
শতানীক রায়-এর কবিতা
যাওয়া-আসা
১
কোনো কোনো দিন আমি স্বপ্নের ভেতর একটি ঢালু পথ হিসেবে থেকে যাই। কখনো-বা পথচারি। পথের ঘাসও হই কোনো একদিন। কেন যে পথ সংক্রান্ত শরীর থেকে স্বপ্নবীজে আমি— বহুরং বিশিষ্ট প্রতিফলনে নদী। শোনো। একের পর এক দিন চলে যায়। সন্ধ্যার মানুষেরা একে-অপরকে ভীষণ গভীরভাবে দ্যাখে আর টুপ করে হাসিতে রূপান্তরিত হয়। তাদের সাড়াশব্দহীনতা… আমি এমন করে পথ, তারপর ঘাস, পথচারি, টানটান হওয়ার প্রক্রিয়ায় এমনভাবে থাকি, এমন সব গঠনে রাতদিন স্বপ্ন দেখি, আলাপ করি, তৃষ্ণা-জাগ্রত পাহাড় হই, ক্রমাগত তিরতির করে এগিয়ে যাই, নদী অথচ না-নদীর জীবনে স্বপ্ন অথচ না-স্বপ্নের জীবনে সব ম্লানতর হয়, সবই ম্লানশব্দ চেতনাবিধুর এই বিচিত্র ঢালু পৃথিবীর ভেতর থেকে যাই লক্ষ বছর
২
তাকানোর অভ্যাস করতে গিয়ে ভঙ্গি অবলম্বন করি। আর এই তো রাত গড়াতে থাকে শেষ বাক্য পর্যন্ত। একের পর এক শব্দ। তারপর হয়তো বয়স। এই একইরকম বেঁচে থাকার প্রসঙ্গ। ঘুম থেকে বিচ্যুত একজন মানুষ কখনো গল্পও হতে পারে। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা এই যে পৃথিবী। ব্যাখ্যা আর যোগাযোগে কী পরম। গ্রহচ্যুতও হতে পারে শব্দ নিঃশব্দ প্রার্থনায় সংগীত রেখে আসা রাত— কত যে শরীরের কথা হল সেদিন। নরম হয়ে সেদিন উঁকি দেওয়া মাংস এমন স্থির কেন। অবলম্বন থাকে। মৃত্যু নিয়ে কথোপকথন আমার। এই যে কবিতা থেকে বেরিয়ে এসে কবিতারই কাছে ফিরে আসি।
মন ভরে গেল। শুভ নববর্ষ !
মুগ্ধতা