
রাজু দেবনাথ-এর কবিতাগুচ্ছ
দৃষ্টিকোণ
প্রতিটা দৃশ্যের একটা নিজস্ব বৃহত্তর প্রেক্ষাপট হয় !
যদি আমরা সেই দৃশ্যগুলো মন দিয়ে শুনি
তবে , তাদেরও কিছু বলার আছে !
একটা মুহূর্ত থেকে পরবর্তী মুহূর্তে পৌঁছোবার –
যে যাত্রাপথ, তার ভেতরেও লুকিয়ে আছে জীবন !
সেটা আমাদের চোখে ধরা দেবে কিনা
তা নির্ভর করে – সম্পূর্ণ দেখার ওপর !
স্তব্ধতা
একজন নির্জন মানুষকে টোকা দিলে-
টুপটাপ একাকীত্ব ঝরে পড়তে থাকে ……
এই ভাবে একা থাকতে থাকতে
মানুষটা , একদিন গাছ হয়ে যায় !
কোলাহলের ভেতর
আনমনে এই শহর যেন ভাবছে বসে
চোখ ধাঁধানো আলোয় শুধু যায় যে দেখা
রাস্তা গুলো ভর্তি যখন যানবাহনে
ভিড়ের ভেতর ট্রাফিক পুলিশ তবু একা !
ভিড়ের ভেতর এত মানুষ সবাই একা ?
যে-যার নিজের ছায়ার সাঙ্গে আড্ডা বসায়
কয়েকটা পেগ হুইস্কি কিংবা রামের মতো
বুঁদ হয়ে যায় একাকীত্বের তুমুল নেশায় !
দশটা-পাঁচটা সারাটাদিন ব্যস্ত শহর
ছুটছে, শুধু ছুটছে – সে এক প্রবল গতি
কোলাহলের ভেতর শুধু পড়ছে চাপা
নীরবতার কয়েকশো লাশ নিরবধি !
বন্ধ দরজার সামনে
খোলা জানালায় রাখা –
প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকারের মতো মন
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ হয়ে
ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশ থেকে আকাশে-
অচেনা কোনো দরজায় কলিং বেল বাজিয়ে
লুকিয়ে পড়ছে নিমেষেই –
কিন্তু কি আশ্চর্য ,তবু কেউ দরজা খুলছে না
বলছে না- ‘কে , কে ও খানে ?’
কবি
ব্যর্থতার শিখর চূড়ায় বসে –
প্রতিদিন সেই উচ্চতা বাড়িয়ে চলেছি ক্রমশ …
কবিতাগুলি পড়লাম। ভালো লাগল বেশ। কবি ব্যক্তি হিসেবে বয়সে তরুণ হলেও কাব্যপ্রতিভায় খুব একটা তরুণ বলে মনে হল না।
ধন্যবাদ
স্তব্ধতা, কবি এবং কোলাহলের ভেতর চমৎকার লাগল