
দীর্ঘ কবিতা
বেবী সাউ
কুরুক্ষেত্র
এই মহাযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে
সূর্যাস্ত আলোয়
এবং এক অশান্ত পৃথিবীর
দিকে মুখ তুলে
অবসরের খানিকটা কেটে নিয়ে
তোমার কাছে এসে দাঁড়িয়েছি
হে ঐশ্বর্যময় আত্মা
তোমার সুললিত বাহু
তোমার কঠিন কঠোর মন
এবং সুমধুর চোখের
প্রতিটি দৃশ্য
আমাকে পতঙ্গের ন্যায়
ছুটিয়ে ছুটিয়ে মেরেছে, এতকাল
পথ ভিজে গেছে…
অসংখ্য যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন
ভরে দিয়ে গেছে রাস্তা।
খিদে এবং দুর্ভিক্ষের হিসেব
কষতে কষতে
পোড়া ডানা নিয়ে বারবার
বহুবার
বিকিয়েছি মাথা, মন
তোমার কাছে রাষ্ট্র , আর
নির্লিপ্ত তুমি
চোখের ভাষায়
নেশাতুর কোনো অন্ধকারে
ছুটে যেতে যেতে খুঁজে পেয়েছ
পানশালা…
শহরের নর্তকীরা,
যাজক এবং
কসাই
উন্মুখ হয়ে
তোমাকে শপথ বাক্য ভেবে
পাঠ করে গেছে দিনের পর দিন
আমি শুধু শেষের কথা ভেবে
আমি শুধু ফলহীন কর্মের কথা ভেবে
একটা দীর্ঘ স্বপ্নের ভেতর ঘুরে বেড়িয়েছি
বিড়বিড় করে লিখে ফেলেছি
মৃত ঘাস
অন্ধ শালিখ
আর জামশেদপুরের
হারানো পদাবলীর কথা
আমাদের মাঠ ঘাট
আমাদের জনপদ, নদী, নালা
মৃতের লাশে ভরে গেছে
আমার বুকের মধ্যে
চিনচিন করে উঠেছে
সাপ এবং কেঁচোর দল
হাতুড়ির কাছে নত
একেকটি মৃত্যুর কাছে নত
জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার ভয়ে নত
এই আমি, আমার ভয়ার্ত আত্মা
শহরের নর্তকী হয়ে
ঘুঙুর পরেছে পায়ে…
শহরের প্রতিটি বেশ্যাবাড়ির ছায়া
আমার স্বপ্নের ভেতর
ঘুরে বেড়িয়েছি
লোধাশুলি জঙ্গলের জিঘাংসা
আমার দীর্ঘ গতিপথে
দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মরে গেছে
বিশাল বিশাল বৃক্ষ
এবং তার ছায়া
আমার সামনে
বুভুক্ষু শিশুর হাত
শীর্ণকায় চোখ নিয়ে
তুলে নিয়ে গেছে আমার উচ্ছিষ্ট
আমি শুধু না দেখার ভান
করতে করতে
পাওয়ার হিসেব মেলাতে মেলাতে
এক আশ্চর্যময় সুন্দর পৃথিবীর
কথা ফিসফিস করে
বলে গেছি, তোমাকে, সন্তর্পণে
আর তখনই
পৃথিবীর ক্ষতময় চক্ষু
জীঘাংসু চক্ষু
হো হো করে হেসে উঠেছে।
সুনামিতে কেঁপে উঠেছে বিশাল জলপ্রপাত,
জনপ্রান্তর বেয়ে নেমে এসেছে কালো কালো লম্বা হাত
কেঁপে ওঠা গাছ,
বৃদ্ধ বৃক্ষের একেকটি ডাল
সুবর্ণরেখা নদীটির কাছে
ফিসফিস করে বলে,
” দেখো, দেখো
মানুষ কেমন কৃতঘ্ন…”
আর আমি
হা হা করে হেসে উঠেছি
চিৎকার করে বলেছি, আমিই ঈশ্বর
আমিই জন্নত এবং জাহান্নাম
আমাকে মেনে নাও,
আমাকে বিশ্বাস করো…
কিংবা নাই করো
নত হও, নত হও…
লেখাটি ভালো লাগলে, আবহমানের জন্য আপনার ইচ্ছেমতো অবদান রাখতে পারেন
এই কিউ আর কোড স্ক্যান করে ফোন পে-র মাধ্যমে।
এই অবদান একেবারেই বাধ্যতামূলক নয়।
স্ক্যান করার জন্য কিউ আর কোড–
দাগ কাটার রঙ আছে
কুরুক্ষেত্র দীর্ঘ কবিতাটি পড়লাম।খুব ভালো লাগলো।সত্য শিব সুন্দরে অবিচল নিষ্ঠা, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সেই আধ্যাত্মিক চেতনাকে অন্তরেে লালন করার অভীপ্সা কবিতিটার প্রাণ বলেই আমার মনে হলো।জানি না কবিমনের ভাবনা।
কুরুক্ষেত্র দীর্ঘ কবিতাটি পড়লাম।খুব ভালো লাগলো।সত্য শিব সুন্দরে অবিচল নিষ্ঠা, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সেই আধ্যাত্মিক চেতনাকে অন্তরেে লালন করার অভীপ্সা কবিতিটার প্রাণ বলেই আমার মনে হলো।জানি না কবিমনের ভাবনা।
কুরুক্ষেত্র দীর্ঘ কবিতাটি পড়লাম।খুব ভালো লাগলো।সত্য শিব সুন্দরে অবিচল নিষ্ঠা, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও সেই আধ্যাত্মিক চেতনাকে অন্তরেে লালন করার অভীপ্সা কবিতিটার প্রাণ বলেই আমার মনে হলো।জানি না কবিমনের ভাবনা।
বেশ ভালো।
খুব ভালো লাগলো।
খুবই ভালো লাগলো।
দারুণ।
বাহ্ কি দারুণ লেখেন আপনি!
বলপূর্বক নত হতে হয়না,পায়ের বিস্তীর্ণ ধুলো হয়ে থাকলে, চিত্ত নির্ভীক হয়, পরভাবের ভয় থাকে না।
ভালো লাগল খুব।
আমি কবিতা বুঝি না, বুঝতে চাইলেও কবিতা আমায় বোঝায় না। শুধু আপনার কবিতা পড়ে একটা আবহাওয়ার, একাটা জীবনের কিছুটা সময়কে চিহ্নিত করতে পারলাম আমার দৃষ্টি দিয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।