সকল উলু দেয়।
কল্পবৃক্ষেও বায়সের ডাক। মহড়ায় ইতরজন।
৪
অনন্ত উড়িয়া গেলে হাহাকার তার বিপরীতে বাজে।
সময়! সে তো বহুদূর বিস্তৃত তাকে একাকারে মিশিয়ে দিলে
তীব্র দহন যায় উবে, হে গহন জল তোমায় ধারণ করি কোথায়
শৃঙ্গার আজ পড়ে আছে, শরীরের অনাচ কানাচ বড় ভার, তবে কি পিতৃদোষ এত দূর যাকে তর্পণ করি সব বৃথা যায়
৫
ব্যথার আদল মুছে দিলে
কী থাকে পরে?
ভ্রমের ফোয়ারা যত
শান্তি পাঠ করে ছেটায় আগুন
আর রন্ধ্রে ঢুকে য়ায়
প্রলাপ যত
নিভৃতে পুড়ছে দ্যাখ সারল্য আমার
খেলা হয়ে গেছে শেষ,
দাহক্ষেত্রে ফুল কি ফুটবে আর?