
শতানীক রায়ের কবিতা
১
পাখির জন্য এই বসবাস! কখন সব বিদ্যা উধাও হয়েছে কেউ জানে না। জল কোথা থেকে আসে। শুরু থেকে অনন্ত পর্যন্ত পথ। সবাই ছায়া ছায়া। চাঁদের দিকে যাত্রা করে। এরকমই যাত্রা আমার।
২
গড়িয়ে পড়েছি সেই কবে এখন তারই প্রতিফলন আর চিৎকার। চূর্ণ করার পরও অনুভব করতে পারি এই সব কিছু। ঘরের জন্য এত নাদ যেন সমস্ত জগৎটাই ভীষণ ছোটো হয়ে আসে। পৃথিবীর ভেতর আমি হাত পা ছড়াতে থাকি। পুরোনো কবিতার শরীরকে আশ্রয় করে বেঁচে থাকি।
৩
দীর্ঘমেয়াদি যা কিছু। পর্যায় অ-পর্যায়। ঠোঁটের নির্জনতম বিভ্রম। চামড়া ছিঁড়ে তোলা। খুঁটে খাওয়া মাংস— মায়ার অহংকার ধারণ করে। যেভাবে মানুষের পর্যায়ে মানুষ ভাঙে। চলমান হতে থাকে প্রাচীন পাথরও যোগাসনে টেনে রাখে। গাছের কথা শেষপর্যন্ত থাকে। মানুষ হতে হয়। জল তুলে আনতে হয়। কোথাকার যেন গভীর কুয়ো জলের মধ্যে আমার মুখ দেখি। ভ্রান্তি তৈরি করি
৪
উদাহরণস্বরূপ বেঁচে থাকার কথা বলব। এখানে ওখানে ছড়ানো নিজেরই মৃতদেহ দেখাব। বিপুলভাবে পুরোনো এই ভোর। ফেলে আসা জলশব্দের মতো নিঝুম গাঢ় হয়ে আছে। সেদিনের কথা গান উৎপন্ন হচ্ছে সাথে ঘুমও। “আর জল নেই”— রব উঠছে। গৃহে ফিরছে এত পাখি! এই যে দেহসমষ্টির কথা বলছি। পাপের বিনাশ হচ্ছে। অবুঝ দেওয়ালের জন্য কারুকার্যরত আমি বিশেষ সময়ে ধসে যাই। যেন আমিই ধাবিত ছবির পর ছবিতে। উড়ন্ত হাঁস আমি, ভুলবশত ডানা রেখে এসেছি। দিনগুলো এত পুরোনো হয়েছে তার স্বাদও। অক্ষত থাকেনি পাখির বিশেষণও। উদাহরণ রাখছি নিজেরই। ভাঙা মৃত্যুর। দেহও যেখানে নেই। কেবল আমিই থেকে গিয়েছি আজও।
৫
আমাকে তুমি জলের সঙ্গে তুলনা করতে পারো। দিন অতিক্রমণের ভাষা আমাকে শিখে নিতে হচ্ছে। একটি ট্রেনের গন্তব্য বহুদিনের। কেউ ভাবছে অতলের কথা। যত্ন-লালিত উপচার। পূজাপদ্ধতি যাবতীয়। জীবন যেখানে যুদ্ধান্তের ইঙ্গিত করে। ভেবে নিতে হয় জীবের অভিজ্ঞান আগুনের দিকে ভীষণ। জড়িয়ে আসা চোখ ঘুমের বিদ্রোহ করে। সব কিছু নিয়ে কথার জালিকা তৈরি হয়। পৃথিবীর বুকে পুরোনো সন্ধ্যা নামে। আমি এ-সব জটিলতা নিয়ে থাকি কখনো-বা গান করি ঘুমে বিচ্ছিন্ন হই।
আঙ্গিক একেবারে নতুন। ভালো লাগল। ভাবছি।