
জয়দীপ রাউতের কবিতা
খোয়াইস
‘চলো, কোথাও বেড়াতে যাই’–
আমি বলি শ্রীমতী নন্দীকে
শান্তিনিকেতন কিংবা আরও কোনও
দূরাকাঙ্খার দিকে…পথ
আষাঢ়
মেঘে, কাঠের নৌকার মতো
ডুবে যাচ্ছে পাখি
আমি শুধু, সেটুকুই লিখে রাখি
শ্রাবণ
এসো, যদি আসবেই তবে আজ
মেঘ ক’রে এসো
বিষ
শরীর সাপের মতো ঠান্ডা হয়ে আসে
আর খুব ছাতিম গন্ধের মতো ঘুম পায়
তোমাকে ভোলার এই সহজ উপায়
সখী, মুঠোয় পেয়েছি
বেহুলা
আমি তোর বর
মনসাতাড়িত, ভীত
লখিন্দর
শ্মশান
তুমি চলে গেছ নাকি!
মৃতের শয্যার পাশে তবু
রজনীগন্ধার মতো ফুটে থাকি
ইন্দ্রাণী
কতকাল,
আমার ব্যথায় তুমি কত রাত্রি জাগা!
এসো,
বেঁধে দিয়ে, যাও আজ
আমারই রক্তে লাল
বিপত্তারিণী তাগা
যম
দূরে তীর ।
চন্দ্রাহত এক সমাধিসৌধের দিকে চেয়ে থেকে
চোখ জলে
ভরেছে যমুনাদির
ফ্রেজারগঞ্জ
সমুদ্রে এসেছি,
দূরে স্নান করছে দু’জনে।
দেখি ছেলেটির হাত ভরা
মেয়েটির নির্জনে।
ভোরের স্বপ্নে
আমাকে নিতে এসেছিল খাটো এক ধুতি পরা লোক
তাঁর এক হাতে শোক অন্য হাতে আনন্দ সঞ্চয়
চিনতে পারিনি আমি, অধস্তন কোনও এক দেবতা নিশ্চয়
অনবদ্য সব কবিতা।
দারুণ লাগলো।
বেশ ভালো লাগল
বেশ চমৎকার। প্রতি টুকরো সিন্ধুতরঙ্গ। চাবুক খোয়াইশ, বিষ, বেহুলা অনবদ্য।
অতি চমৎকার! কবিকে কুর্নিশ
বাহ দারুন সব লেখা