
সুবীর সরকারের কবিতাগুচ্ছ
আখ্যান/১
বিকেলে বিমল রাভার ঘাট,মধ্য রাতে গির্জা লাইনে
ধামসা ও মাদল
কার্তিকের শেষে কতবার পেরোলাম কালজানীর
সাঁকো
এখন নির্জন রাস্তায় পদুমোহন বরাইক হেঁটে যান।
সোনাপুরের মহিষের হাটে দেখা পাই মাথায় গামছা
জড়ানো মনিরউদ্দিন পাইকারের।
যে পাখি গান গায় ফরেস্ট মেন্দাবাড়িতে
সেই পাখিকেই বারবার দেখি নির্জন
ওয়াচ টাওয়ারে।
জল আর জঙ্গলে জ্বলে ওঠে
নিভতে না চাওয়া কাঠের আগুন।
লণ্ঠন
জোতদারের হাট থেকে ঘুরে এসে দেখি
বাংলা কবিতায় লণ্ঠন
ঢুকছে।
জলকাদার পৃথিবী জুড়ে ঘন হয়ে ওঠা সম্পর্ক
বস্তুত বহুমাত্রিক
কুড়িয়ে পাওয়া খোঁপার কাটা।
সারাদিন ধুপকাঠির গন্ধ।
নদী পেরিয়ে শহরে ঢুকছেন গ্রামীণ হাসপাতালের1
নার্স
ম্যাজিক
সব গল্প ভেসে যায় ভরভরন্ত নদীর জলে।
সেই ভেসে যাওয়া গল্প কিন্তু গুনগুন সুরের মত
ফিরে আসে
নদীর উপর পাখিরা কি জানে তাদের বদলে যাওয়া
ছায়ার গন্ধ।
আখ্যান/২
তোমাকে উৎসর্গ করা গান ফিরিয়ে দিতে পারো
কি!
জল ও জঙ্গল জুড়ে আগুন।
শ্যাওলা জমা ম্যাজিক আয়না।
ডান পা থেকে বা পায়ে বল নিয়ে মিডফিল্ডার দাপিয়ে
বেড়ায় মাঝমাঠে
হাততালি দীর্ঘ হলে বদলে যায় গ্যালারি ও স্টেডিয়াম।
বেড়াল
“মনকেমনের দিনে পাখি এসে বসে বারান্দায়”
ঝুলন্ত ব্রিজ থেকে প্যারাস্যুট নেমে
আসে।
সবকিছু বদলে যাচ্ছে এই দেশদুনিয়ায়।
দেখি,পাখি উড়ে যায়।
পাখিকে তাড়া করে দাপুটে
বেড়াল।
মরা বিকেলে বেজে ওঠে জোতজমির গান