
নিকারাগুয়ার কাব্য
শ্যামশ্রী রায় কর্মকার
পর্ব ২
আর্নেস্তো কার্ডেনাল
নিকারাগুয়ার কাব্যবিপ্লব রুবেন দারিওকে মূর্তিপূজার স্তুতিময়তা থেকে জীবনে ফিরিয়ে এনেছিল, আর সেই উৎসবের কাণ্ডারী ছিলেন রেভারেন্ড আর্নেস্তো কার্ডেনাল। নিকারাগুয়ার বিপ্লবী আন্দোলনে কার্ডেনাল এক দ্যুতিময় উপস্থিতি। তাঁর প্রজ্ঞা এবং বোধের প্রখরতা উপলব্ধি করে আপামর নিকারাগুইয়ো মানুষ তাঁকে প্রকৃত দ্রষ্টার আসনে স্থাপন করেছিল। দরিদ্রকে ক্ষমতা দান করে সামাজিক বৈষম্যের অবসান ঘটাতে কার্ডেনাল মুক্তির ধর্মতত্ত্বে মিশিয়ে দিয়েছিলেন মার্কসবাদের স্বাদ।
আর্নেস্তো কার্ডেনালের জন্ম (১৯২৫) হয়েছিল নিকারাগুয়ার গ্রানাডায় এক বিত্তশালী পরিবারে। ১৯৭৯ সালে যখন সান্দিনিস্তা বিপ্লবের সমর্থকরা স্বৈরাচারী জেনারেল এনাস্তাসিও সোমোজা ডেবায়েলকে সিংহাসনচ্যুত করে, স্বভাব-বিপ্লবী ফাদার কার্ডেনাল চার্চের আপত্তি অগ্রাহ্য করে সরকারে যোগ দেন। তিনি ছিলেন বিপ্লবের সক্রিয় সমর্থক। মুক্তির ধর্মতত্ত্ব নিয়ে ভ্যাটিকান বনাম কার্ডেনাল সংঘাত এতটাই চরমে ওঠে, যে নিকারাগুয়া সফরের শর্ত হিসেবে পোপ দ্বিতীয় জন পল সান্দিনিস্তা সরকারের কাছে কার্ডেনালসহ চারজন যাজকের অপসারণ দাবি করেন। সান্দিনিস্তা সরকার অবশ্য পোপের এই দাবি মেনে নেয়নি। বহু তর্কবিতর্কের পর শেষ পর্যন্ত যখন পোপ নিকারাগুয়ার আতিথ্য স্বীকার করে মানাগুয়ায় আসেন, তখন তাঁকে স্বাগত জানাতে কার্ডেনাল স্বয়ং সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই দ্বৈরথ অবশ্য খুব সহজে মেটেনি। ১৯৮৪ সালে একটি সাক্ষাৎকারে ফাদার কার্ডেনাল বলেন, ” খ্রিস্টই আমার মার্ক্সবাদের মার্গদর্শক। পোপের মার্কসবাদ সম্পর্কে ধারণা নেই বলেই আমার বিশ্বাস। খ্রিস্টধর্মের চারটি গস্পেল একই রকম মার্কসবাদী। আমি মার্ক্সে বিশ্বাস করি, ঈশ্বরেও। আমি খ্রিস্টের পথে চলি। যাতে তাঁর রাজত্ব মসৃণভাবে চলে, তার ব্যবস্থা করতেই আমি বিপ্লবী হয়েছি”। এর শাস্তি স্বরূপ কার্ডেনালের ওপর যে বহুবিধ নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পোপ ফ্রান্সিসের আদেশ না আসা পর্যন্ত সেসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।
নিকারাগুয়া ও লাতিন আমেরিকার যন্ত্রণাময় ইতিহাস তরুণ কার্ডেনালকে এতটাই পীড়িত করে যে, এই ব্যথা ও অস্থিরতা থেকেই জন্ম নেয় অমিত্রাক্ষর ছন্দে লিখিত মহাকাব্য ‘হোরা ও’। ‘হোরা ও’ কার্ডেনালের প্রথমদিকের দীর্ঘকবিতাগুলির মধ্যে সফলতম। শুধু কি ইতিহাস নিয়েই লিখেছেন কার্ডেনাল? বিপ্লব আর বামপন্থার কথা লিখেছেন? এসবের পাশাপাশি লিখেছেন অজস্র প্রেমের কবিতা। ১৯৬২ সালে যখন মেরিলিন মনরোকে দেশ মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করে, কার্ডিনাল তাঁর ‘প্রেয়ার ফর মেরিলেন মনরো’ কবিতায় লেখেন,
“সমাজবিরোধীদের হাতে বিক্ষত
কেউ যখন অচল টেলিফোনের দিকে হাত বাড়ায়
ঠিক তার মতো করে শেষ শয্যায় শুয়ে আছেন মনরো ”
