
নন্দিনী সঞ্চারীর কবিতা
জরৎকারুর শিকড়
পূর্বজ
কোনও এক সাধারণ দুপুরে
আমপাতায় আলুনি বাতাস আসে।
মধ্যযামে ভর করেছিল মৃত আত্মারা
সেইসব মৃতদের চিৎকার মরে গেছে জীবতকালেই।
দ্যাখো,দোতলার জানলার পাশে এই জরৎকারু
ঘুরন্ত ইলেকট্রিক-পাখার দিকে চেয়ে
শিকড়ের সাঁইসাঁই আওয়াজ শোনে
ক্ষত
এক অশান্ত সময়ের গিটার টিউনিং করি
ই এ ডি জি ক্রমশ তীক্ষ্ণ হয় ধুন
আঙুলের ডগায় গেঁথে যায় তার
ক্ষত আমি ধারণ করি কবেকার।
ঘুম
মাথার ভেতরে ক্রমাগত সরোদের ছড়।
না ঘুমোনো ঘুম ভেঙে দেখি
চারিদিকে সকাল ছড়িয়ে গেছে কখনই,
অ্যান্ড্রোমিডা আলো এনে দেবে সেই রাতে।
ততক্ষণ কানে বসেন বেগম আখতার-
দিওয়ানা বনানা হ্যায় তো দিওয়ানা বনা দে।
ভার-সাম্য
এই চুল গোড়ালি ছুঁয়ে যাক
সামলে দিক বেসামাল স্তনভার
শুক্লাচতুর্থী যেন টসটসে চাঁদ
কলঙ্কবৃন্ত খসে গেলে, এই গমক্ষেত
আর কত ক্ষুধা ঋণ দেয়!
কৃতবিদ্য বাজিকর, দেখো,
তোমার উড়ন্ত আলোবাজি, আকাশময়।
Kobi Nandinir kobita abaro porlam.
khub khub valo.