স্রোত পর্ব-১৯  <br />   যশোধরা রায়চৌধুরী

স্রোত পর্ব-১৯
যশোধরা রায়চৌধুরী

১৯

প্রথমার শেষ ক্রোধ

“নারী ও পুরুষের অবস্থা ও অবস্থান বিচারে প্রকৃতির মধ্যেই একটা শক্তির ভারসাম্যহীন ত্রুটি আছে। সেই ত্রুটির সুযোগ নিয়ে নারীকে নিগ্রহ না করে নারীর সহযাত্রী ও সহমর্মী হওয়াটাই হচ্ছে কালচার।নিজের জন্মের বা আমাদের অনাগত সন্তানদের জন্মের প্রয়োজনেই নারীদেহের দুর্বলতাকে শক্তিকেন্দ্র রূপে বিবেচনা করে, নারীর কাছে নতজানু হতে হয় পুরুষকে। নারীকে পীড়ন করার মধ্যে পুরুষের শক্তি নয়,তার অসভ্যতা ও দুর্বলতা প্রকাশ পায়। “- লিখেছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি নির্মলেন্দু গুণ। আজ। ফেসবুকে!

দেখে ঝাঁট জ্বলে গেল প্রথমার। প্রথমা এখনই উত্তর দিতে যাচ্ছিল বেশ একটা কড়া করে, কিন্তু দিল না। অনেক কাজ পড়ে আছে। যে পেপারটা লিখছে, সেটার ভেতর অনেকগুলো অংশ এখনো ঢলঢল করছে, টাইট দিতে হবে স্ক্রুগুলোয়। পেপার লেখা তার নেশা আর পেশা , নানা জায়গায় ছাপানোর পথও আগের চেয়ে অনেক প্রশস্ত। কিন্ত মাঝে মাঝেই মনে হয়, এইসব আন্দোলন, পেপার লেখা, এইসব এন জি ও দের কাজ, সাধারণ মানুষের মাইন্ডসেট পাল্টাতে কতটুকুই বা কাজে লাগছে।
ভাবতে ভাবতে প্রথমা সংসারের কাজও করে। একার সংসার বিবর্ণ, বিষণ্ণ। বেঙ্গালুরু থেকে সুনন্দনা এসে কিছুদিন থেকে গেছে। তখন বাড়িতে আবার রান্নাবাটি খেলা হত খুব, এটা ওটা বানাতে ইচ্ছে করত। সুনন্দনা আপাতত পাকাপাকি নিজের এম এ করতে হোস্টেলে চলে গেছে। তার ফাঁকা ভাব এখনো আছে। এমপ্টি নেস্ট সিনড্রোম।
নিজের প্রাক্তন স্বামী সুস্নাতর কথা ভাবে প্রথমা। রাগ হয় একটু একটু। যদিও ভুলেই গেছে, তবু মনে পড়ে যায় একটা সময়, এই সুনন্দনাকে মানুষ করার জন্যই কত কথা শুনতে হয়েছিল ওকে। সুস্নাতর কাছে। ফিজিকাল টর্চারই কি শুধু একটা হাতিয়ার? অথবা অনিচ্ছুক স্ত্রীর ওপর রতিক্রিয়ার জন্য চড়াও হওয়া, এরকম কত না উপভোগ, যাকে ধর্ষণ নাম দিতেও আমাদের সমাজ নারাজ? সেগুলো বাদে, মানসিকভাবে , সমাজ যেহেতু পুরুষের স্বপক্ষে, কত সহজেই মেন্টালি একটা মেয়েকে দাবিয়ে রাখা যায়। শুধু একটা ভুরু তোলা, শুধু একটা নাক শিঁটকোন। ড্রাইভিং যখন শিখছিল প্রথমা, শুরুর দিকের নার্ভাসনেসটুকু মনে আছে। সুস্নাত সেভাবে উৎসাহ দেয়নি কখনো ওকে, উলটে সাবধান, সাবধান, চাপা টাপা দিয়ে দিও না লোকজনকে ইত্যাদি বলে মনোবল আরো কমিয়ে দিয়েছিল।
পরে প্রথমা রীতিমত ভাল গাড়ি চালিয়েও কোনদিন গাড়ি চালানোর ব্যাপারে সুস্নাতর সার্টিফিকেট আদায় করে উঠতে পারেনি।
অন্যদিকে রাস্তায় বেরোলেই, সব সময়েই, এই রে , ওই একটা মেয়ে গাড়ি চালাচ্ছে, সাবধানে হাঁটো, ঘাড়ের ওপর তুলে দেবে গাড়িটা, বলতে কখনো অসুবিধে হয়নি সুস্নাতর।
এই মহামান্য সিনিয়র কবি বলে দিলেন, নারীদেহের দুর্বলতাকে শক্তিকেন্দ্র রূপে বিবেচনা করে, নারীর কাছে নতজানু হতে হয় পুরুষকে। বোঝ! নিজের ভেতরের গেঁড়ে বসা পুরুষতন্ত্র… কীভাবে ফুটোফাটা দিয়ে বেরিয়ে আসে, কেউ জানেওনা। অথচ উনি আসলে বাংলাদেশের একটা নারী নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে এসব লিখেছেন। নারীপ্রীতির এই নমুনা। পেট্রনাইজ করা ছাড়া আর কোন্‌ ভাবেই বা পুরুষ নারীর প্রশংসা করেছে। এই আর কি, আমি তোমাকে ভাল বলে দিলাম তুমি ধন্য হয়ে গেলে। আমি তোমাকে করুণা দিলাম দয়া দিলাম, তুমি আমার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকো।