প্রেম-ইতিহাস-সংগ্রাম-বিবর্তন-রাজনীতি, বিবিধ বিষয় নিয়ে লিখেছেন আর্নেস্তো কার্ডেনাল। কবিতায় মিশিয়ে দিয়েছেন তাঁর বিজ্ঞানভাবনা। ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য থেকে জিনতত্ত্ব, সবই বিস্মৃত করেছে তাঁকে, বিহ্বল করেছে, নিয়ে গেছে ঈশ্বরের আরও কাছাকাছি। ২০১৪ সালে যখন কার্ডেনালের ‘নাইনটি অ্যান্ড নাইনটি’ বা ‘নব্বইতে নব্বই’ নামক কবিতাসংগ্রহটি প্রকাশিত হয়, নিকারোগুইয়ো লেখক সের্ঘিও রামিরেজ সেই গ্রন্থের ভূমিকায় লেখেন, “এই বিস্ময়কর অন্তর্দৃষ্টির ভেতরে যেন সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড সমাহিত। পাঠক যেমন স্বর্গের বৈজ্ঞানিক অন্বেষণ থেকে ব্রহ্মাণ্ডের অপার রহস্যের ভেতরে ঢুকে পড়বেন, তেমনই ঢুকে পড়বেন কবির একান্ত ব্যক্তিগত পরিসরে, তাঁর অতীতের স্মৃতির ভেতরে”। তাঁর সাম্প্রতিকতম কাব্যসংগ্রহ ‘অধি মহাবিশ্ব’ প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। ইংরেজি ভাষায় এই গ্রন্থের অনুবাদ করেন জোনাথন কোহেন। এই কাব্যগ্রন্থে ‘তারার ধুলো’ নামে একটি কবিতায় আর্নেস্তো কার্ডেনাল লিখেছেন-
“আর ছায়াপথ তখন হয়ে উঠছে ফুলের আকৃতি
তারাভরা রাতে ঠিক যেমন দেখায়
আমাদের মাংস আর হাড় অন্যান্য নক্ষত্র থেকে আসে
অথবা হয়তো আসে অন্য কোনও ছায়াপথ থেকে
আমরা যে মহাজাগতিক
মৃত্যুর পরেই আমরা গড়ে তুলবো আরও নতুন নক্ষত্রের ভার ”
সাহিত্যের ছাত্র আর্নেস্তো কার্ডেনাল মার্টিনেজের জীবন একেবারেই নিস্তরঙ্গ ছিল না। প্রথাগত শিক্ষা সেরে নিউইয়র্ক থেকে ফেরার পর বিপ্লবী কাজকর্মে জড়িয়ে পড়লেন কার্ডেনাল। সোমোজা পরিবারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান যখন প্রাথমিকভাবে সফল হল না, কার্ডেনাল তখন যোগ দিলেন ট্রপিস্ট মনাস্টেরিতে। এখানেই সন্ন্যাসী এবং লেখক থমাস নর্টনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। পরবর্তীকালে এই নর্টনই কার্ডেনালের কবিতার ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করবেন।
কার্ডেনালের ছোট কবিতা বা এপিগ্রাম সেই সময় প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রেম, রাজনীতি, সমাজ চেতনা এবং সোমোজা রাজত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আশ্চর্য মিশেল সেইসব এপিগ্রাম কার্ডেনালের কবিতার মুখ হয়ে ওঠে। তেমনই একটি কবিতা
“আমি বিলি করে বেরিয়েছি গোপন পুস্তিকা
পথে পথে চিৎকার করে বলেছি আমি, “স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক”
সশস্ত্র প্রহরীর পরোয়া করিনি
এপ্রিলের বিদ্রোহে অংশ নিয়েছি তোমার ঘরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে তবু বিবর্ণ হয়ে যাই
তুমি একবার তাকালেই
শিহরণে শিহরণে আপাদমস্তক কেঁপে ওঠে ”
