কুশল ভৌমিকের কবিতা
বেদনার হায়ারোগ্লিফিক্স
এই যে আমি তোমার অবাধ্য ঠোঁটে
লেপ্টে দিলাম একটা কষ্টার্জিত দুপুর
আস্ত একটা কবিতার বই
বেদনার হায়ারোগ্লিফিক্স
এসবই আমার ক্ষুধার্ত প্রেমের নামতা।
যদি খুলতে পারো সমীকরণ
জীবনের ভগ্নাংশের ভাঁজ
দেখবে-
আকাশে ঝুলে আছে আইনস্টাইন
পাতার ভেতর খসে পড়ছে রবীন্দ্রনাথ
আর পৃষ্ঠাজুড়ে লালনের একতারা
আর আমি-
ব্রহ্মান্ডের মতো তোমার খোলা পিঠে
দুলে ওঠা বেণির শিল্পকলা দেখে দেখে
প্রশ্নবোধক চিহ্নের ভেতর ঢুকিয়ে দিই বিস্ময়
জীবন বস্তুত বিরাম চিহ্নের মাস্তানি!
প্রত্যয়
সূর্যটাকে দখল করেছে মালটি-কালার সময়
অন্ধকারের আচ্ছাদনে মরে গেছে রোদের প্রতিভা দ্বিধার দুপুরে
মায়ের উনুনে ভাত ফোটার গন্ধ
এটুকুই কেবল শান্তি আমাদের।
কবিতার বীজ পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে
মাফিয়ারা
যেখানে পুঁতবে সেখানেই জন্ম নেবে কবিতাবৃক্ষ!
মাফিয়া এবং কবিতা
দু’য়ে মিলে অদ্ভুত স্থাপত্যকলা
এরিস্টটল প্লেটো বলে দিন;বলে দিন-
পোয়েট্রি এবং পলিটিক্স সমার্থক শব্দ কি না?
হোঁচট খেলে মানুষ সতর্ক হয়
সৎ ও সতর্কতা বিপরীত শব্দ জেনে
উপভোগ করি উঠে দাঁড়াবার আনন্দ।
হোঁচট খেয়ে যে হাসতে জানে
পরাজয় তার সিলেবাসে থাকে না কোনোদিন।