![ছিন্ন- বিচ্ছিন্ন চতুর্থ পর্ব <br/]> সন্দীপন চক্রবর্তীর জার্নাল ছিন্ন- বিচ্ছিন্ন চতুর্থ পর্ব <br/]> সন্দীপন চক্রবর্তীর জার্নাল](https://abahaman.com/abahaman/wp-content/uploads/2021/06/IMG-20210608-WA0004.jpg)
ছিন্ন- বিচ্ছিন্ন চতুর্থ পর্ব
সন্দীপন চক্রবর্তীর জার্নাল
অনেকদিন পর সেদিন আবার হঠাৎ শুনতে ইচ্ছে হলো পল সাইমনের সেই বিখ্যাত গান – ‘হ্যালো ডার্কনেস, মাই ওল্ড ফ্রেন্ড’। সুমন একভাবে বাংলা করেছেন তার, আরেকভাবে করেছে চন্দ্রবিন্দু। কিন্তু মূল গানটার কথা থেকে না সরে গিয়েও, করা যায় কি এর অনুবাদ? সন্দীপন চক্রবর্তীর ধারাবাহিক জার্নাল ছিন্ন- বিচ্ছিন্ন। চতুর্থ পর্যায়
অনেকদিন পর সেদিন আবার হঠাৎ শুনতে ইচ্ছে হলো পল সাইমনের সেই বিখ্যাত গান – ‘হ্যালো ডার্কনেস, মাই ওল্ড ফ্রেন্ড’। সুমন একভাবে বাংলা করেছেন তার, আরেকভাবে করেছে চন্দ্রবিন্দু। কিন্তু মূল গানটার কথা থেকে না সরে গিয়েও, করা যায় কি এর অনুবাদ? দেখি তো! কিন্তু করতে গিয়ে দেখছি, কবিতার ছন্দ অনুযায়ী হয়তো ছন্দ ঠিক থাকছে না সব জায়গায়। অথচ ওই সুর অনুযায়ী যখন গুনগুন করছি, তখন কিন্তু খাপ খেয়ে যাচ্ছে। কীভাবে করবো তাহলে? কবিতার ছন্দ অনুযায়ী নাকি গানের সুর অনুযায়ী? এ তো আর পড়ার জন্য কবিতা না, গাওয়ার জন্যই গান। তাহলে সুর ধরে ধরেই কথাগুলো অনুবাদ করে এগোনো যায় কিনা দেখি তো –
পুরনো বন্ধু, হে অন্ধকার,
কথা বলতেই এলাম আবার
আলতো লতিয়ে ওঠে সে এক বোধ
ঘুমের ভিতরে তার বীজের স্রোত
সেই বোধ, যা শিকড় ছড়িয়ে দেয় আমার মাথায়
আজও বয়ে যায়
নিঃশব্দের সুরে সুরে
অস্থির স্বপ্নে একা পায়চারি
খোয়া-ফেলা সরু গলি, তারই
ধারে স্ট্রিটল্যাম্প, নিচে আলোর গোল —
ঠাণ্ডা ভিজে হাওয়া…কলার তোল…
দু’চোখে গেঁথে যায় যখন সে নিওন আলোর ঝলক
ছিঁড়ে রাতের পালক
নিঃশব্দের সুর সে ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকে
নগ্ন সে আলোয় আমি দেখি
হাজার দশ লোক, বা তারও বেশি…
বকবক করে, কথা না বলেই
কথায় কান দেয়, কথা না শুনেই
লেখে রাশি রাশি গান, যার স্বর কিছুতেই যায়না বোঝা
অত নয় তো সোজা
নিঃশব্দের এ সুরকে বিব্রত করা
বলি, ‘বোকা, তুমি জানো না তো
নিঃশব্দ বাড়ে ক্যান্সারের মতো
শোনো এই কথা, যা যা শেখাতে চাই
নাও এই হাত, তোমায় ছুঁতেই তো চাই
কিন্তু আমার সব কথা নিঃশব্দ বৃষ্টির মতোই ঝরে…
আর প্রতিধ্বনি করে
নিঃশব্দের কুয়োয়
কত কত লোকে হাঁটু মুড়ে বসে প্রার্থনায়
তারই কাছে, যে নিওন-দেবতাকে তারা বানায়
রংবাহারি সে আলোয় ঝলসে ওঠে সতর্কতা
আর তার থেকে জেগে ওঠে যেসব কথা
তারা বলে ‘সব সব সমস্ত দৈববাণীই লেখা আছে সাবওয়ের দেয়ালের পরে
আর ভাড়া ঘরে
আর তারা ফিসফাস করে নিঃশব্দের সুরে সুরে’
Khub bhalo
❤️❤️❤️