
নীলাদ্রি দেব -এর কবিতাগুচ্ছ
অনিশ্চয় আলোর দক্ষিণে
১.
বহুবর্ণ মিশে যাচ্ছে সন্ধ্যার আশ্চর্য প্যালেটে
একখণ্ড প্যান চিত্রে সচল গতিতে
তার কতটা মুগ্ধ স্পর্শ পায়
আকণ্ঠ গিলে নেবে তাই
দিগন্তের মৃদু আলোর ক্ষেত্রফলে
ছায়াশরীরের এত চরিত্র, অখ্যাননামা
বাল্ব ও হলুদ আলো ধরে রাখা অগণন তার
এইসব বিদ্যুৎবাহী বিশ্বাসের শেষে
যতটা অন্ধকার, আমাদের প্রকৃত নিরাময়
২.
কেউ আসবে বলে
পূর্বজন্মের ফেলে আসা থানে আলো ছেঁকে রাখি
গর্ভের পেছল বেয়ে যতটা শাদা, কালো
আর মধ্যবর্তী ধূসর পরগনা,
পাখি কেটে যায়, বেড়াল, মানুষও
কেউ আসবে বলে অন্য কেউ আসে
ইন্দ্রিয়ের প্রতিটানে ভাগশেষ বোধ পাই
সম্ভাবনার সূত্র সমীকরণ দেয় দেবী ঘট,
এক সরা ধান
৩.
যতটা দৃষ্টির ভেতর দেখা
দৃশ্য ও দৃশ্যতর, গভীর টেনে নিচ্ছে অন্য বিন্দুতে
প্রকট নয়, প্রচ্ছন্নের প্রভাব বড় গাঢ়
স্থূল সাড়ে তিন হাত ন্যূনতম, নিরপেক্ষ হল না
ব্যালেন্সের ব ঝুলে পড়ল রশ্মির সমান্তরাল
ছায়া বড় ঠেকছে
ঘনবস্তুর পেটে ঘনবস্তু, তার পেটে
প্রবেশ, প্রস্থানের হরফে ভাষার অসংলগ্ন
ডিকোড হয়নি বলে উড়াল ছায়া রাখছে না আর
৪.
প্রতিটি বিস্ময়ের দিকে স্থির শরীর
অথচ একক ও উপএককের চঞ্চল
স্পর্শক চিহ্নিত পথ আয়ু বরাবর
গড়িয়ে যাচ্ছে ক্রম, দাগছাপ
আঁচড়ের সূক্ষ্ম কেউ তুলে রাখে গোপন
কেউ খোঁজে অনির্দিষ্ট সময়ের পর
এমনই সামান্য সময়ে লাল শালুর পুঁটুলিতে
প্রাচীন শ্বাসের মুখোমুখি আত্মার নতুন পোশাক
৫.
প্রথম আলোর দিকে হেঁটে
বৃদ্ধ একটি পথ
পথিক ফিরে তাকাইনি বলে
মাধ্যাকর্ষণ মিথ্যে হতে পারে না
নির্দিষ্টের বাইরে ইতস্তত
এই কাঠাম পুজো, বিন্যাস ল্যান্ডআর্টে
পাখি চোখ থেকে অবস্থানের বিন্দু খানেক
তবু মায়া খেলা, সব পথ মিশে যাওয়া চকে
মনোক্রম চায়ের দোকান
CATEGORIES কবিতা