নিজের জন্য কালো কফি বানিয়ে নিচ্ছিল এক কাপ, প্রথমা। এবার লিখতে বসবে। তার আগে রান্নাঘরের মার্বেল টপ কাপড়ের টুকরো দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে নিতে ভাবছিল, এই পুরুষ সাহিত্যিকদের দয়াদাক্ষিণ্য আমার অসহ্য লাগে। অবলাবান্ধব পোজিশন নিয়ে এই যে উনি সহমর্মিতার কথা বললেন নারীবাদীদের রাগ দেখলে তো উনি বমকেই যাবেন। তাই এই অবলাবান্ধবদের ইচ্ছেমত মুখ তোড় জবাব দিতেও মায়া হয়। নিজের মা বা বোন ছাড়া এনারা মেয়েদের ভাবতেও পারেন না। মনে পড়ে গেল সুস্নাতর অফিসের উইমেনস ডে -তে ডেকেছিল প্রথমাকে একবার। ভাল শাড়ি খসখসিয়ে গিয়ে চপ কাটলেট কফি ধ্বংস করা হয়েছিল , মধ্যে খানিকক্ষণ একটা সেমিনারে বসতেও হয়েছিল। সুস্নাতর পুরুষ সহকর্মীরা একে একে বলতে উঠেছিল। সবাই একটা করে বাছার বাছা “ওয়াইফ জোক” ছেড়েছিল। পুরুষেরা বউদের কীরকম ভয় পায়, বউরা তাড়া করবে বলে পুরুষেরা কী কী করে। উইমেন্স ডে -তে নিজের মা কত ভাল রাঁধেন, বা নিজের বোনকে কত ভালবাসে বলছিল বাচ্চা বাচ্চা ছেলে। সুসজ্জিত স্যুটবুটে, টাই গুলো রঙিন। মিষ্টি মিষ্টি তরুণ। মা, স্ত্রী, বোন। মানের পুরুষ পরিবারের কেন্দ্রে আর নারী মানেই কেন্দ্রস্থ পুরুষের নিরিখে একটা গ্রহ উপগ্রহের বৃত্তাকার পথ। এক এক পুরুষকে ঘিরে আবর্তিত হয় গোটা পরিবার, নারীরা সেবা, যত্ন, রান্না, আদর দিয়ে তাদের ধারণ করে রাখে কেন্দ্রে। তাই নারীদিবসেও সেই ইউটিলিটি হিসেবেই বর্ণিত হচ্ছিল মেয়েরা। প্রথমা প্রায় বিষম খেতে বসল প্রথমে। তারপর ওকে যখন পোডিয়াম দেওয়া হল, ও প্রথমেই বলেছিল অফিসে যে মেয়েরা কাজ করতে আসেন তাদের নিয়ে। এই যে সুস্নাতর সিনিওর কলিগ ম্যাডাম কুট্টি, উনি ত আপনাদের বস। কারুর স্ত্রী হিসেবে মেয়ে হিসেবে আসেন নি। মেয়েদের মা হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া একরকম এসেনশিয়ালাইজেশন। ম্যাডাম কুট্টি এখানে কিন্তু নিজের জোরে এসেছেন। একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। এঁকে আপনারা দেখতেও পেলেন না?
শুনতে শুনতে মুখগুলো ঝুলে পড়েছিল অনেক শ্রোতার। কান ঝাঁ ঝাঁ করেছিল সুস্নাত স্যারের স্ত্রী-র এ হেন উৎপাত মাচানো বক্তব্যে। চারিদিকের ঝাঁ চকচকে পোস্টারে লিপস্টিক মাখা নারীর মুখ, লাল নীল বেলুন সব বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছিল ওদের কাছে। বেলুনে পিন দিতে প্রথমার জুড়ি নেই। ফেমিনিস্ট কিনা!

