চয়ন ভৌমিক-এর কবিতাগুচ্ছ
গহনার বাক্স
১)
নিশ্বাস জড়িয়ে গেছে দুলে
দমবন্ধ হওয়ার আগে,
ভরসা দিও, তোমার চুলের ঘ্রাণ
জটের মতো সমাধানহীন…
ছাড়িয়ে নিও না – আমার শরীর থেকে
২)
অলঙ্কার হয়ে আছি…
তোমার সৌন্দর্যে, মুক্ত হয়ে গেছে
মহার্ঘ্য কারুকাজ, মহিমাকাজল
ক্ষণিকের মিশে থাকা, এইটুকুই
প্রাপ্তি কিংবা অভিশাপ…
কোমরে বিছাহার হোক,
গুঁড়ো হলুদের দাগ –
সুতোর আঁচল।।
৩)
ডার্ক সার্কেল থেকে
অন্ধকার ছিঁড়ে নিতেই, রাত নেমে এল।
হারিয়ে যাওয়ার ঠিক আগে,
দৃষ্টি ফিরিয়ে দিও আমায়
আমি দেখতে চাই, কীভাবে
আগুন জ্বলে ওঠে, আঙুলের ডগায়…
৪)
পানপাতার গভীরে, আমার
ঋজু বাঁশি বাজে।
মেঘে মেঘে ঠোঁট বিঁধেছে, গভীরতা নিয়ে-
ঢেউ ভাঙা কেশ, অবশ করে দাও চরাচর,
ওগো, শঙ্খ লাগুক, লতাগুল্মের ছায়ায় ছায়ায় ;
৫)
কবিতা লেখা সহজ কাজ নয়
প্রতিটি অক্ষর আঁকতে গেলে,
এক এক করে খুলে রাখতে হয় আভরণ
যেন বসন্তসেনা নৈশ অভিসারে ;
ক্ষণিক লেখা নিয়ে এরপর,
আয়নার সামনে দাঁড়াই –
চমকে উঠি নিজেকে দেখে…
৬)
প্রতিটি মানুষের জন্য
ঈশ্বর আলাদা আলাদা শিল্পী
মজুত রেখেছেন।
তাই তোমার চোখ, আর আমার চোখ
আলাদা আলো দেখে রোজ।
আলো তো একই,
তবুও আলাদা ভাবে দেখার মধ্যেই
নতুন নতুন ভাস্কর্যের জন্ম হয়,
পাথুরে স্তন, নরম হয় চন্দ্রাতপে।
আহা দারুন
ধন্যবাদ
মুগ্ধকর গুছকবিতা পড়লাম। কবি চয়ন ভৌমিক আমার একজন প্রিয় কবি। ওনার কবিতা বরাবরের মতো মন ছুঁয়ে গেল।