
ফজলুল হকের কবিতাগুচ্ছ
( উৎসর্জন: জয় গোস্বামী )
শৈশবের স্মৃতি
যতদূর মনে পড়ে কবির প্রথম স্মৃতি , শৈশবের।
জনারণ্যের ভিড় ঠেলে প্রিয় সহযাত্রী আর পরম-আত্মীয়দের
দূরে সরিয়ে পথের বাঁকে গিয়ে দেখি,
পথ গেছে জঙ্গলের দিকে।
তার পরের সবটুকুই এখনও জল-জংগলের ইতিহাস।
দেবীর অকাল বোধনের গল্প শুনিয়ে একদা কবিরও
মনোভূমি তুমুল আন্দোলিত হয়েছিল।
মাতৃরূপেন রূপ-পিপাসায় কবি এরপর
একমুঠো জলের সন্ধানে ছুটে বেড়িয়েছে
সিংহল সমুদ্র থেকে কালীদহ হয়ে পারস্যের রূপালি বন্দরে।
সে অনেক খোঁজাখুজি।
প্রথম দিনের সূর্য এবং
কবির স্মৃতি দু’জনেই সমান বয়সী।
একদিন তারও বহুদিন পর পঞ্চখন্ডের বাসুদেবের মেলায়
মায়ের জন্য নিকিরির দোকান থেকে মোয়া কিনতে যেয়ে কবি টের পায়,
তার শেষ পারাণির কড়িও হারিয়ে গেছে।
সারা দিন জগন্নাথের বাড়ির পথে-প্রান্তরে সে ঘুরে বেড়ায়।
হাজার বছরের চেনা-জানা পথ তাকে আলো-আঁধিয়ার কামে-প্রেমে খেলে।
বেলা গেলে মা’কে মনে পড়ে।
ধূলি-মলিন, রিক্ত-নি:স্ব বাড়ি ফেরে কবি।
তখনও বাসুদেবের মেলায় রথযাত্রা। লোকারণ্য।
শ্রীলেখার হাত ধরে প্রিয় চোরাটানে বিচিত্র বর্ণবিভঙ্গের সাক্ষী হংসমিথুন ডুবসাঁতারের গল্প
কবির দিন যাপনের সেইসব হিরন্ময় কূহক
কুয়াশার আঁধি পেরিয়ে আজকাল ধুলায় গড়ায়।
একদিন খাসিয়া-জৈন্তা ছুঁয়ে উত্তরের হাওয়া এসে কবির জানালায় বসে।
কে বলে গো, সেই প্রভাতে নেই আমি
একদিন বসন্তের হঠাৎ হাওয়ায় শিমুল তুলোর ওড়াওড়ি দেখতে দেখতে
তিরিশ মাইলের পথ পেরিয়ে কবি এসে নামে, কদমতলায়।
ক্বীনব্রীজের দু’পার ছাপিয়ে তখনও অজ¯্র জনতার চলা।
গলির ধারে ভাঙ্গা কোন এক বাড়ির পাশে বুক-ভাঙা ডানা ভাঙা কবি
শীত-ঠকঠক কাঁপতে কাঁপতে পথ খুঁজে।
দেখে, এবার পথ গেছে পণাতীর্থের দিকে।
তার পরের পথটুকুই ইতিহাস।
তখন কবিতা নদীর দুঃখের মতো
নিরন্তর ভাঙতে ভাঙতে নির্জনতার অভিসারী।
কখনও আরুণি-উদ্বালক কিংবা রুমীর মমতায়
সেই থেকে কবিতার দিকে নিরন্তর ছুটে চলা।
অত:পর বোধের অতীত এক সারস্বত সত্য-নাম
কবিতার তীর্থে এসে প্রতিটি জন্মের দিনে জানায়:
“কে বলে গো, সেই প্রভাতে নেই আমি”।
ঝড় জল আর অপমানের ভিতর দিয়ে
ঝড় জল আর অপমানের ভিতর দিয়ে কবির সঙ্গে কবিতার পরিচয়।
মাঝ নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে একদিন দেখি মরতে বসেছি।
তখন এই জরাসন্ধ মাঠের মিথ্যুক কূহকের সাথে আমার সখ্যতা হয়নি।
মেলা থেকে কেনা আম আটির ভেঁপু হাতে দিগম্বর এক গ্রাম্য বালক
চেনা সন্ধ্যায় বাড়ি ছাড়া।
নিরুদ্দিষ্ট, নিয়তিসর্বস্ব ভিখিরি।
কখনো পথে, কখনো প্রান্তরে,
পাহাড়ের খাড়াই পেরিয়ে
গিরি-গহŸরের ধূসর অন্ধকারের নীলাভ শ্যাওলায়
স্বপ্নের ভিতরে স্থিত স্বপ্ন-ফেরি খুঁজি।
অপমানের ঘোর কাটতেই কোন এক মধ্য দুপুরে আমাদের পরিচয়।
এই প্রথম একজন কবির সাথে দেখা !