বিপ্লব, কবিতা ও কার্ডেনাল ধীরে ধীরে সমার্থক হয়ে ওঠে। সামাজিক থেকে তাঁর বিপ্লব ক্রমশ হয়ে ওঠে নান্দনিক। লেক নিকারাগুয়ায় একটি প্রার্থনাগৃহ তৈরি করে সেখানে তিনি শিল্পীদের উপনিবেশ স্থাপন করেন, স্থানীয়দের সাহিত্য এবং শিল্পশিক্ষার ব্যবস্থা করেন। মন্ত্রিত্ব লাভ করার পরেই নিকারাগুয়ার কাব্যসম্ভার জনসমক্ষে তুলে ধরতে দেশ জুড়ে নিয়মিত কবিতা কর্মশালার আয়োজন করেন কার্ডেনাল। সংস্কৃতির গণতান্ত্রিকীকরণ তাঁর মন্ত্র হয়ে ওঠে।
তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ওয়াকারের সঙ্গে নিকারাগুয়ায় ও অন্যান্য প্রাথমিক কবিতা ‘ (১৯৮৪), ‘মহাজাগতিক প্রার্থনা’ (২০০২), ‘অধি মহাবিশ্বঃ নতুন ও নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৯), ‘প্রজাতির সূচনা ও অন্যান্য কবিতা’ (২০১১)। ‘যুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্তোত্র’ (১৯৭১) কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি ‘ক্রিস্টোফার পুস্তক পুরস্কার’ এ ভূষিত হন। ঐতিহ্যবোধ ও রাজনৈতিক মনোভাব কার্ডেনালের কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাঁর প্রথমদিককার কবিতায় নেরুদা ও এজরা পাউন্ডের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। পাউন্ডের অনুসরণ করেই ল্যাটিন কবিতার দুই ঈশ্বর ক্যাটালাস এবং মার্শালের মতো এপিগ্রামাটিক ফর্ম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন কার্ডেনাল। এজরা পাউন্ড প্রবর্তিত কান্টো ফর্মেও লিখতে শুরু করেন।ইতিহাস ও কবিতার মেলবন্ধন হয়ে ওঠে তাঁর প্রিয় বিষয়। ‘দক্ষিণ সমুদ্রে ড্রেক’ তেমনই একটি কবিতা। এই কবিতাটি একটি ঐতিহাসিক সত্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। ১৫৭৯ সালে এক স্পেনীয় কাপ্তেন ড্রেকের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা জানিয়ে নতুন স্পেনের ভাইসরয়কে একটি চিঠি লিখেছিলেন।
দক্ষিন সমুদ্রে ড্রেক
Drake in the Southern Sea
স্প্যানিশ থেকে অনুবাদঃ থমাস নর্টন
বাংলা অনুবাদঃ শ্যামশ্রী রায় কর্মকার
রাফায়েল হোলিওদোরো বার্জের জন্য
২৩ মার্চ আকাপুলকো বন্দর থেকে যাত্রা করেছিলাম
৪ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত ঠিক পথেই এগিয়েছি, তারপর
ভোরের সামান্য আগে চাঁদের আলোয় দেখলাম
আরও একটি জাহাজ ঠিক আমাদের পাশে-পাশে ভেসে এসেছে
তার পাল আর অগ্রভাগ মনে হয় রুপোয় নির্মিত
আমাদের কাণ্ডারী চিৎকার করে তাকে সরতে বললেন
কেউ উত্তর দিল না, যেন সবাই খুব গভীর ঘুমে
আবার ডাক দিলাম “এ জাহাজ কোন দেশ থেকে?”
এবার
ট্রাম্পেট বেজে উঠল, গাদা বন্দুক থেকে আগুন ছুটে এল তারপরে
এবং আদেশ এলো “এই লং বোটে নেমে এস
যেখানে কাপ্তেন আছেন, পার হয়ে এস সেখানে ”
দেখলাম, জাহাজের ডেকে তিনি পদচারণায় ব্যস্ত
কাছে গিয়ে তাঁর হাত ধরে সেটি চুম্বন করতেই জিজ্ঞাসা করলেন,
“তোমার জাহাজে কত সোনারুপো আছে?”
আমি বললাম, “কিছু নেই। কিছু নেই।
হে মাননীয়, ওখানে শুধু পেয়ালা-পিরীচ আছে”
অতঃপর তিনি বললেন, “তুমি ভাইসরয়কে চেন?”
বললাম, “চিনি” এবং তাঁকেই জিজ্ঞাসা করলাম,
“আপনিই কি কাপ্তেন ড্রেক? এক ও অদ্বিতীয়?
