
ভাস্কর ঘোষ-এর কবিতাগুচ্ছ
কবিতাগুচ্ছ
বন্ধুত্ব
কাঁধে হাত রেখে
ডেকে নিয়ে গিয়েছিল দুজন
চন্দ্রালোকে মদের আসর
আমুদী মাছ
ছাঁকা তেলে ভাজা
খেয়েছিল সবাই মিলে
নাচ হয়েছিল খুব
ধরণী চৌচির করে
গোর দেওয়া হয়েছিল সব
ভাঙা কাচ
গ্লাস
ছিল তার শিরহীন শরীরও সেখানে
__________
ওরা
কে একটা
বলে গেল যেন
জ্বেলে রাখো আলো
এসময় নামে সব নৃত্যরত
দেহহীন
পৃথিবী বিহারে,
জ্বেলে রাখো
কেননা অন্ধকারে তারা অবয়ব পায়
ঢেকে রাখে
সব জন্ম সব স্তোত্র
মোহ মায়া মাৎসর্য,
জ্বেলে রাখো
কেননা মনুষ্যজন্ম যেন রসাতলে না যায়
জাহান্নমবাসী হওয়ার আর খুব কিছু
বাকি কি আছে?
—- এই ছিল গূঢ় প্রশ্ন
শুনে এক অবয়বহীন কোথায় কী করে যেন
হেসে ওঠে।
______________
মাছ
আপেলের বিকল্প মাছ
পীতাভ
মৃত
আঙুলের চাপে বেরিয়ে এসেছে শিরদাঁড়া
খুব বেশি কাঁটা নেই
যা ছিল ছোটখাট সব
বজ্রবিদ্যুতের মতো জিভের ডগায়
প্রতিটি গ্রাসে স্বাস্থ্য
প্রোটিন পটাসিয়ামের জোয়ার শরীরে
লঙ্কা তেলে মাখামাখি
মিশেছে জিভের লালা
বেলা তিনটে :
বুদ্ধিজীবীর অকালভোজন
____________________
আঘাত করার আগে
আঘাত করার আগে
দেখে নিচ্ছ
জরুরি যা কিছু
ভিতরে লুকিয়ে রাখা
অতঃপর
বের করো
শানানো রোদের মতো সেই ছুরিগুলি
বিস্ফোরণক্ষম আয়ুধ
এক ফোঁটা
মরচে পড়ে নি
খালি ধুয়ে আছে বিষাক্ত শিশিরে
__________________
সরীসৃপ কুশলতা
আরো কত বেশি সরীসৃপ
হওয়া যায়
ভাবতে ভাবতে তোমার দিন কাটে
লাতিন আমেরিকার
সেই মাকড়সার মতো
অলীক প্রজনন
একটি মহাদেশ প্রায় ঢেকে যায়
সন্তর্পণ সরীসৃপে
কুশলী পদাতিক
সেই তারা
দখল করবে তোমার ক্রমম্রিয়মান শরীর
________________