
তন্ময় কবিরাজের কবিতাগুচ্ছ
ভয়
এসএমএসে স্পেস নেই
আমি জল ডিঙিয়ে পাড়ে আসতে ভয় পাই
সেতু নেই,স্রোতে স্থির আমারই প্রতিফলন!
অনুমানে ধস,সরে যাই নিরাপদে পাহাড়ের গায়ে
দেখা হলে জানা হবে এতো কেন সংশয়?
মৃত সুখ
ঝরা পাপড়ির আড়ালে সুখ
বিস্ফোরিত অনু কিংবা শুল্কমোচনের শেষ
অস্তিত্বে জুড়ে আর কোনো শোক নেই
আমি আছি তাই সুখ এখনও শান্তিতে ঘুমিয়ে!
আরও কতো মুঠো হাত সজোরে আঘাত করে
ধ্বংস করে দেবে সাজান ডালিমের ঘর,
আমি ঘরে নেই,তুমি আছো সরষের মূলে
আমি শুয়ে থাকি সারাদিন।
তোমাকে চাইছি
যদি বলি তুমি নেই
ফোঁটা জল বাঁধ দেবে বালিশে?
ঢুকে এলো মিছিল আমায় ছাড়াই
আমিই প্রধান আমার বাস রইল আটকে জ্যামে !
তুমি আছো শুধু মুখে
আমার শরীর জুড়ে খিদে
ছেলে মরে গেলে বিমা পাবে মা?
প্রেমও শুধরে নেয় ভুল
তোমাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে
আজ আমার বেঁচে থাকার বড় দরকার।
মুখোশ
,মুখোশ ভাঙলো বলে দেখলাম প্রেম
আদিম মাঠে আমি একা নেই
বিশ্ববিদ্যালয়ের কতো ছাত্র অধ্যাপক
দিনের আলোয় উল্লাসে সুখ চিৎকার করে
আমি অবাক হই, তিরস্কার
দেওয়াল জুড়ে যৌনতার কেচ্ছা
যতো গোল সব ডোপ টেস্টে বাতিল!
আমার সামনেও মুখোশ
আমি তোমার প্রেমিক
আমার নিরুত্তাপ ভদ্রতায় তোমাকে খুঁজে
নিতে হতে পারে নতুন আস্তানা।
অমৃতকুম্ভ
কুম্ভের ভিড় ঠেলে দিল গঙ্গায়
সঙ্গমে স্রোত স্থির আরোও মাথা গোনা,
এগোলে ভক্তিতে মিশে যেত মৃত্যু
আমায় ঠেলে দিল শোক
বিবস্ত্র রীলস রাতের উল্লাসে নাচে
ত্যাগে জ্ঞান অভয় তোলে সংশয়,
সংক্রমণে ব্যাকটেরিয়া তোমার ঠোঁটে
আমি চুম্বন ফেলে স্নান করি অমরত্বে
উন্মাদ আমি, আমি কোন পরিচয়ে বাঁচি?
যে ভেজা কাপড়ে সুখ
আমি তার আর সন্ধান পেলাম না কেন?
অন্ধকার
,যদি আরও অন্ধকারের দাবিতে
অমাবস্যার রাতে ধ্বংস করে দিই সব নক্ষত্র
অন্ধকূপে মেরে দিতে পারি জোনাকির মূল
তখনও কি খুঁজে পাবে না এই শরীর?
তুমি কামনার আলোতে চিনতে পারো না আমায়?
যদি তাকাও দেখবে আগুন
মশাল ঝলসে শুধু চোখে বুজে আসে সুখে
ধোঁয়া নেই, বিদায়ী বিষাদের শেষ
চোখ জল আর শান্তির সকাল চুপ করে ডাকে।