অর্পিতা কুণ্ডু-র একগুচ্ছ কবিতা- ‘প্রত্নতাত্ত্বিক’

অর্পিতা কুণ্ডু-র একগুচ্ছ কবিতা- ‘প্রত্নতাত্ত্বিক’


তবে কি তোমাকে চাইতে চাইতেই মৃত্যু
হবে আমার? তবে কি আশ্চর্য বাগানে
ফুটবে আশ্চর্য কমল, আর কমলদলদলনী
হয়ে নিত্য ছুটে যাবে আমার আঙুল সহস্র তমসা
ভেদ করে বৃহৎ কোন অরণ্যানি খোঁজে…

এমনতরো হাওয়াও ছিল, অশোকবনে এমনতরো
ভেদ-উপভেদ, বন-উপবন, জলের নিচে
দেওয়াল এবং দেওয়াল জোড়া তোমার ছবি
অজস্রকে তোমার দিকে বুনে দিলাম
যাও অপরূপ, এবার তোমার বন্যদিনের
ছুটিই ছুটি…


এই যে ভিন্ন দুটি লেখা এসে গেঁথে যেতে চাইছে
পরস্পর, এই যে জোড়ভাঙা আর জোড়গড়ার
দিকে পৃথিবীর সনাতন প্রথা – নিষিদ্ধ দিবালোকে
এই যে ভিন্ন ভিন্ন নক্ষত্রের একই নীহারিকা ভ্রমণ,
এর কী নাম দেবে তুমি?

বরাভয় মুদ্রার মতো অনন্ত বাসুকি নাচে
জলের ফণার নিচে, ক্ষুরধার জ্যোৎস্নার কোলে
নেমে আসা তৃণভূমি আমাদের আশ্রয় করে
মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে জীর্ণ পৃথিবীর-

একে বলো, থেকে যাক চাবুকের ভরা দাগ
যৌবনবতীর উঁচু কণ্ঠার হাড়ে


মীমাংসা হল না। কেন আমাকেই লক্ষ্য করে
শতাধিক তীর রচনা করলো শরশয্যা, কেন
বিকল্প পৃথিবীর কাছে ঘুমের সন্ধান, কার বেশভূষা
ধরিয়ে ধরিয়ে গেছে সুদূর চর্যাপদের গানগুলি-
মীমাংসা হল না শুধু চর্চায় মেতে উঠলো ঘর
আন্দোলনের রেশ, আহা, কেন আরও দূরে, আরও
ঠেলে দেয় না কেউ

আমি আসি। ইহাগচ্ছ ইহ তিষ্ঠ বলি
একাকী জীবন বয়ে যায়


সব ধাতু খুলে ফেলি, সব শব্দরূপ
এ খেলার এমন নিয়ম যাতে বিজিত সৈনিক
বসন ফুরিয়ে আসে লুব্ধ সভাঘরে
কেশ বেশ অস্ত্র শস্ত্র খাগের কলম
দিই বিসর্জন। শুধু আমি-কে পারি না

বাঁচাও আমাকে আর

সমস্ত নিক্ষেপ করো কালে


বইয়ের রন্ধ্র থেকে উঠে আসছ, অতীতচারণ
যে খাঁজেই হাত দিই, যে পাতায় ঠেকেছে আঙুল
তুমি তার ওপারে দাঁড়িয়ে।
রাশি রাশি শব্দ জড়ো করি
বামহস্ত, সঁপে দিই সমুখে তোমার

তুমি নেই। তবে কেন অভিধানে আজও
আমার আমার নানা দোষ, সমোচ্চারিত

ভিন্নার্থে লেখা!


এইবার ক্রমবিবর্তনে বিপরীতবিহার করি
মনুষ্য যোনির থেকে পশু হই, পক্ষী হই,
হই কীট, ক্লান্ত জলচর-

চুরাশি লক্ষের গর্ভ আলো করে নেমে আসি
বৃক্ষনভোতলে
প্রতিটি ইতর জন্মে এক একটি পাপড়ি
ছিঁড়ে নিই গর্ভফুল থেকে

ছিঁড়ে নিতে নিতে এইভাবে ক্রমে পাবো কি উত্তর

পাবো কবে!


আমাদের পূজা নেই

মাতৃ-আরাধনা আছে যার, তারও কেউ নই আমি
অন্তিম বিচারে। নানা পুরাণের মৃত কথকতা থেকে
হোলিকার মতো করে নিজেকে সাজাই

ছোঁবে না আমাকে জেনে অগ্নিকে স্পর্শ করি, সে
দাউ দাউ পোড়ায় আমাকে


ডুবিয়ে নিয়েছি টেনে নিজস্ব নিজস্ব রসাতলে
ডাকিনী যোগিনী স্তর, যাতনার অনুপুঙ্খ নিচে
নেমে গেছি ধাপে ধাপে- শীর্ষে তার মলাটলিখন
হেঁটমুণ্ড, বদ্ধ হাত-পায়ে
নিরাকার সবলার বার্তাহীন স্তব্ধ হেঁটে যাওয়া…
উড়ে যায় কাক
আর
মেফিস্টোফিলিসের গায়ে
শীতের আঁচড়, খেত, চাপ চাপ রক্ত হিম ভয়

কীর্তনাঙ্গে ধরে রাখছি পীড়িত মিলন
তেমন নূতন নয়, পদাবলিকারের সময়ে
এমনই তো হয়েছে নিশ্চয়!
ক্ষুব্ধ শবের গায়ে গব্যঘৃত, মধু প্রলেপন
বহুবর্ষ শবাধারে এরকমই নিরীহ দহন
ঘটে গেছে।

এইবার পদাঘাতে তাকে যে করেছে ধরাশায়ী
কেউ নয়
পদাবলিকার তার শবের বাহক

১০
খোলস খুলেছি। তাই আবডালে বলা আর নেই
ছুরির যে মুখে ছিল ঝলকের ধাতব ইঙ্গিত
খুনি সেই মুখে দিই
কম্বলের অসহ নিশ্বাস, ঘোলাটে লালা ও স্বেদ
গঙ্গা শ্রুতি ধারা

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes