
কস্তুরী সেন-এর কবিতাগুচ্ছ
সংশ্লেষ
ছিল একদিন
তারপরে সত্য জানো নেই
স্বপ্নে স্বর শোনা যায়,
কাব্যে তার এইমাত্র তরঙ্গ প্রমাণ
নবীন বসন্তরেখা ঝুঁকে এসে
সে কাব্যের সত্যমিথ্যা যাচে
মিথ্যা বলে কাকে,
কবে ফুরিয়েছে দিন
আলোকচিহ্নটুকু পাতাটির মনে লেগে আছে
যে ফুল
অন্ধকারে কার বিহনে একটি দুটি পত্র ঝরে
কুহক কাহার, সে পথে যায়
যে পথ তো আর খুঁজে পাবার মন হল না
কামরা বেয়ে অন্ধগানের ক্ষমার মতো
বহুদিনের পথ গিয়েছে
ধারে ধারে ফুটিয়ে তোলা যা ছিল সব
এবার সে কোন হু হু বাতাস উড়িয়ে নিল
রূপের ছেঁড়া কোয়ার মতো একটি দুটি
ছড়িয়ে থেকে, ঢেউ দেবে ফের,
ঢেউ কি দেবে পিছনপানে?
দেয় না হঠাৎ, এই উপকূল নিথর শুধু
রাত জেগে যায় স্রোতের ধারে
অতিনিবিড় অন্ধকারে তার বিহনে
বিহনে তার, একটি দুটি পত্র ঝরে…
রাস
বলব বলে এসেছিলাম তবু
সে দুঃখশ্যাম আঙুলে দীপশিখা ডাক দিয়েছে
কোন সকালে, ভোরে
যেন বালক, ফের ছুটে যায়,
ঠিক বোঝেনি গৃহের ঘৃণা
মায়ের কুলত্যাগ
যেন মানুষ, যার কিছু নেই
সেই কিছুতে ত্যাগ দেয়নি
পাথুরে বিগ্রহ
অরূপ তোমার বয়স হল?
ওদের পাশে ফিরতে ফিরতে ক্ষৌরবিহীন, এই সকালে
মধুর পাঁজরসার…
বলব বলে এসেছিলাম তবু
এখন বলো তোমার সঙ্গে একান্ত সে প্রেমের কথাটিকে
বলা কি যায়?
বলি কেমন করে