প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর কবিতা
হাওয়া-জল গুচ্ছ
১
বলো তো এমন করে একেকটা দিন
এক মুহূর্তেই
জলের ওপর দিয়ে হাওয়া বয়ে যাওয়ার মতন
ভূমিকা ছিল না কিছু –
আলতো, মৃদু পদচারণায়
সবুজ তৃণের মাথা একবার নুয়ে যায়
পরক্ষণে সদর্পে দাঁড়ায়…
২
বলিনি তখনও কিছু
কম বলি। দুর্নাম আমার।
এদিকে তোমার গাছে জল দেওয়া, শ্বাস নেওয়া –
এ আবর্তে ঢুকে ঢুকে পড়ি
অর্জুন গাছের পাতা, কাঁটাঝোপে গন্ধরাজ
বিকেলের শেষ আলো মেখে
নিভৃতে দাঁড়িয়ে থাকে।
ততটা নিভৃতি খুঁজে আমিও হয়রান…
৩
বৃত্তের প্রত্যাশী নই
কেবল প্রবহমান জলের দিকেই
ঘটনা প্রবাহ যেন যায়
সবুজ চেনাও তুমি। মৃতপ্রায় গাছের শুশ্রুষা
করতলে চুম্বক রেখেছ?
কী করি এখন নিরুপায়
দ্বিধার শরীর থেকে পাতা খুলে খুলে রেখে আসি
ক্রমশ বিচ্যুত হয়ে সকালের রোদের মতন…
৪
জানো না, জানো না তুমি, অদৃশ্য হাওয়ার কাছে জলকণা কীভাবে পৌঁছয়
তুমি তো পাহারা দাও নিরজনে, ট্রেন ছাড়ে প্রান্তিক স্টেশন
আমি কি নিজেও তার গতিবিধি জেনেছি কখনও?
গাছেরা আদর করে তোমার ডেরায় অচেনা পাখিকে ডেকে আনে
পাখি আনে খড়কুটো, তা দিয়েই গৃহস্থ রচনা…
৫
আমাকে মেঘের কাছে নিয়ে যাও
দলভাঙা পাখির মতন
উড়ে গিয়ে জুড়ে বসি –
নিভৃত আকাশ থেকে টুপটাপ জলের আভাস
তোমার বারান্দায় রেখে আসি, সন্তর্পণে।
তুমি ভাবো, বর্ষা বুঝি ভেজায় তোমার
বেলফুল, জুঁইগাছ।
আমাকে তোমার কাছে নিয়ে চলো
মনে মনে মনে…
লেখাটি যদি ভালো লাগে, আবহমানে নিজের ইচ্ছেমতো ফোন পের মাধ্যমে
অবদান রাখতে পারেন, এই কিউ আর কোড স্ক্যান করে। ফোন পে করুন 9051781537
অথবা স্ক্যান করুন পেমেন্টের লিংক