
পৌলমী গুহ-র কবিতা
লক্ষ্মীসমা প্রেমিকাকে
ফিরে এসো তুমি মধুগন্ধহীন
দগ্ধ পাঁয়তারাবাজ।
ঝলসানো বুকে টেনে নাও খুকু
যে সজনী সাজিবে বলে
হাটে হাটে ফেরি করল অপাপবিদ্ধ প্রেম
ফিরে এসো তুমি হরিদ্রাখচিত নিশাচর
চূর্ণ গর্বের বীর
বিজিতের আত্মসমর্পণে নত হও
সেই পিশাচিনী সম্মুখে যার স্তনভারে
মায়া পেয়ে জেগে উঠল মাতৃহীন শিশু।
ছায়াখানি রেখে তুমি খুলে ফেলো
মাংসের ভেতরের অপমান
বর্ম চিরে চলে গেছে বিদ্রোহিনী উজবুক।
তুমি তাকে ক্ষমা করে দিও,
তার চোখে আঁজলাভরে ছিটিও তোমার
অমৃতপ্রেমের মহিমা।
যুবতী চাঁদ ঘিরে তুমি বুনে দাও আসঙ্গলিপ্সা
শ্মশানচারী, তুমি খুকুটিরে খুবলে খেয়ো
নষ্ট প্রেমের জন্মবিরহ নিয়ে তোমরা দুইজনে
আজীবন অভিশপ্ত হয়ো।
ফিনিক্স
আমি তো চাই
সব সত্যিকে মিথ্যে বানিয়ে
তুমি আরেকবার জ্বলে ওঠো।
মিথ থেকে মিথ্যে
সে বড়ো সহজ নয়।
জটিল ধাঁধাখানি অস্ত্রশালায় ফেলে
একবার অভিষেক ঘটুক
জ্বলে ওঠো।
পুড়ে যাও আদ্যোপান্ত।
ছাই হয়ে যাও গোপনে,
ঈষৎ অতীতপ্রিয় যুবতীকে
ছাই করে দিয়ে যাও ফের।
এই শব্দহীন পৃথিবীতে এখন
কিছু তো বলার নেই
পোড়ার শব্দটুকু হোক
জ্বলার শব্দটুকু হোক?