
সব্যসাচী মজুমদার-এর তিনটি কবিতা
অপূর্ব সূর্যের মতো
অপূর্ব সূর্যের মতো প্রতিটা দিনের সমাধান
আমি খেলি গোলাকার। আমিও খেলেছি বজ্রযান।
অনেক কুয়াশা যেন অন্ধ পড়ে আছে কালো জলে
তুমি কি ঠকেছ তাতে! অলীক কুনাট্যে,গৌড় জনে?
লিখেছ ,তোমার মতো যেভাবে চেয়েছি ধারণাকে
দূরের পাখিরা এসে বসেছিল আমাদের বাঁকে
বাঁক বলতে এলোমেলো নদীর ওপারে কালো বন
অভৈরবী বসে আছে সঙস্কৃত গ্রামের ক’জন
– এই ছবি যজ্ঞে লাগে,এই ছবি হোমেও দরকার
এই ছবি সত্যকাম-ছোট্ট মনোলগের আকার…
আমি বুঝি গ্রন্থ নেই,খাদ্য নেই তবুও স্বদেশ
আমি বুঝি পার্শ্বচাপ,অনুত্তীর্ণ নাটকে প্রবেশ
অপূর্ব সূর্যের মতো প্রতিটা দিনের আচমন
ছায়াছবি হয়ে আছ,যতদূর তারার মতন…
আমাকে দিয়েছ কার
আমাকে দিয়েছ কার সন্মার্গ বিপনী
আমাকে দিয়েছ কার অকুতো অশনী
দেখেছি আসলে পাখি জপতপময়
সূর্য ডুবে গেলে যার অরুন্তুদ হয়
ভয় হয় মানুষের গন্ধ ভেসে এলে
অতঃপর বন্ধ্যা হয়ে যাবে না তো ছেলে!
ছেলে যাবে হেলে যাবে আর বুনো পশু
শূন্য জলে ভেসে যাবে কলহের মঝু
ভাসান চেয়েছে মৃতি ছেঁড়া হাত পায়
লেগে আছে পরাঙ্মুখ … আহা নিরুপায়
আলো বিঁধে আছে তার শব্দভেদী বাণে
– দৃশ্যটি পরমহংস দেহ ধর্ম মানে
আমাকে দিয়েছ কার সন্মার্গ বিপনী!
স্বপ্ন দেখে হেসে ওঠে তর্ক শিরোমণি…
এটুকু ভাবতে পারিনি
এটুকু ভাবতে পারিনি তোমার নিঃসঙ্গ সমতল…
ভাবিনি অন্ধকারের ভেতরে প্রভূত সাক্ষাৎকার
প্রবচনে প্রবচনে ভরে থাকা যে কোনও সন্ধ্যায়
তোমার বিশদ শোক আর জলাতঙ্ক হয় প্রেতে
আমি দারু যোনি নই বলে মন্দিরে বালক সাজলে
তোমার বকের মূর্তি ভুলে গেল দেহতরীগুণ
ভুলে গেল চর্যাকোশ, বিস্ফোরণের শস্য ধারণা
ভুলে গেল পাখিকীর্তি, শীতবস্ত্র,গ্রহের টুকরো
সমূহ শরীরে শুধু বেড়ে উঠতে দেখছি অথবাকে
দেখছি বেড়ে উঠছে কিছু ফার্ন অসংলগ্ন নদীতীরে
আমারই সন্ধ্যা জীবনীতে লিখছি আমার দেবতা,
দেবতা আমার প্রিয়,তুমি কিছু প্রজাপতি দিও…
ভাষার মতন করে আমি শুধু বায়ুকে ছুঁয়েছি
তবুও বুঝিনি তুমি সে প্রতীয়মানোৎপ্রেক্ষা