কবি ওয়রওয়ারা রাও-এর কবিতা
: শব্দ
সত্ত্বার ভিতরে ভাঁজ করে দমন করে রাখা শব্দ
আজ ঝাঁকিয়ে জীবন্ত করে তুলতে হবে
করে তুলতে হবে নিখুঁত
দেখতে হবে যাতে তার ডানাগুলি আকাশে ওড়ে
পঙ্গু হয়ে পড়ে থাকা অঙ্গগুলি
যাতে আরোহণ করতে পারে শূন্যে, আকাশে
দীর্ঘদিন খরার পর প্রথম বৃষ্টির মতো
আমার শুকিয়ে যাওয়া কানে, অন্য কারও নয়,
আমারই নিজস্ব জগতে যেন তা হয়ে ওঠে বিস্ময়
আকাশের বিস্ময়ের মতো
হারিয়ে যাওয়া মৌসুমী বাতাসকে আবিষ্কার করতে করতে
গমগমে এই বিশ্বের প্রতিধ্বনি-মুখর জগতে
মাটির উপর আবার অঙ্কুরিত হওয়ার অপেক্ষা করি আমি
আবার আমি শিখতে চাই সেই উচ্চারণ
স্কুলে এবং আমাদের সমাজে
শিষ্য এবং সুন্দরীদের কাছ থেকে
আমি শিখতে চাই
ইতিহাসের প্রতিটি খাত থেকে
স্বপ্ন দেখি বর্ণ ও সিলেবলগুলোকে দখল করে নিচ্ছি আমি
এই কণ্ঠস্বর ছাড়া
কীভাবেই বা নীরবতাকে পড়তে পারবে মানুষ
মনের ভিতর দীর্ঘদিন ধরে জমিয়ে রাখা এই বারুদ
বিস্ফোরণ ঘটাবে?
এই তীব্র অনুরণন ছাড়া
এই দৃশ্য কীভাবেই বা
চোখের ভিতর জমে থেকে
জন্ম দেবে স্ফূলিঙ্গ?
আবার আমায় শিখতে হবে উচ্চারণ
মানুষের সঙ্গে কথা বলার পদ্ধতি, যোগাযোগ ক্ষমতা
শব্দের সঙ্গে যেন আত্মীয়তা থাকে, যেন তাকে মেনে চলি
শব্দকে প্রতারণা করে মানুষের কোনও ঐতিহ্য থাকে কি?
শব্দের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করতে পারে না কিছুই
সময়ের গনগনে আঁচে
উত্তপ্ত লাভার মতো গরম হাপরের নীচে
এটিই হল আদর্শ সময়
যখন নিজের প্রকাশভঙ্গিগুলিকে শান দিয়ে চলি আমি।
(© Translation: 1997, D. Venkat Rao
From: Pretext: A Journal of Rhetorical Theory, Vol. 18: Nos. 1-4
Publisher: Victor Vitanza, Clemson, 1997)
অনুবাদ- হিন্দোল ভট্টাচার্য