
শ্যামশ্রী রায় কর্মকার -এর কবিতা
আমি কি উত্তর?
জীবনের খুব কাছে গেলে তার ক্ষত দেখা যায়
জানুর মসৃণ কিংবা আলোর প্রশস্তিময় উরু
ওপরে ফাগুন গান, সংকেত, যে নাতিদীর্ঘকায়
কীভাবে আড়ালে রাখা, যদি তাকে সমাদর করি
সমাদর অর্থটি কী, একমাত্র তখনই কি বুঝি?
সুখবৃন্ত, হর্ষকূপ, জেগে ওঠা অরণ্যবল্লভ
সংকেত জল্লাদ কেন? যে সংকেত অসমাপ্ত গান
সুর তার ভবিতব্য, একথা সে কেন ভুলে যায়?
তার সে জমাট ভুলে ঢেকে আছে দুঃখ-চরাচর
কী উন্মুখ হয়ে আছে, কবে তাকে উপলব্ধি রেখা
স্পর্শের উত্তাপ দেবে ক্রমাগত, ফোটাবে চঞ্চল
ফোটাবে কুহর, শিস দিয়ে উঠবে দিগন্তকামনা
প্রতীক্ষা জমাট বাঁধে, তাকেই প্রতীক্ষার ওপর রেখে
ক্রমশ প্রাচীর গড়ি, ক্রমশ মুড়োয় নটেগাছ
হাজার হাজার ঊরু কুরুপুত্র হয়ে উঠলে তাদের
গল্পের চরিত্র ভেবে শান্তি পাই, খাতার অসীমে
অন্তর্গত আঁকিবুকি কেটে ভাবি আমিই উত্তর
নত
প্রণতি তোমাকে দেবো বলে খুঁজি আকাশ-পাতাল
অথচ তেমন তুমি পাই না তো! আমারই কি ভুল?
যদিও হাজারবার মেনে নিই, কবুল! কবুল!
তোমাকে তেমন করে নত হতে দেখি না তো! নত
নাহলে অধর ছুঁয়ে কেউ কি হয়েছে উন্নত?
নাহলে প্রণতি শেষে কীভাবে করবে আলিঙ্গন?
শ্যামাশ্রী রায়ের লেখা দুটি কবিতাই ভালো।