ফেসবুকেও দেখছিল প্রথমা। উফফ মেয়েরাও তেমন । কী কনফিউজড সবাই। এই সব স্ট্রিং এ মেয়েরাও তো লেখে। সকলেই অবান্তর চীৎকার করতে থাকে। নানা সময়ে মনে হয়েছে প্রথমার, আসলে থিওরেটিকালি আমরা খুব শক্তপোক্ত জায়গায় নেই। অধিকাংশ মেয়েকেই এসব থিওরি পড়তে কেউ উৎসাহও দেয়না, হাতের কাছে জুগিয়েও দেয়না।

নিজের কাজ শেষ করে, দুপুরে কাঁধে কাপড়ের বড় ঝোলায় করে, বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে বেরোয় প্রথমা।
লেখার কাজগুলো আজকের মত শেষ।

এইবার আসল যুদ্ধ। এই শহরের একমাত্র মানবীবিদ্যাচর্চাকেন্দ্র । সেন্টার ফর উইমেন্স স্টাডিজ। তার মাথায় বসে আছেন যিনি, ভাগ্য বা দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি একজন পুরুষ । এবং পন্ডিত। পান্ডিত্যগর্বে তাঁর মাটিতে পা পড়ে না।
অটো থেকে নেমে দ্রুতপায়ে হেঁটে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে থাকে প্রথমা।
আপনি মহামহোপাধ্যায় ডাঃ তদ্ভব চট্টোপাধ্যায়। কাজেই আপনি ভুল হইতেই পারেন না। হইলে আমিই ভুল।
এই ভাবনা ভেবে কাচের দরজা ঠেলে ঢোকে সে। চাকরির জায়গায়, সর্বদা তার মনে হয়েছে, গ্লাস সিলিং সে দেখতে পায়না, কিন্তু কাচের দেওয়ালগুলো তো পায়!
প্রথমা বিবাহবিচ্ছিন্ন হবার পর, পুরুষ কলিগদের ঘৃণা সন্দেহ অপবাদ আর লালসামাখানো চোখ দেখেছে। তাদের বন্ধুত্বও দেখেছে। ভাল লাগার মত সমমনস্ক কজন তো আছে। তা থাক, তারা তোলা থাক মনের নানান খুপরিতে।