ক্লান্ত দেহ, হাড্ডিসার একমাথা বনচুল।
তা’সত্তে¡ও নিবিষ্ট ধাত্রীর মমতায়, ইশারায় কাছে ডাকলেন।
তার পরের ইতিহাস জলে লেখা।
দীর্ঘদিন তপোবনে কেটেছে অত:পর।
কবির বীরত্বগাঁথা ঢের বেশী অলেখা রয়েছে।
কবিতা আর কতটুকু বেদনা জেনেছে ?
বিষের অধিক এক বায়বীয় যন্ত্রণায়
কবিও এক সময় টের পায়, সেও যাতাকলের গম।
প্রদীপের মতো তাকেও জ্বলতে হবে ভোরের সূর্যোদয় পর্যন্ত।
বাঘ খুঁজে বেড়াচ্ছে তোমার কৃষ্ণের বাঁশি
আসামের ঝাটিংগা থেকে হাফলং
যেন পাথরের নিচে বরফের নদী।
ঝাটিংগা জায়গাটার একটা চৌম্বকধর্ম আছে।
তিন পটই চতুষ্কোণ, তিন পাহাড়ের এক পাদদেশ।
ইতিহাসে এর নাম পাখি-মরা।
জীবন-মৃত্যুর এক রূপালি উপত্যকা। পাখিদের বধ্যভূমি।
বছরের সে এক গভীরতম পূণিমার
রাতে পৃথিবীর পাখিরা এখানে মরতে আসে।
ভোরের নরম আলোয় মানুষেরা পাখিদের মৃত্যু দেখে।
মৃত মেয়ে পাখিদের মাংস সংগ্রহ করে বস্তির শিশুরা আগুনে পুড়ে খায়।
তাদের প্রতিবেশী লোকজন এতে মজা পায়।
কিন্তু তারাও জানে না ভূ-ভারতের পাখিরা কেন এখানেই মরতে আসে ?
না বিজ্ঞানী না ইতিহাসকার না দরবেশ কেউ জানে না।
ধরা পড়ার আগে
ছায়া সঙ্গীর হাত ধরে সেই ক্ষণে কবিও পালিয়ে এসেছে।
সেই স্মৃতি এখনও নির্বেদ।
এমন অনেক ছবি ও কথার ঠাঁই হয়নি তার আপন নির্জনতায়।
পূর্বসূরীদের
লেখায় আজীবন মুগ্ধ কবির আটপৌরে জীবনের কথা
কিংবা হঠাৎ খেয়ালের বশে
সংসারের অজরুরি ও অমূল্য যাবতীয় সংগ্রহ
এক সময় জলের মায়ায় জলে ভাসায়।
প্রণয়ের টানে জলে নেমে গিয়ে দেখে,
নদীতে এতো জল ? জলের এতো জ্বর !
তার চেয়ে অরণ্য অনেক ভাল।
মায়াময়ী মেঘালয়ের পথে হাঁটতে হাঁটতে
যে ডাকাবোকা পাহাড়ি তরুণী চোখ টিপেছিল
তাকে পাওয়া যাবে ফের ।
রাতে কোন ঝর্ণাতলা কিংবা মন্দিরের আঙিনায় শুয়ে
শোনা যাবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কিংবা রবীন্দ্রনাথের বাঁশি।
এখন কবির সংসারে আগুন
ঘর-গ্রাম-শহর সর্বত্র আগুন। অরণ্য-জনারণ্য জ্বলছে সর্বত্র।
পান্ডব-গৌরবলুপ্ত কবির বসতি এখন কৌরব শাসিত।
ভাবে, এর চেয়ে বনবাস ঢের ভালো ছিল।
অত:পর হৃতবাক অশ্রæসিক্ত কবি ঘরে ফেরে ঊষাসরণী ডিঙিয়ে।
পেছনে থাকলো পড়ে বৃন্দাবন, হরিদাস সমারোহ
টপ্পা-খেয়াল-গজল-ঝুমুর আর আ¤্রপালির কত্থক অর্চনা।
স্বপ্নবিভঙ্গের আগে বনতরুদের সাথে
কবিও খুঁজেছিল :
মুরলিয়া ক্যায়সে বাঁজাও শ্যাম…
দুঃখ এই যে, এতে দুঃখ নেই তোমার মনে
দীপান্তরের শেষ দিন।
এই ডাঙা ছেড়ে যেতে যেতে অগ্নিদগ্ধ কবি
যেন ক্লান্ত প্রফেট !
