রাজু দেবনাথের কবিতা

মৌনতা

দর্শক আসনে বসে নিজেকেই দেখি –

আরও নিবিড় ভাবে একা হয়ে যেতে ;

স্তব্ধতা জমাট বেঁধে পাথরের মতো

নীরবতা গুলো নিয়ে নিজেতেই মেতে।

ভিড় থেকে ক্রমে দূরে ,দূরে সরে গেলে

মৌনতা নীরব কোনো গলিতে হারায় ,

চোখের ভেতর যার একাকী প্রান্তর –

সে-মানুষ ধীরে ধীরে গাছ হয়ে যায় !

এই চলে যাওয়া

এই চলে যাওয়ার কোনও দাগ থাকবে না ;

শুধু তোমার অদৃশ্য আলিঙ্গনে-

আমি থেকে যাব ।

এছাড়া আমি কোথাও ছিলাম না

এছাড়া আমি কোথাও নেই ।

থাবা

যার কোনো দল নেই

বা যে কোনো দলের নয়

সেই প্রান্তিক জীবনের চারপাশে লুকিয়ে আছে –

কত হিংস্র থাবা !

নির্জনে পেলে-

আততায়ীর মতো হামলে পড়তে পারে !

একটা মাঠের গল্প

বাতাসে হাত ধরে তুমি চলে গেছো

সেই চলে যাওয়ার নীচে ,

ঠায় দাঁড়িয়ে আছে – একটা দুপুর ;

সেই দুপুরের শুধু একটা ধুধু মাঠের গল্প আছে !

সেই গভীরে

হৃদয় দু’ভাগ হয়ে গভীর খাদের মতো ,

অন্ধকার হা’করে আছে –

সেই খাদের গভীরে তলিয়ে যাবার আগে –

তোমার চশমা পরা ঝাপসা মুখ

মনে পড়ে যাচ্ছে বেশ !

এখন কোথায় , কার সাথে-

কেমন আছো তুমি ?

বন্ধ দরজার সামনে -২

একটা ঘর বন্ধ থাকলে

আমরা দরজায় কড়া নাড়ি ,

কলিংবেল বাজাই

তাতেও না হলে – নাম ধরে ডাকি

কিন্তু একটা মানুষ ভেতর থেকে বন্ধ হয়ে গেলে

কিভাবে ডাকবে তুমি !