অরণ্যা সরকার
জল জল বদান্যতা
জলের আমোদে শুয়ে থাকে সন্ধ্যে।
ঝিনুকবালিশ, শ্যাওলাআদর তাকে দোঁহা দেয়
মাছেদের ফিসফিস কোন সে যুগের কুহক
বিলি কাটে, মন আঁচড়ায়।
বুদ্ধতপ থেকে গড়িয়ে নামা পাঠ
নিয়ে যায় গাঢ় আসক্তির শূন্যে।
ঘুম, একে কি ঘুম বলে ?
নাকি কোন বিদগ্ধ ইশারা?
দুই
দৃশ্য থেকে তুলে নেওয়া দৃশ্যের অন্য নাম কালো।
রাত্রি পারে না নিতে সব।
সন্ধেরা যেতে চায় সেইসব বর্ণহীনতার পানসিতে।
জলের কাছে দ্রাব্যতা শেখে।
শেখে আর চায় শুধু
মাঝখানে ঝুলে থাকে না পারার সাদা।
যেভাবে মানুষ পারে না নিতে সব উদ্ধার।
তিন
ডাকনাম ঘুরে তাকালে
গোধূলি এক নদীর ওড়না, শ্রীময়ী বিষাদ।
ভালবেসে ভালবেসে যে আমি আকাশসম্ভূত
তাকে কোন সন্ধ্যের শব্দ দেবো !
রাত আসে গানগন্ধ বেয়ে।
নিরপেক্ষতা দিই।
বলি, বেছে বেছে খাও কালোর পুষ্টি
ফাটলে জমাও ঋতুস্বাদ,
কটু ও নিরক্ষর মনে হলে
শুধু নির্মাণ আসর জমালে খুব
জলে ধুয়ে নিতে পারো
ঝাল ঝাল এই আমন্ত্রণ।
চার
সরে যা, সরে যা প্রকট
এইসব বিন্দু বিন্দু দৃষ্টি, গেলাস গেলাস কান্না
পানিয়া ভরণে যাবে।
মুছতে মুছতে যাবে।
খাঁখাঁ মুছবে, থৈথৈ ধুয়ে ধুয়ে জলের জখম জমাবে।
ফিরে যা, ফিরে যা সব রঙের সম্ভার,
মধ্যপন্থা যে সন্ধি রাখুক, জেনে গেছি
আমাকে নিভিয়েই আমি চৌষট্টিকলা ।