
কুন্তল মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
সময়ভৈরব
না কোনও দায়িত্ব নেই সূর্যাস্ত মাপার , দিনশেষে
মেঘে মেঘে লুপ্ত হয় ওজন দাঁড়ির অসততা,
অথবা যে পাখি যায় গৃহে তার ঘুমে স্বপ্নে ভেসে
তোমাকে শুকিয়ে নেব মূর্তিমান আমার কবিতা!
কেননা মূর্তিরও আছে দিগন্তবিস্তারী ভাঙা মেলা,
নিরুপায় শিশুশ্রম যা থাকে প্রতিষ্ঠা থেকে দূরে
শব্দরূপ থেকে দূরে দুচাকা লোহার গাড়ি, ঠেলা,
উনুনের মধ্যে পোড়ে লজ্জাবতী টেরাকোটাপুরে
সে এক দুর্বৃত্ত দিন, দুমুঠো লাইনে বোমা, খুন,
ধর্ষণ ও হত্যা তার শিশুদেহ পুড়িয়ে বালক
নতুন কলম নিয়ে লেখে, বলে’ ক্ষতে দাও নুন,
জ্বালাপোড়া ন্যূনতম রাজনীতি জ্বালাপোড়া হোক”
না কোনও দায়িত্ব নেই চারিদিকে মিথ্যা আর নেকু সূর্যোদয়
শব্দের ভাস্কর্য গড়ে ভয় লাগে বারেবারে ভয় !!
একুশ
কার চোখ মহাবিশ্ব ? মহাবিশ্বে অজস্র চোখের
স্থির ছবি …নীহারিকা ওঠে ডোবে সুপ্তি পলকের!
কার শয্যা খুলে যায় ? কোন দেশ থেকে আসে ভিড় ?
হাজার তারার মৃত্যু হাওয়া পথে দেড় শতাব্দীর
কোন মৃত্যু মাথা দিল বালতি-জলে টলোমলো প্রায় ?
কার প্রেম চোখে এসে জল ছুঁয়ে দেখেছে সংজ্ঞায়
সারা গ্রাম বয়ে যায় চৈত্রদিনে , সারা গ্রাম হাওয়া
মেয়েটির দুটি চোখে নীহারিকা মেয়েটির বন্ধ নাওয়া খাওয়া
তদুপরি দোল-চাঁদ হরিদ্রাভ , মেয়েটির দুটি
চোখে ওঠে ডুবে যায়, একলা মন প্রেম চূর্ণমুঠি
কার চোখে জল নিয়ে ডুবে গেল? কোথা ছিল বাসা ?
অন্ধকারে হা হা কা র…
নক্ষত্রে নক্ষত্রে হাঁটে,হেঁটে যায় রুগ্ন বাংলাভাষা
দুটোই খুব সুন্দর। মুগ্ধতা।