বাইরে যে কটা আছে, তার মধ্যে একটা পিস হল এই তদ্ভব চট্টোপাধ্যায়।
প্রথমত যে লোকের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার বাবা নাম রাখে তদ্ভব সে আর কতটা আই কিউ সম্পন্ন হতে পারে। বাবার থেকেই তো ছেলের আই কিউ জন্ম লয়। বাবা, শ্রী নিবারণ চাটুজ্জে। শিক্ষিত হয়েই ক্ষান্ত দেননি। দুনিয়াশুদ্ধ লোককে জানাবার ব্যবস্থা করেছিলেন যে শিক্ষিত তিনি। অধ্যাপনা করেছিলেন, তা করুন না গিয়ে। তাই বলে বাংলা ভাষাবিদ্‌ ভদ্দরলোক শেষ মেশ নিজের দুই ছেলের পর পর নাম রাখলেন তৎসম আর তদ্ভব!
সেই তদ্ভব আপাতত মানবীবিদ্যা বিভাগের অন্যতম অধ্যাপক এবং প্রথমার বস। কেননা নিজের লেখালেখি বাদ দিলে, এই ডিপার্টমেন্টে কিন্তু প্রথমার কাজটা কিছুটা ক্লেরিকাল। সে এই বিশালমাপের আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম অতি সাধারণ নাটবল্টু মাত্র।
কিন্তু নারী তো বটে।
মানবীবিদ্যা বিভাগ বলে নারীর মর্যাদা অন্য বিভাগের একশো গুণ হবে এমন কোন মুচলেকা দিয়ে কেউ এখানে চাকরি করতে ঢোকেনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতেই একটু অ্যাটিচ্যুড সম্পন্নদের ভিড়। উপরন্তু, আরো বেশি শ্লেষ হয়ে আসে একটা ঘটনা এখানে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষকদের মধ্যে মহিলাদের অপ্রতুলতাবশত , তাঁদের খুব আলাদা করে দেখা যায়। প্রমাণ ও করা যায় বড় পদে এঁদের কিছুতেই উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষিকা মঞ্জুলা সেন সম্প্রতি এক সেমিনারে এমনটাই তুলে ধরেছিলেন। এ এক অদৃশ্য গ্লাস সিলিং এর উপস্থিতি। তেমনটা মানবীবিদ্যায় থাকবে না বলেই সবাই ধরে নেয়। সেই হেতুই একটা বিপুল শ্লেষ হয়ে আসে এটা প্রথমার কাছে। ঘটনা এই যে তাদের ডিপার্টমেন্টে না আছে ভাল একটা লেডিজ টয়লেট, না আছে তদ্ভবদার তাঁর জুনিয়র মহিলা কর্মীদের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা।
বাজে বাজে প্লাইউডের তক্তায় তৈরি দরজাগুলোর একটা পাল্টে, হেডের ঘরে, কাচ হয়েছে। সেই কাচের দরজার ওপারে এ সি আছে।
তদ্ভবদা সেখানে বসেন। আর বাকিরা, অন্যান্য ঘরে বসে ঘামেন।
কিন্তু সেটা তত খারাপ নয়। খারাপ ব্যাপারটা হল, তদ্ভবদা নিজের এই আলাদা অবস্থান সম্বন্ধে একধরণের মানসিক দৈন্যে ভোগেন। ওনার ধারণা উনি আলাদা ঘরে বসেন তাই অন্য ঘরটায় যা কিছু হয় সবই ওঁর বিরুদ্ধে।
ওঁর ধারণা প্রথমার মত যারা অধ্যাপক নয় কিন্তু চালাক চতুর কেরাণি, তারাই বিশেষভাবে সন্দেহের যোগ্য। পারলে প্রথমা ওনার ফোন ট্যাপ করতেই পারে, পারে কেন, হয়ত এতদিনে করে ফেলেওছে। অথবা শ্রেডার মেশিনে ফেলে দেওয়া ওঁ গোপন নোটস ও চিঠিগুলো পরে আঠা দিয়ে জুড়ে জুড়ে পড়ে নেবে। অথবা সে ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং অফিসার সুকোমলবাবুর সঙ্গে ফ্লার্ট করে কোন বিশেষ সুবিধে হয় নিজে পেয়ে নিচ্ছে, নয়ত অন্যদের পাইয়ে দিচ্ছে।
