
আঁধারের সৌকর্ষে শিখতে থাকারা
তাপসী লাহা
Because we don’t invite them in an unburied truth,
A room well lit, the filth are brushed under the carpet carrying half of it.
পরিবর্তনই সত্যের একমাত্র ধ্রুবক। আজ যা আছে আগামীতে তা বিন্দুবৎ, টিমটিম করতে করতে ক্রমে মিলিয়ে যাবে বিস্মরণের অতল অন্ধকারে, অপ্রাসঙ্গিক হতে হতে তার গ্রহণযোগ্যতা ঠেকবে তলানিতে,তারপর ধিকিধিকি আঁচের রক্ত মুখে তুলে মরে যাবে নির্বিকারে। যত আটকাবে, অজুহাতের প্রজাতিরা তেড়ে আসবে রে রে বলে,গান,মঞ্চ, মিছিল,খবর, জনমতের উটকো ডানায় হাওয়া ভরে ছিটিয়ে যাবে তত বিরক্তির উদ্রেক আর ধৈর্য্যর বাঁধ ভাঙা।জোর করে কোনদিন কিছু ঠেকিয়ে রাখা যায়নি,যাবেনা।তাই হাজার চেঁচামেচির মাঝে আজ অন্ধকারে একবার চোখ বুঁজে পড়ে নিতে হবে নিঃশব্দ সংলাপের ঈঙ্গিত, অজ্ঞতার,অজ্ঞেয়র কুয়াশা,ধুলো মুছে পর্বগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিলেন ধরা পড়বে সংঘাতের শেষ দ্বৈরথ বাণী যার অপ্রান্তে মুক্তির হিজিবিজি বোধগম্য হবে সংঘর্ষ তৎপরতা উত্তর ভূমজীবনে,
‘সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে’।তাই যদি তবে মুক্ত হতে পারছি কই।শৃঙ্খলের নধর বোঝা ঠেলে, সামাজিক লেঠেলওয়ালাদের ঘুমপাড়ানি গানে চোখ কান বন্ধক দিয়ে আমাদের আমি যে কোথায় উড়ে গেছে খোঁজ নেই,বেমক্কাই লাপাতা চিত্রনাট্যের কিশোরীবালা , যেখানে দুমুঠো জোটে,যা কিছু পাই ভালবাসার মত তাপ তাপ লাগা অনুভূতি,শেকড়ে মাটি লাগে ভয়ের ভয়েস ওভারের ননস্টপ নেটপ্রাক্টিসে।আর কি লাগবে।দিল হ্যায় ছোটাসা। গলায় তবু বিঁধে থাকে কাঁটাটা,থেকে থেকে ব্যাথার চাগাড় দিলে ফনফনিয়ে ওঠে ভেতরটা,ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে জল্পনার,চোটলাগা কুকুরটা চেনা চপ্পলের অচেনা গোত্তা খেয়ে কঁকিয়ে ওঠে, তেড়েফুঁড়ে কামড় বসিয়ে দেওয়ার আগে খুঁজতে হয় একটা উপলক্ষ, একটা আউটলেট যার গায়ে দিব্যি সেঁটে দেওয়া যায় কুকুরটার আঘাতপ্রবণ পশ্চাদদেশ, তাতে কিছুক্ষণ নিজেরটা আরাম পায়।আহ ,বেশ আরাম বটে,এই তো খুঁজছিলাম,ভিকটিমহুডের ক্কাথ খাওয়া তেঁতো মুখে সিজনাল মোরব্বার চাটফেস্ট , জমছে মাইরি।মুক্তির সি ফেসিং ডুপ্লেক্স না মিললেও ই এম আই বাউন্ড পায়রা খোপ,মন্দ না।ভেতরের অন্ধ হাজারে চেঁচাতে চেঁচাতে হিক্কা তুলতে থাকলেও ভলিউম বাড়িয়ে আওয়াজ বুজিয়ে দেওয়া,পার্টি চালু থাকুক।চাপ কমানোর জন্য বলির পাঁঠা জোগাড় হলেও টুনিবাল্বের শোকসভায় লোক পাত পেড়ে খাচ্ছে, খাওয়াচ্ছে।দু চারটে বিজনেস ডিল সমেত রাতারাতি দোতালা হাঁকিয়ে মস্ত কান্ড। সকালে ধমকে ধামকে সন্ধের মোচ্ছবে জিভ কেটে, কান মলে কুম্ভকের্তনের ছররা। এসব ঝোঁপ বুঝে,কোপ মেরে ,নটে গাছের ফর্দাফাই করে, জবাব চাই জবাব দাওয়ের অহেতুক বালখিল্য কান ঝালাপালায় কাজ সারা হয়ে যায়। মার্ডার মুবারক হো। স্বঘোষিত সমাজের বীরপুরুষ মানসিকতা সেকেলে বাবাজ্যাঠার চোখ রাঙানিতে নির্ধারিত করে দেন,কোন জামাটা পরা যাবে,প্লাস টু তে সায়েন্স না সায়েন্স,আর কোনটা আত্মহত্যা না তথাকথিত আত্মজনিত হত্যা।