
শাশ্বতী সান্যাল-এর দুটি কবিতা
বেতাল
দুজন মানুষের মধ্যে খুব অদৃশ্যভাবে কথাবার্তা চলতে পারে। অদৃশ্য যেহেতু, তাই তৃতীয় কেউ তাদের শুনতে পায় না। এমনকি রিজোনান্ট রেকর্ডারেও ধরা পড়ে না তাদের ফিসফাসের কাঁপা পদচিহ্নলিপি।
নিঃসঙ্কোচে তারা পরস্পরকে জানায় নতুন বইয়ের প্রচ্ছদের কথা, বেতন সংক্রান্ত অসন্তোষ, আদরের বেড়ালের নিরুদ্দেশ হওয়ার খবর…
যার নামে জল আর চোখ ভরা কালো গাং, হ্যাঁ, তার কথাও।
ভাষার ভেতরঘরে তরঙ্গ এসে জমা হয়। কোথাও রক্তের দাগ, গ্রহদের ছাই। ডাকবাক্স ভরে থাকে পুরোনো শ্লোকের মিথ্যে, ক্রৌঞ্চমিথুনে…
দুজনেই একা। পথরেখা গুণে কোথাও ফেরার নেই, অপেক্ষা নেই। অদৃশ্য পোশাক পরে নেয় তারা সূর্যাস্ত পেরোলে।
কেন না নগ্নতা আজও অশরীরী, তার ডাক এলে
ঈষৎ আনত হয়ে কাঁধটুকু পেতে দিতে হয়।
বিটপী
স্মৃতিদেরও প্রাণ আছে। মূলরোম দিয়ে
তারা শুষে নেয় রস দুঃখের। শরীরে
সালোকসংশ্লেষ করে। অন্ধকার থেকে আলো নেয়।
মিথ্যে মনে হল? তবে
বসুমন্দিরের পথে নাস্তিক যুবক তুমি
হেঁটে যাচ্ছ কাদের ছায়ায়?
দুটি কবিতাই বেশ ভাল লাগলো । নিয়ত শুভেচ্ছা জানবেন ।