
মণিশংকর বিশ্বাসের কবিতা
মৃত্যু সম্পর্কে আর একটি ছেঁদো কবিতা
খুব টানটান চাদর
যত দিন যায়, দিগবিদিক জুড়ে টান বাড়ে,
প্রতিটি নিশ্বাসের সাথে প্রতিটি সুতোয়
আরও বেশি টান লাগে—
টানের জোয়ার আসে
রুদ্ধ সঙ্গীত—
প্রতিটি শ্বাসাঘাতে মথিত ঘাসের দাগ, গুঁড়ো গুঁড়ো রক্ত
সমস্ত চাদর জুড়ে ক্ষমাহীন ছিদ্র,
যেন রাতের আকাশ (খুব ক্লিশে)
নুনগাছ, পাতার আড়ালে ঝিঁঝিঁ ডাকে
এভাবেই একদিন ভোর হয়ে যায়
মলিন চাদরখানি তখন আশ্চর্য এক
শিশিরলাঞ্ছিত মাকড়সাজাল
উজ্জ্বল ঘাসের উপর এলানো রয়েছে
স্বচ্ছ জালখানির নিচে সামান্য কয়েকটি নুড়ি-পাথর…
গন্ধ
এমন অন্ধকার,
তার স্বরূপ বুঝি না
কিন্তু খুব চেনা লাগে
যদিও এই অন্ধকারে
তাকে জানা হয় না একটুও
স্নায়ু
কীভাবে তাকে শান্ত করে আনি—
কীভাবে বোঝাই তাকে
‘তুমিই আয়না–
তুমিই প্রতিচ্ছবি!’
কাউন্টারপয়েন্ট
যখন মেয়েটির সৌন্দর্যকে
সম্পূর্ণত যৌনতায় অনুবাদ সম্ভব হয়–
দেশি নাইন এম এম থেকে
ছুটে আসা গোলাপ ফুল
মনে হয় তাকে।
আত্মজন
এই শরীর একদিন আর সাথ দেবে না
এ শরীর, একদিন সব ছেড়ে দূরে চলে যাবে
কাঠ-পোল পার করে, জল-জঙ্গলের দেশে,
ভূমায়…
ভালো ভালো লেখা!
জীবনের কথা লেখো মণিদা, মিলনের কথা লেখো…
খুব ভালো কবিতা। গলায় মধ্যে দলা পাকানোর মতো
অবচেতন-জোড়া মৃত্যু ভয়
জীবন প্রেমে ঘেরা।
আপনার ব্যঞ্জনাধর্মী মৌলিক কাব্যভাষা এবং বিষয় নির্বাচন মুগ্ধ করে।
ভালো থাকবেন। আরও অনেক লেখা চাই।
খুব সুন্দর মণি,দারুন কবিতা।