পথেঘাটে চলতে ফিরতে যৌন ইঙ্গিতময় শব্দবন্ধ ব্যবহার ,সন্ধ্যাপানে অশ্লীল ইঙ্গিত বা কাজ সেরে বাসায় ফিরে মা, স্ত্রী, কন্যার সাথে মনুষ্যেতর আচারপর্ব,বার্তালাপ বা অলাপ প্রলাপ সবই পুরুষোচিত তথা সার্বিক,সভ্য, গ্রহণযোগ্য। শুধু অসতর্ক মূহুর্তের প্ররোচনায় কিছু বেফাঁস ঘোরতর গণতান্ত্রিক সন্ত্রাসের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আসলে আপনি জানেন না ,একদম না, কিছু দেখেননি,না না একদম বলেন না, জামাকাপড় সাদা, পরিষ্কার,পাটপাট। ভাবনার চতুর্বর্গবর্গমূলে পুরোপুরি মিলে যায় উত্তর,দশমিকের সম্ভাবনাহীন ,যথার্থরুপে পূর্ণতম। সদাসতর্ক এলার্টবদ্ধ তাই ,কুভাবনার আচমনে টু টি কাটার আগে সব ঠিক হয়ে যায়। সম্ভ্রান্ত গৃহকোণে মাচাভর্তি লালিত লতাপাতার মনিটরিং, প্রাক-খাবারজনিত ছদ্মসাধনে ত্রুটি রাখার অবকাশ নেই।
‘ন সংরোহতি বাকক্ষতম।’সব ক্ষত সারে । শুধুমাত্র কারো আঘাত দেওয়া কথার ক্ষত সারেনা।নিক্তিতে মেপে রাখা ঠিক তাই।ক্ষত ছড়াতে দেওয়া যাবেনা।আর বাক কে মোড়ে মোড়ে ট্যাঁশগরুর মত ঘুরিয়ে মুড়িয়ে যতটা সেন্টিসেপ্টিক মগজধোলাই তো আছেই। ভাবলে অবাক লাগে গডফাদারময় এই সময়ে জন্মালে সক্রেটিস ঠিক কি করতেন।অনুশোচনা আর শোকে উদ্বেল হেমলক পানের সেই ছবিটা অন্যরকম সার্জিকাল অনুষঙ্গে, ন্যারেটিভ বদলে যেত কি! জনসাধারণের বুদ্ধিবত্তায় তার অনাস্থার সঙ্গে খাপে খাপে মিলে যেত কিছু বিশ্বাসঘাতময় পরাজয়,ন্যারেটিভের পিঠ উলটে পড়ে থাকত কান সারাইয়ের ওষুধ ,যার সেবনমাত্র আপনি তাই শুনবেন ও বুঝবেন যা বোঝাতে চাওয়া হয়,পাখি পাকা পেঁপে খায়,পাকি পাহা পেএএ পায়,পাইই পা আআ পেএএএ পাআআ।তোতাকাহিনী ডিকোডেড।
“In all chaos there is a cosmos,in all disorder a secret order”(Jung).
প্রসব সম্ভাবনায় ভুগছেন অথচ মুখে লেগে থাকা এঁটো জুড়ে লজ্জাশবরের ব্রীড়া,খেলা থামানোর চেষ্টা করলে উলটে যাবে খেলনাগাড়ি, টগবগে ভাতের নাদুসগন্ধ পেটে মোচড় দেয় তবু ফ্যান গালা ইস্তক হাতকে ভালোবাসা দিয়ে ফেলি।সেদ্ধ চালের উর্দ্ধগামী ধোঁয়ার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলে হাত পোড়া নিশ্চিত,ফ্যানগালার ধৈর্য্যঘড়ি চলবে আস্তে আস্তে । আমি তখন ভাববোনা ঠিক এর পরেই আমি যে অধ্যায়টি অভিনয় করবো তাকে চমকে দেওয়ার জন্য ক গোছা স্ট্রাটেজিতে মগজ ভরে রেখেছি,পায়ের পাতায় উড়ে বেড়ানো ঘৃণ্য মাছি তার ভাগের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার লোভে চিরবুভুক্ষু ছন্দের তালে তালে উড়কি নাচে লিপ্ত।পোশাক থেকে নতুন ও আরাম ঝেড়ে গভীর ,গুহ্য সেলাইবুনটের হরফ ধরে এগোই। অতর্কিতে প্রসবটি বিস্ফোরণের মত শিৎকার জুড়ে কেঁপে ওঠে ,অনুরণনে আসন্ন প্রসবারা কম্পনে প্রবৃত্ত হয় কাল্ট নাচের নিষিদ্ধ ভয়াবহতায়,থমকে যায় প্রহর,সময়চিহ্ন নস্যাৎ করে জগদম্বা বিভূতি মেখে লাল চোখের কুৎসিত পাখি উড়তে থাকে ছায়ার মন্তাজে,যেন স্বপ্ন,যেন সত্যি অথচ মৃত্যুর মত কালো ।তাকে পুরোপুরি দেখা যায়না আবার নস্যাৎ করার মত মিথ্যা বলতে শেখেনি থরকম্প বাতাসেরা। শুধু অনুসরণ করতে করতে সেই ক্রমশ গভীর গুহার আজন্ম অন্ধকারে ঢেউ খেলা মায়াবী মরীচিকার হাতছানি যাকে কোন আলো, উপাচারের পরিহাসে মুড়ে ফেলতে ব্যার্থ, শুধু হাটু ভেঙে মাথা নামিয়ে শরণের অশব্দ কবিতায় অঞ্জলী জ্ঞাপন করে পারাপারটি সম্ভব করে ,যার বিকট ,বিভৎস ছায়ার কাছে নিজের তুচ্ছতা স্বীকারই নিষ্ক্রমণের একটিমাত্র পথ, যেখানে সৎ সম্মতিতে ,হে বিরাট, দুর্জেয় পরম,তোমাকে লাগাম পরানোর অসম্ভব দুঃসাহসিক প্রয়াস থেকে নিষ্ক্রান্ত করছি ,সমস্ত চন্দন ও পুষ্পসজ্জা ত্যাগিয়া খনিজ অন্ধকারে জন্মাচ্ছি, অসীম আকাশের লুব্ধকসন্তান , এঁটো হোক আজ পার্থিব সব পরিচয়।