
পার্থজিৎ চন্দ-র কবিতা
স্বপ্ন
মাঝে মাঝে অদ্ভুত স্বপ্ন দেখি
দক্ষিণ-সাগরের দিকে মাইল-মাইল শ্বাসমূল
মাটির সামান্য নিচে শিলাকান্থ
চোয়াল ফাটিয়ে শুষে নিচ্ছে অম্লজান
আর এক প্রসূতিসদন…
অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের মতো ভীতু ও ফ্যাকাসে।
ধাত্রীর রক্তমাখা দেহ; অস্পষ্ট, কালচে তুলোর প্যাকেট
ট্রলিতে চাপিয়ে, ঠেলে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সদ্যজাত, পিণ্ডাকার হাত
শুধু ঘন-ঘন মাথা ঝাঁকিয়ে, সমুদ্রের দিকে অবাক তাকিয়ে
বলেই চলেছে- আদি-সমুদ্রের শেষে সংগম আছে মানি,
বাট্, ওহ্ মাই লর্ড। ভাষা যদি ইন্সটিংক্ট না-হ্য তা হলে
প্রাকৃত জনের কাছে এত আলো কোথা থেকে আসে!
কুহক-সন্তান
হাওয়ার ঘর, আর তরুণ পলাশ
রাত্রি থামিয়ে দেওয়া প্যাঁচা
অন্ধদেবী, বরাভয়, ঘোড়া-
মৃৎপাত্রে কুমোরের অশ্রু
সেই জলে দেবীর বোধন
গলে যাওয়া চোখ, নাক, মুখ
আর তুমি কুহক-সন্তান