
রিমা দাসমুন্সী
কল্পনার গ্লোবিলস
সেলফোনের ভেতর বৃষ্টি মাপছি…
সারাটা দুপুর স্নান করছে
শহরের আলগা ফুটপাতে কিছু আদ্যাক্ষর,
নৌকোর মতো জলের কাকভেজা শরীর ব্লটিং পেপারে
প্রতিবিম্ব প্রত্যক্ষে
উষ্ণ চায়ের ভাঁড়ের উন্মুক্ত ওষ্ঠ বৃক্ষে রোদের জ্যামিতিক প্রচ্ছদ অঙ্কণে ব্যস্ত।
প্রাচীন সভ্যতার এসক্যালেটরে কাঠবিড়ালীর প্রথাগত গতিপথ বিবস্ত্র পাহাড়ে
ইলেকট্রিক ধাক্কা খেয়ে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট কার্পেটের পৃষ্ঠায় ঘুম লিখছে,
আর ভাবছি উন্নাসিকতার
বুদবুদ মিলিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ মেঘের ম্যাগাজিনে।
ফ্ল্যাশব্যাক
বিনুনি দপ্তরে
এলোমেলো ক্যাকটাস
ব্যাসার্ধ বিস্মৃতিতে,
জেব্রাক্রসিং-এ আটকে থাকা উকুন শহরে আলোর দ্রোহ
আমাদের অবলম্বিত সব রিডিকিউলাস
উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠায় মৃত ফসিলের জলাশয়েতে
ইচ্ছে মাছের সকাল ভেদ করে একতারা বাজায় শৈশবের পজিটিভ পদ্মের দর্পণে।
আমাদের নির্বোধ কমিউনিকেশন মাপতে পারেনা চুলের এলজ্যাব্রা দৈর্ঘ্য……
থেকে যায় ব্ল্যাঙ্ক স্পেস।
দৃষ্টিপথ
কালোগহবরের মধ্যে ঊষসী শামুকের খোলসের মুক্তি ঘটে কোনো সুকান্ত আলোয়,
যে আলো কল্পতরু বৃক্ষ অরণ্যে বাহুডোর বাড়িয়ে স্বাগত জানায় নতুন জীবনের পথচলাতে।
ফেলে আসা গাছের ছায়াতে বইয়ের প্রিন্ট বন্ধ হলেও
বুদ্ধপূর্ণিমার আলোতে যে বিন্দু সরলরেখা চিত্রাঙ্কন করে,
ভালোবাসার স্বাক্ষরে পুনর্জন্ম হওয়া ভোর
আরেকটিবার শ্রবণ করে মাতৃজঠোর যন্ত্রণা…
বিস্মৃতির হৃদয়ে যার
পরিনির্বাণ অকল্পনীয়।