
সুবীর সরকারের কবিতাগুচ্ছ
জীবন
যখন দূরের পাহাড়ে আলো তখন স্ট্রিটলাইটের নিচে
কবিতা পড়া হচ্ছে
কথায় কথা বাড়ে।
কথাপ্রসঙ্গে কাঁকুরগাছি মোড়,উড়ে যাওয়া
মেঘ।
লাফ ভুলে গেছি।
নদীতে ভাসতে থাকা নৌকো ভুলে
গেছি।
এখন লম্বা দুপুরে কুলোর বাতাস।
খড়কুটোর জীবন।কোন বিষাদ নেই
আমাদের
তোরণ
পুতুলকে পোশাক পড়াবে বলে শিস তুলছো দু’বেলা
ছায়ার তোরণ।
হাসপাতালের শাদা বারান্দা।
স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে গিয়ে নেমে পড়ি
পা_ডোবা জলে
প্রতিবেদন/১
মধু, মোম আর পায়রার পাখনা
এই নিয়ে একটা সজলতা তো তৈরি হতেই
পারে
খরা ও বন্যার প্রতিবেদন।
বলড্যান্সের আসর ছেড়ে ফিরে আসা
তান্ত্রিক
আমি তো নদীনালা হারানো মানুষ!
কপালের ভাঁজে আলো পড়লে
হাতের তালুতে ভেজা মেঘ এলেই
আমরা গিটার ও নৌকো নিয়ে নুতন করে ভাবতে
শুরু করি।
প্রতিবেদন/২
প্রতিবেদন শুরু করবার আগে মৃতদের মুখ।
তোমার হেসে উঠবার সামনে এক কাপ চা খুব
সামান্য মনে হয়
শনিবারে গির্জায় যাই।
টংঘরে বসে আইসক্রিম
খাই।
একসময় দেখি,প্রতিবেদন ঘিরে ফেলেছে জোনাকির
আলো
স্মৃতি ও স্নানাগার
আবার সেই মোরগডাকের ফাঁদ।
রুলটানা কাগজের স্মৃতি ছুঁয়ে কেমন
নিবিড় ঝোপজঙ্গল!
_ভুরু কুচকে তাকাবেন না।
_সরাসরি চোখে চোখ রাখুন।
ভিখিরিদের গ্রামে এখন ব্যান্ড বাজে
সবাই উনুন নিভিয়ে ফেললে
দীর্ঘ পাহাড়ের ছায়ায় স্নানাগার রেখে