লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল–এর কবিতা
যখন সে জোনাকির দীর্ঘশ্বাস
চার
তার হয়ে পড়ি যখন সে জোনাকির দীর্ঘশ্বাস
বারবার সাধকের স্তোত্র ও শরীর
বিষুবরেখায় শূন্যজ সময় অকপট ছায়াটুকু
কোন এক শিয়রে সাদা দাগ ইতিউতি বাস্প
সারাবেলাটি উড়ে গেল দিপদিপ নীল বর্ণ
প্রার্থনা থেকে প্রতিফলিত হল অনতিদূর
অবশ্য উত্তর নেই নেই কিছু প্রশ্নও –
আবছা স্নায়ুর আঁচড় কেটেছি সেসব দাগে
মন্দ নয় ভেবে নদী পার করিয়ে দিই কিছু হসন্ত
ক্লান্ত আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছে
জন্ম চাই চেতনা , ভীষণ সাঁতার –
পাঁচ
পাতাঝরার আঘাত নিয়ে ভেসে আসে অনঙ্গ সঙ্গীত
প্রতিবর্ত হৃৎস্পন্দনে কত না-সম্পর্ক
অপেক্ষা হারায় কোথায়—তাকায় পাখিরাও
চলে যান তিনিও
ভূমির সমান্তরাল আর নিসর্গ নিশ্বাস
যাত্রাপথে বেজে ওঠে নীল সেমিকোলন
চিৎশোয়া মহাকাশ নিয়ে আঁকিনি কিছুই
টেরাকোটা পেন্সিলে অডিও ভিসুয়্যাল জন্মদৈর্ঘ্য
খয়েরি ইচ্ছায় বসে থাকি প্রার্থনা আশ্রয়
তীর্যক রোদ্দুরে এলোমেলো ছায়াপথ
ছয়
সপ্তমীর চাঁদ অস্ত গেলেই ভাসতে থাকে জোনাকি
কয়েক পঙক্তি রচনার পর জড়িয়ে ধরে বৃক্ষের মার্গ
নিকেতনে নিজস্ব খণ্ড খণ্ড স্থিতি
অন্ধকারে কী সন্ধান করছেন আপনি
স্পন্দন জমে থাকা ভূষণের উপর স্পর্শ করি স্বল্প রাত
দিগন্ত আঁকতে থাকেন মিহি গন্ধের যামিনী বাগান
পরতে পরতে খুলে যায় শ্বেত নিবিড় দলমণ্ডল
পাঁজরের দ্রাঘিমায় বেজে ওঠে ডায়াল টোন
নেভানো দৃশ্যে নিজেই নিজের ফুল হয়ে উঠি
এবার দেখুন, আয়নার কোন রং নেই
সাত
ঋজুরেখা বরাবর স্নিগ্ধ কনিকাটি ফুলের দিকেই যায়
এখানে আকাশ গড়িয়ে আসে ধুপের গন্ধ
ছায়া ও মায়ার সাথে কণ্ঠ মিলায় ঋত চক্ষু
অসীমের সামনে কোন রাত নেই
পিঠের খাদে বাইতে থাকে থরথর নির্বাণ
চিন্ময় কোথায় যায় আমাকে অতিক্রম করে
কয়েকটি কুয়াশা সরানো আনন্দ ঘুরে বেড়াচ্ছে ফিউসনে
আঁককাটা গ্র্যাভিটির একটি নিরাভরণ সুবাস এসে বলে
আমরা বুঝতে পারিনি লুব্ধকের কোয়ান্টাম কত –
ছুটে যাওয়া গ্রহটিও দেখে নিতে চায় আমাকে
আট
একা জেগে থাকি – একটা আলোর কোলাহল শেষে
আমার শিয়রে এসে বসে নির্বাক প্রবাহকাল
অজৈব সুরভি সাজিয়ে দেয় সকল পথ
শিরদাঁড়ায় কালো শিরশির পিঁপড়ের রানওয়ে
ফুরিয়ে যাওয়া ভাবনায় ঝিঁঝিরা মুখর
কার সাথে কথা বলো অমোঘ আলজিহ্বা
আমাদের নরম ঘাস আর ফসল মাঠে
খসে পড়ে সমর্পিত পাখির পালক
কতকাল বৃষ্টি নেই রঞ্জনী নদীর আল্পনায়
শিব ছাড়া কিছুই লিখিনি নিজের উত্তরে