ওনার আর কী কী ধারণা না জানলেও, আন্দাজ করতে পারে প্রথমা। ওনার বডি ল্যাংগুয়েজে সন্দেহপ্রবণতা।
সবচেয়ে বড় কথা, উনি নিজে সবরকমের সুযোগ নেবেন, ধান্ধাবাজি করবেন, আর ভাববেন, যে অন্যরা সুযোগ নিচ্ছে , ধান্ধাবাজি করছে।
এটাই প্রথমার সহ্য হয়না। আর সেই কারণেই ভদ্রলোক ওকে দেখতে পারেন না।
উনি নিজের মসৃণ কেরিয়ার গ্রাফে উঠছেন শুধু উঠছেন। বই এডিট করে কাগজে নাম বেরোবে, দু তিনটে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়ে নাম করবেন, এটা ওটা সেটা। তারপর টি এ বিলে জালি করবেন। সেটা প্রথমা ধরে ফেললেও তার মুখ বন্ধ যাতে থাকে সেজন্য তদ্ভবদা আরো অনেক কিছু করবেন, যেগুলো নামান্তরে ব্ল্যাকমেলিং।
যেমন, সন্ধে অব্দি বসিয়ে রেখে দেবেন ওকে, কাজের ছুতোয়। বাড়ি যেতে দেবেন না। সামনে নোটপ্যাড আর পেনসিল নিয়ে বসে থাকতে থাকতে দেখবে প্রথমা, ঘড়ির কাঁটা গড়িয়ে যাচ্ছে আর উনি ফোনে হ্যাজাচ্ছেন কাদের কাদের সঙ্গে যেন।
তারপর সাড়ে আটটা নাগাদ উনি বলবেন, টি এ বিলের ফাইল আনতে।
বাড়ি যাবার তাড়ায় যাতে ততক্ষণে অধৈর্য প্রথমা আর ছোট ছোট সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে না পারে।
প্রথমা জানে, সাড়ে আটটা অব্দি অফিসে থাকাই যায় যদি কাজ থাকত। কিন্তু কাজ নেই। বসে বসে তদ্ভবদার গল্প শোনাটাই কাজ এখন।
তদ্ভবদা জানেন, সাতটার পর সব লেডিজ টয়লেট বন্ধ হয়ে যায়।
ছাত্রীরা দেরি অব্দি বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে যে পড়াশুনো করবে, তা তাদের নিজেদের রিস্ক এবং কস্টে। কষ্ট করো, নইলে কেষ্ট পাবে না।
ছেলেদের টয়লেটগুলো খোলা থাকে সারারাত। মেয়েদের গুলোয় তালা পড়ে। সংখ্যার হিসেবেও মেয়েদের টয়লেট অসম্ভব রকমের কম। নিজেদের ডিপার্ট মেন্টে নেই, যেতে হয় পাশের ইংরিজি ডিপার্টমেন্টেরটায়। সাতটার পরে সেটায় কে বা কারা তালা দিয়ে যায় কেউ জানে না।
প্রথমা দাঁতে দাঁত চেপে বসে থাকে। তার বাড়ি কলকাতার সম্পূর্ণ অপর প্রান্তে। বাস ঠেঙিয়ে বাড়ি ফিরতে দশটা বাজবে।

CATEGORIES
TAGS
Share This

COMMENTS

Wordpress (2)
  • comment-avatar
    পাপড়ি গঙ্গোপাধ্যায় 2 years

    সামাজিক সত্যগুলোকে তুলে ধরা

    • comment-avatar
      যশোধরা রায়চৌধুরী 2 years

      ধন্যবাদ

  • demon slauer rule 34 lena the plug leak amateurtrheesome.com cumming in milfs mouth mujer haciendo el amor a un hombre, belle delphine of leaked emma watson in porn xxxamat.com big booty in public hidden cam gay sex, sit on face porn g a y f o r i t forcedpornanal.com please screw my wife female celebrity sex tapes
    410 Gone

    410 Gone


    openresty