কস্তুরী সেন-এর কবিতা
যাবৎ মধু
যাতনার কাছে বসি, কথা হয়
যাতনার সর্ব অঙ্গে বিষের ঝিলিক
তোমার রমণি যেন,
পত্রপাঠমাত্র তাকে দূর করে দেওয়াই দস্তুর
অথচ বসাই কাছে
জেনে নিই পড়শির মতো স্নেহে
কত রাত্রে ঘুমোল সে কাল
যাতনা সালঙ্কারা, তাকে বলি সব মিথ্যে
কিছুই জানো না দেখি, ঈশ্বর সহায়!
যে তোমার দিক থেকে এল
ছিঁড়েখুঁড়ে উরুভঙ্গ করে তাকে
ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া আমারও তো দায়…
ব্রত
ও আমার নিটোল কলহ, আমাদের অস্তি নাস্তিসুখ, নামগুলি এনে এনে উথলে ওঠা বিলাপকড়ায়
ও আমার ক্ষণে ক্ষণে ত্যাগ
ও আমার সংসারের ছিন্নকন্থা নিক্ষেপ আগুনে আর
ও আমার মনে মনে শিউরে ওঠা এই ভেবে
এমন বেরোতে যারা হা হতোস্মি পারেনিকো কোনওদিন চতুর্গুণ ফিরে আসবে বলে?
ও আমার অভিশাপশান্তি আর আশীর্বাদ হে মরণাধিক!
দেরাজে লুকিয়ে রাখা ও আমার
পাড়ার স্টুডিও থেকে অচেনা পুরুষছবি,
চোখে পড়ে যাতে খুললেই
এসো তোমরা ইহাগচ্ছ এই সাদা পাতাটিতে বোসো তবে তাম্বুলের সম্মাননা নিয়ে
যে রচনা এইখানে জন্ম নিত বলো তার স্নান হোক মোক্ষ হোক যেখানে সে যেতে চায় যাক!
তোমাদের বলাকওয়া আবডালে রেখে,
চিরদিন কী রঙিন উড্ডীনশাখায়
একটি রজ্জু তার ততক্ষণ বেঁধে দিয়ে যান এসে ত্রিভুবনতারিণী স্বয়ং…