
অর্ণব মুখোপাধ্যায়-এর কবিতাগুচ্ছ
চিরুনি
১
সারিবদ্ধ মানুষ, মিছিলে —
অনেকেই জানে না কেন আছি,
চলেছি কোথায় !
২
যতই দাঁত ভাঙছে —
ততই সহজ হয়ে আসে,
শূন্যস্থানে নদী যায় বেশি,
দূরে থেকে হাত ধরে তারা
নেমে যায় ঢালু পথ,
কে বলেছে, কাঁটাতারে
ভালোবাসা হয় না ?
তীর্থ
১
যা কিছু অশ্রু,
তা-ই মেঘের সন্তান।
সমস্ত শোকই কোমল গান্ধার,
ভিক্ষের দু’টি ধান শুদ্ধ স্বর —
যা কিছু বিরহ,
তা-ই সত্য —
বিরহে দাঁড়িয়েছ ঈশ্বর।
২
দীর্ঘ কবিতার পথ,
যাপন ক্লান্তি মুছে যায়,
মায়ের পাশে বসে
ভক্ত জল-বাতাসা খায়,
বিরামচিহ্নে শান্তির জল লেগে থাকে।
৩
নেবে কি আমায়, নেবে দু’হাত ভরে,
পথের যত ফুল, তোমারই জন্য ঝরে ?
বন্দিশ
১
দীর্ঘ কবিতার পথে জামরুল গাছ,
ভালোবাসা —
দাম্পত্যের রাগ ‘কাফি’
দু’জনে শুয়েছি পাশাপাশি,
নরম মাটির কাছে
এ মুখ দেখাব কী তোমাকে!
ফলে ফলে আমাদের
ঠোঁট লেগে আছে।
২
যাওয়ার কথা ছিল কোথাও, যাইনি,
বসেছি ক্ষণকাল,
আখরোট গাছের কেবিন।
মানুষ তো সারেঙ্গী ঢেউ,
ফিরিয়ে দিয়েছে বারে বারে,
সমস্ত জল গিয়ে মিশেছে সেখানে —
বালুতটে ফুটে আছে কবিতার ফুল।
৩
এই যে দিগন্ত জুড়ে ধানের গান,
মালকোশ বিলম্বিত,
বাতাসে মিঠে সুবাস, ডুবেছে চরাচর।
যেদিকে তাকাই, সেদিকেই দেখি
ভাতের রান্নাঘর।
ভালো লাগল অর্ণব
আপনি পড়েছেন, আমি খুব আনন্দ পেলাম দিদি 🙏😊
খুবই সুন্দর ও জীবন্ত কবিতা।
মন ভালো করা কবিতা অর্ণবের। ওকে আলোথ শুভেচ্ছা