পলাশ দে-র কবিতা
রক্তফুল
শঙ্খ লাগা দোষ আমার
আকাশ ডাকি পাখি গাই মেলায় মেলায় বার্তা রটে হারিয়ে যাওয়ার
দুপুরের শ্রাবণ পেরোতে গিয়ে পলকেই কীভাবে ফাল্গুন ঢুকে পড়ে
চোখ নেভাতে ভুলে যাই মনে আসে না ১৪৪ ধারা
ও মন যায় আসে কোথা
বস্তি খুলে সরু কোমরের হাউজিং
কাগজের নৌকা প্লাস্টিক নালায় আটকে যায়
শঙ্খ ভাঙা দোষ আমার
সমুদ্র খুঁড়তে খুঁড়তে তোমার নখপালিশ উঠে আসে
চু কিতকিত আর পোস্তবাটা
উচুঁ নীচু টিলা ব্যানার্জী বাড়ির জঙ্গল শেষে ত্রিভুজ ঝর্ণায় হাঁসফাঁস করে উঠি
এইসব মন্থন অপরাধ কি করি এখন
রক্তফুল ধারায় ধারা রক্তফুল
***
খতম
না বলে গন্ধ শুঁকেছি তোমার হাঁ-য়ের ভেতরে মোবাইল আলোয় লুটিয়ে পড়েছি স্বর
ট্রাফিক দ্যাখার অজুহাতে সেদ্ধ করেছি স্তনহরিণ
প্রতি ফোঁটা বৃষ্টির জগৎও আড়াল করতে পারেনি তোমার সঙ্গে ভিজে যেতে
না বলে চুপ শুনেছি তোমার ঘুম সাঁতারে ডুবে গেছি
শ্বাসের ছন্দে অনুরণন
পাঁজর খুলে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে নিজের রক্তমজ্জারস সাজা দিতে দিতে
স্বীকার করছি, খতম করো
***
কোল
কোল ডেকে উঠি, নেশা দাও নেশা দাও
খোলা হোক আত্মহত্যা
আচমকা কদমফুলের ঘ্রাণ
একা সাঁতরাতে সাঁতরাতে কে নদী পারাপার দেখছে
টমেটো খেতের আল ধরে কেন হেঁটে যাবে না মেয়েেটা
চুমু মুহূর্তে কাঁপ ধরে আমার পাখি হতে পারছি না
ঘরে রাস্তায় খণ্ডযুদ্ধ দাবানলে মেঘ পালিয়ে যায়
নিঝুম, কবেকার মরক থেকে ঘুঘু ডাকে
ঘুঘু, কবেকার নিঝুম থেকে বীজ রেখে যাচ্ছে শিরদাঁড়ায়
গাঁথনি দাও কোলে কোলে রাগ নয় রাগিণী বেজে উঠুক