
কোহিনূর মিত্র-র কবিতাগুচ্ছ
আততি
একটি ফাঁকে এসে পড়েছি
মঞ্চের একনিবিষ্ঠ গোলাকার
আলোর তলায় দাঁড়িয়ে
অনিচ্ছাকৃত করে যাচ্ছি
ভাবছি চতুষ্কোণ নষ্ট করে
সংকীর্ণতা আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে
পথবাস
পথের ওপর পাগল
বুক চিতিয়ে শুয়ে
পায়ের ওপর পা
বাতাসে রেখেছে
সদ্য ছিনিয়ে নেওয়া
মেয়েলি ব্যাগে শিশুর ছবি
দ্যাখে আর হাসে
দুর্ভেদ্য বেদ আওড়ায়
আকাশ সাজে মন্ত্রের
বর্ণমালায়
উপক্রমনিকায় দেখা যায়
ঈশ্বর বাতুল তাই
মানুষের উদভ্রান্ত এই
পথবাস
বিরল চাতক
এ জলে সূর্যস্নান
পুণ্য আবাহন
অন্ধকারে শিকড় খুঁজেছ
কতবার
পেয়েছ সান্দ্র সুখী ক্ষরণ
তবু কত জল বুকজল
থেকে গেল বাকি
চুপিসারে চাওনি কখনো
তুমি সে বিরল চাতক নও
ইতি
তুমি চুপ করে
শুয়ে থাকো দিরাং
আমি কুয়াশায়
স্নান সেরে
ভেজা চুলে
যতটুকু পারি
সর্বস্বান্ত হবো ওই বাঁকে
ইতি রূপা
পরম
আফসোসে বসে থাকি
বিকেলের লুটোপুটি পায়ে
মূর্ছনায় বন্ধুর বুকে
মিশে যাচ্ছে ঠোঁট
খুঁজছি সেই পরম
যার জন্য সহজিয়া সঙ্গ বদল করে
বুক কথা
আমি আসতে বলেছি জানলায়
বুক পেতে দাঁড়াও তো আগে
পর্দায় ঢেকে আছে মুখ
কী করে টেনে নেবো কাছে
জিভ দিয়ে জড়িয়ে নেবো ভবিষ্যৎ
স্বনামধন্য কলম কী করে জানবে
এসব আসলে মেয়েটির
জামাহীন আঠালো দুপুরের
বুক কথা
মেয়ে
বাতাস সরাচ্ছে চুল
না বলে, না বলে
নড়ছে অপরাজিতার পাতা
না বলে চলে এসেছে
বিষাদ,না বলে চলে গেছে
শীত সন্ধ্যায় মা
না বলে এলোপাথাড়ি মার জুটেছে
না বলে ভাত কাপড়
না বলে ঘূর্ণিঝড়
না বলে স্তব্ধতা
না বলে তুমি এসেছো
পাথরে চিরফুল