শেষ প্রহরে। সমবেত দ্বীপবাসী ও শিশুদের বললেন,
কবিতা একটি ব্যক্তিগত শিল্প মাধ্যম। যা একান্ত নিজস্ব, তাই তো পবিত্র।
প্রকৃত কবি বেঁচে থাকেন চেতনায়।
কবি ছুঁয়ে থাকে শুধু ছায়া।
নদীর সঙ্গে কথা বলেন।
বাতাসের কাঁধে হাত রেখে চলে যান পাহাড়ি ঝর্ণার কাছে।
লালন সাঁইয়ের মেলায় গিয়ে রাত জেগে শোনেন বাউল গান।
কবি হেঁটে যান জলজ নির্জনতায়।
তখন এক ধরনের উদ্ভাসিত যন্ত্রণা কবিকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
মাঝে মাঝে বর্ণময় ঝড় আসে।
এ ঝড়কে কবির মনে হয় প্রাগৈতিহাসিক যুগের কোন রহস্যময়ীর চিঠি।
কেন এ রকম মনে হয় তোমার ?
শ্রীলেখা এসে কাঁধে হাত রাখে কবির।
তার চোখ তখন জলে ভরে যায়।
দূরে,আরও দূরে যতেœ গড়ে তোলেন বন্দি শিবির।
এ শিবিরে আসে নর্তকী, আর্তনাদ আর ছাপচিত্র।
কবির শরীর জুড়ে নামে অচেনা সংগীতের আবহ।
দূর থেকে, বহুদূর থেকে শোনা যাচ্ছে অশ্বারোহিণীর ছুটে আসা।
ঘোড়া থেকে নামে নারী।
তার শরীর জুড়ে ছায়াময়, মায়াধোয়া অভ্রনীল পোশাক।
সে হাত বাড়িয়ে একটি চিঠি, কবির দিকে এগিয়ে দেয়।
কবির বুকে ঘুমিয়ে থাকা কবিতার সাদা পাতাগুলি
উড়তে উড়তে তখন পৌছে যায় :
‘সিংহল সমুদ্র থেকে, আরো দূর বিদর্ভ নগরে’ !
তখন তটভূমি এবং অপসৃয়মান জাহাজের মাস্তুল দুটোই অস্পষ্ট।
সকলেই প্রতীক্ষারত।
শিশুরা গুমরে কেঁদে ওঠে মায়েদের ঝাঁপটে ধরলে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে কবি,
“দু:খ এই যে, এতে দু:খ নেই তোমার মনে” !
না
এখনও অস্পষ্ট
বহুদিন আগের এক দীর্ঘ না !
তার পর চরাচরহীন অনেক বিরাণ গন্তব্যে
খুঁজে খুঁজে ফিরে গেছি, সেই
না
অর্থহীন ধ্বনিবিহীন-রঙরিক্ত ব্যর্থ বেদুঈন।
ক্রমশ: জল ভেঙ্গে বনের পথ দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে গেছি
নক্ষত্র বিছানো রাত এবং
নরম নোলকপরা ভোরের স্বপ্নগুচ্ছ দেখেছি মৃত
কতো
পরিশ্রমী হাত !
এখনও বিস্ময়
অনেক দিন আগেকার পরমাগত গরিয়সী
সেই
না
আজও ভালোবাসি
নিবিষ্ট ধাত্রীর মমতায়।
সব দু:খ সঙ্গে নেবো না
সব দু:খ সঙ্গে নেবো না, কিছুকিছু স্বপ্নচূর্ণ
সুখের মোড়কে এঁটে গেন্ডাফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে
পথে রেখে যাবো।
যদি যেতে চাও, যাও
দারুগন্ধময় কোনো মিতবাক মেঘ মেঘলা দিনে
নতোন্নত শারীরিক রেখা ছুঁয়ে ছুঁয়ে
নরম পাথরে তৈরি কাঁধের পাহাড় থেকে
যে হাত নেমেছে-
সে তোমাকে কখনো পাবে না।
তবু কোথায় দাঁড়াবে তুমি
চারিদিকে এতো শূন্যতায় ?
সব দু:খ সঙ্গে যাবে না,
কিছু কিছু উৎকন্ঠাও
যে রকম কৃষকের থাকে,
থাকবে সেটাও
যদি নিতে চাও, নেবে।
নির্বাক, একা গৌরবে
রোদ্দুরের নির্জন ছায়ায় ওরা এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।
পথ হাঁটবে না
প্রফেট হাঁটতেন
পথের কাঁটা চিনে পাতা সরিয়ে।
আমরা চিনেছি পথ
না চেনার ভান করে যতবার, পায়ে কাঁটা ফুটে
ততবার ধাঁধায় পড়েছি।
রবীন্দ্রনাথও পথে নেমেছিলেন।
কোথায় গর্ত এবং নর্দমা খুঁজতে খুঁজতে
একদিন বুদ্ধ যীশু এবং মার্কসের
দীর্ঘশ্বাসের মতো ভাবেন,
পথের শেষ কোথায়……?
