
পলিয়ার ওয়াহিদ-এর কবিতা
গাভিন ধানের চিটা
কৃষকের অনেক কষ্ট
ধান চিটা হয়ে গেছে
মানুষের অনেক সুখ
মানুষ চিটা হয়ে গেছে
মানুষ কী ধান ভালোবাসে?
চিটা কী? তা কজনে জানে?
চুরি হওয়া ভাত
আপনি চুরি হয়ে গেছেন
ডাকাতের হাতে
আমাদের ধানগুলো চিটা
ক্ষুধার কী তাতে?
সিদ্ধ করতে পারেন টাকা
পেটও ভরতে তাতে
কেন তবে ভয় দেখান
জুলুমের পাতে
মৃত্যু গিলে বসে আছি
শাসনের ভাতে!
কবর বুকিং
কবর বুকিংয়ের দিনে
এসো ফুল চাষ করি
গোলামীর চেয়ে মৃত্যু
শ্রেয়, তার পায়ে ধরি
মাটির আঁচল ছোঁবো
মায়ের কথা খুউব… মনে পড়ছে। মাটির কথাও। বাবার মাঠের ধান কেমন আছে? খুব ইচ্ছে করছে তাও জানতে। দাদীর তইতইগুলো; সারা দিন কানের কাছে প্যাকপ্যাক করে। নানীর হাতের চুড়িদুটো; নানা মরার পর কেমন যেন রংচটা হয়ে গেছে! পীরো চাচা মরলো-মনা কবরে গেল-আলি হাসানের টুকটুকে মেয়েটাও নাকি চলে গেছে জম্মের মতো! কাউকে দেখতে পেলাম না।
মা আমি তোমার কাছে থাকবো- আর মাটির ঘরে শোবো। আমার আর কোনো চাওয়া নেই। আমি কৃষকের ছেলে মা-মাটি জল কাদা ছাড়া কীভাবে বাঁচি?
বাবা; তুমি মন খারাপ করলে নাকি? তুমি মাটিতে বীজ দাও- আমি এসে মমতার মই দিবো।
মহুয়ার মুখ
আমার প্রেমিকার মুখ পাকা ধান ক্ষেতের মতো স্বচ্ছল
যাকে পাঠের পর ধানের শীষের ন্যায় নুয়ে পড়ে মন
মন খারাপের মৌসুমে তার চোখ ও মুখের বীজতলায়
জমাট বাধে সদ্য লাঙলে চষা নরম থলথলে কাদা
যেন এখনি চুমু রোপণের সমূহ ছলছল সম্ভাবনার হাতছানি
তালপাখার বাতাসের মতো ঠাণ্ডা তার বুক
যেখানে সকল দীর্ঘশ্বাস কলমিফুলের মতো নীলাভ কোমল
তার শারীরিক ঘ্রাণে শিশুর মতো অবুঝ হয়ে পড়ি
যেন এখনি আমার সব ক্লান্তি তার সবুজ ব্লাউজে মুখথুবড়ে পড়বে!
আর সে অভিমানে সোনালু লতার মতো দোল খায়
রক্তজবা ফুলের মতো তার নাভিতে ঝড়ে স্বাদের ঠোঁট
তার বটের পাতার মতো গাঢ় কোমল গায়ে ল্যাপ্টানো তুলতুলে মন
যার শারীরিক ছায়ার আবডালে লুকানো থাকে অন্য রহস্যের ইশারা
যার ঠোঁট গমের রুটির মতো সুস্বাদু আর কপালে
মধুসঙ্গী পুরুষ মৌমাছিকে ক্ষমা করার উদারতর টিকলে
তার চোখের ভ্রু যেন পানসি নৌকা
এখনি চড়তে না পারলে শিওর স্বর্গ্ন হারানোর আফসোস!
সে আমার পৌরুষ ডালে ফুটে আছে ভুঁইচাপা ফুলের মতন
যেন পৃথিবীর অন্য কোনো ভ‚মির চেয়ে স্বমহিমায় উজ্জ্বল!