কাপ্তেন এবার জানালেন,
তিনিই হলেন সেই ড্রেক, যাকে আমি খুঁজছি
আমরা দুজনে কথা বললাম বহু বহুক্ষণ ধরে, যতক্ষণ না রাতের খাবার খাওয়ার সময় হয়
তখন আমি তাঁর পাশেই বসব, এই ছিল তাঁর আদেশ
তাঁর পেয়ালা-পিরীচ রুপোয় নির্মিত, সোনার সীমানা দেওয়া
তাঁর মুকুটচিহ্ন আঁকা আছে তার ওপরে
কত যে সুবাস, সুগন্ধি জল স্ফটিক পাত্রে ভরা
তাঁর কাছে! তিনি বললেন, সব রানীমার উপহার
দিনে ও রাত্রে যখন তাঁর খাওয়ার সময় হয়, বেহালায় সুর বাজে
যেখানে যান, সেখানেই শিল্পীগণ সাথী হন, ছবি আঁকেন
যত সমুদ্রতট, সব তাঁরই অধীন
বছর চব্বিশেক বয়স হয়েছে তাঁর, ছোটখাটো, টুকটুকে দাড়ি
জলদস্যু জুয়ান আকোয়াইনাস সম্পর্কে তাঁর মামা হন
সমুদ্রে যত নাবিক আছেন, ড্রেক তাঁদের অন্যতম সেরা
তারপরের দিনটা রবিবার ছিল, তিনি অপরুপ বেশভূষা করলেন
সবাইকে বললেন মাস্তুলে মাস্তুলে নানা রঙা পতাকা টাঙাতে
ব্রোঞ্জের আংটা আর ব্রোঞ্জের শেকল, সব সোনার মতোই ঝকঝকে
তাঁর জাহাজটি যেন শুশুকদের মাঝখানে একটি সোনার ড্রাগন
এবার আমরা তাঁর বালকভৃত্যসহ গেলাম আমার জাহাজে রাখা সিন্দুকের খোঁজে
আমার কী আছে, তাই দেখতে দেখতে তাঁর সকাল ও সন্ধ্যা কেটে গেল
যা নিলেন, তা তেমন কিছু নয়
আমার মূল্যহীন, আমার তুচ্ছ কিছু কিছু
তার বদলে দিলেন একটি খঞ্জর আর একটি রুপোয় বাঁধানো কবচ
যা কিছু নিলেন, সব শুধু তাঁর প্রেমিকার জন্যে
এই কথা বলে বারবার তিনি মার্জনা চেয়ে নিলেন
বাতাস একটু অনুকূল হলে পরের দিনেই মুক্তি
শুনে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাত চুম্বন করলাম
তাঁর যুদ্ধ জাহাজে বোঝাই হয়েছে তিন হাজার রুপোর পাত
তিনটি সিন্দুক সোনায় সোনায় ভরা
বারোটি বিরাট সিন্দুকে ভরা স্পেনের মুদ্রা এবং
তাঁর জাহাজ-চালক চৈনিক, তিনি ড্রেকের হাতেই বন্দি
মানচিত্র দেখতে দেখতে তারা চিন দেশে চলেছেন
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মার্কসবাদে বিশ্বাস করেছেন কার্ডেনাল। ২০১৫ সালে নিউইয়র্ক টাইমস এ দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
“আমি একজন বিপ্লবী। এ কথার অর্থ হল আমি পৃথিবীতে পরিবর্তন আনতে চাই। বাইবেল বহু বদলের প্রতীক হয়ে আছে। প্রত্যেক মসিহাই পরিবর্তনের বাহক। যীশু নিজেও পরিবর্তনের কথাই বলেছেন। বিগত মসিহাদের পরিবর্তনকামনার কথা তুলে ধরেছেন। আমরাও এই বিশ্বে বদল আনার উদ্দেশ্যে বিপ্লব করতে থাকব। আমাদের বিপ্লব সফল হয়নি। কিন্তু বিপ্লব থেমে থাকবে না। সে বারবার আসবে”।
২০২০ সালে কার্ডেনালের মৃত্যু হয়।
অনুবাদক- শ্যামশ্রী রায়কর্মকার। কবি, অনুবাদক, গদ্যকার। ইংরেজি সাহিত্যে পড়াশুনো এবং শিক্ষিকা।
(ক্রমশ)
মনোজ্ঞ রচনা। লেখিকাকে ধন্যবাদ আমার চিন্তাকে সমৃদ্ধ করার জন্য।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে 🙏