এসব গল্প জানে পথ, আরেক জেনেছে ইতিহাস।
আসলে, ভালোবাসার হাত না বাড়ালে
পথ কোনদিনই আমাদের সাথে হাঁটবে না।
যুদ্ধ ও কুয়াশা
কতোটুকু ফুল আর কতোটা পুষ্প
এই দ্বন্দে শেষতক
পাতায় রৌদ্রের ভিড়ে রেখে এসেছিল, অন্ধকারের মূখ
মাটি হেরে গিয়েছিল।
সেই সঙ্গে, যদ্দূর মনে পড়ে
এমন কথাও সকলেই জেনেছিল
নদীর সব জায়গায় কুয়াশা এবং চোখের পাপড়ির মাঝখানে
আকাশটা আরও নীল হবে
আকাশটা আরও নীল হবে।
অগত্যা, সতীর্থ দশজনের সাথে কবিও
জলে নেমে গিয়ে দেখে, নদীতে এতো জল !
এক জন্মের এই মামুলী দেখার মধ্যে চোখটিপে অনন্তকাল
জল-জংলার পথ ভাঙতে ভাঙতে
জানা গেল, প্রকৃতই
পথ গেছে জঙ্গলের দিকে।
এখন অবস্থা যা’ দাঁড়িয়েছে, তাতে মনে হয়
এই নিজ হাতে নিজের অক্ষরে
এতো গিরিপথ-বৃক্ষ-জলধারা এবং অন্ধকারের নির্জন মুখশ্রী
বাঘের চোখের আলোয় আজকাল বেশি নিরাপদ।
ভাবে, অন্তত: শৈশবের ঘাসফড়িং ধরার মতো এই গল্প
বিদ্যাপতির খাগের কলম
আর কেশবদাসের ব্রজভাষায়
সেই কোন দূর যুগ থেকে দশমুখে দশবার
যুদ্ধ ও জিঘাংসাদগ্ধ একেকজন কবির গরিমাকাহিনী।
কবি ফজলুল হকের কবিতাগুচ্ছ পড়লাম। অসামান্য চিত্রকল্পপ্রবাহে মূর্তিময় হয়েছে কবির আন্তর যাত্রার স্বরূপ–প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের গহন দ্যুতি যা সুনিশ্চিত করে প্রফেটিক অভিষেচন। অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা।
ফজলুল হকের কবিতাগুচ্ছ অসাধারণ ! কবিতাগুলোয় একটা অদ্ভুত ছায়া-নিবিড়তা আর স্নিগ্ধতা! ফজলুল হকের কবিতা পড়ে মনে হয় (আগেও অন্যত্র পড়েছি) উনি যতটা না কবি, তার চাইতেও বেশি কবিতার সাধক । আবহমানকে অভিনন্দন, কবিকে অভিনন্দন!
কিছু ভাষা থাকে যা শুধু একান্ত নিজের, আপন। সেই ভাষার সামনে দাঁড়ানোর একটা পরশ – সব সময় অনুভব করলাম!
ফজলুল হক আমার পরম প্রীতিভাজন কবি। দীর্ঘ চারদশক আগে থেকে তার কবিতা আমি ঢাকার প্রধান দুটি দৈনিকে ছেপে আসছি। আবহমানকে ধন্যবাদ নিভৃতচারী অথচ শক্তিশালী এই কবিকে যথাযথ সম্মান প্রদান করায়। ফজলুল হক কবিতায় প্রকৃতির সঙ্গে জীবনের গভীর বোধকে মেলাতে চান। বাংলার লোকায়ত ঐতিহ্য এবং স্মৃতির কাছে বারবার ফিরে যান তিনি। এই কবিতাগুচ্ছ তার ব্যতিক্রম নয়। ধন্যবাদ কবি।
কবি ফজলুল হক সদ্যপ্রয়াত হয়েছেন। এক অনন্য কাব্যপ্রতিভা নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। নিজেকে আড়াল করে রাখার কৃৎকৌশল রপ্ত করেছিলেন কেনো সেটি- রহস্যেয়াবৃত হলেও নিজের সৃষ্টিকে জানানোর বাসনা ছিলো। তিনি তার ব্যক্তি পরিচয়ে নয়, সৃজনশীল কাব্যিক ব্যক্তিত্বকে নিয়েই এগিয়ে যেতে চেয়েছেন।
আমাদের কালের অগ্রজ কবি ফজকুল হক তার কবিতার মতোই পাথরের নিচে চাপা পড়া বরফবিগলিত জলধারার নাম। প্রকৃতিকে আত্মস্ত করে কবিতায় যাপন অতো সহজ ছিলো না। কিন্তু তিনি সেটি রপ্ত করে পথ ও পথিক হয়ে রউলেন। অতল শ্রদ্ধা কবিকে।