কুহকভরা জীবন্ত বৈখরী
: পার্থজিৎ চন্দ
সে দিনই অলোকরঞ্জন চলে গেছেন, চলে গেছেন মানে পার্থিব শরীর ছেড়ে বিদায় জানিয়েছেন পৃথিবীকে। বাংলা থেকে বহু দূর এক শহরের বুকে তিনি হয়তো তখনও শুয়ে আছেন নিথর শরীর নিয়ে, ভার্চুয়াল-মিডিয়ায় একের পর এক ভেসে উঠছে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পোষ্ট…এক একটি করে কবিতা।
অলোকরঞ্জন যে একজন ‘মেধাবী’ ‘পণ্ডিত’ ও ‘বিশ্বনাগরিকের মননসমৃদ্ধ’ কবি সে নিয়ে অধিকাংশ মানুষই সহমত। ব্যপারটা কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় যে জায়গায় এসে দাঁড়াল তা হল অলোকরঞ্জন কেবলমাত্র একজন ‘মেধাবী, পণ্ডিত’ কবি। আমি তাঁর কবিতা-সংগ্রহ খুলে বসেছিলাম। এবং দেখতে পাচ্ছিলাম এই সব সত্ত্বা থেকে ক্রমশ বিযুক্ত হয়ে যাচ্ছেন এক কৌমচেতনার জাতক। অলোকরঞ্জন অতি অবশ্যই একজন বিশ্ব-নাগরিক; কিন্তু তাঁর কবিতা পড়তে গিয়ে বারবার মনে হয়, অন্তত আমার মনে হয় প্রায় অবলুপ্ত হয়ে আসা বাঙালির কৌমচেতনা, চর্যাপদের পদকর্তাদের জীবন-সংলগ্ন হয়ে থাকা গূঢ় সুউচ্চ এক প্রান্তিক জীবনসত্যকে তিনি বহন করে চলেছিলেন। এই সত্যটিকে তিনি আঁকড়ে ধরতে শুরু করেছিলেন তাঁর লেখালিখির একদম সূচনা পর্ব থেকেই। যদিও এই একটি পরিচয়ে তাঁর মতো একজন কবিকে বেঁধে রাখা ঠিক হবে না।
অলোকরঞ্জনের কবিতায় ‘মেধাগত’(?) নির্মাণ আছে, কিন্তু তার থেকেও বেশি আছে এক নিজস্ব বোধনির্মাণ। গন্ধ-রস-রূপ-স্পর্শ থেকে শুরু করে শব্দতন্মাত্র পর্যন্ত বিস্তারী প্রাণের ধারণীয় বিষয়গুলি নিয়ে অলোকরঞ্জনের পৃথিবী।
বিভিন্ন ভূতের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা রূপকে একত্মের দিকে ধাবিত করে নিয়ে যাবার কথা বলে হয়েছে ‘কেন উপনিষদে’। এই একত্বের জ্ঞান অর্জণ করবার পর ‘জ্ঞানের’ পরিধি শেষ হয়ে যায়। শুধু হয় বিদ্যার পরিধি, সে পরিধি অকল্পিত ভাবে বিরাট ও বিশাল। জ্ঞান ও বিদ্যার মধ্যে পড়ে থাকা এই সীমারেখাটিকে অতিক্রম করেছিলেন অলোকরঞ্জন।
অবিদ্যাবশত যে জ্ঞানের জন্ম তা ইন্দ্রিয়গত এক ‘সত্যের’ দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায় আমাদের। কিন্তু অলোকরঞ্জনের সত্ত্বার ভিতর এক অখণ্ডের উপস্থিতি স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। এবং এই অখণ্ডের সঙ্গে তাঁর ইন্দ্রিয়নিবিড় সংযোগ। একজন কবির ঋষি হয়ে ওঠা বেশ অশ্লীল এক বিষয়, হয়তো এই ইন্দ্রিয়নিবিড় সংযোগের কারণেই অলোকরঞ্জন শেষপর্যন্ত একজন কবি-ই…ঋষি নন। ইন্দ্রিয়নিবিড় সংযুক্ততার বোধ তাঁকে রক্তমাংসের করেছে, এখান থেকেই এক ভাষাকাঠামোর মধ্যে তিনি নির্মাণ করেছেন আরেক চিহ্নপ্রসূতীর লক্ষণসমৃদ্ধ ভাষা। তাঁর কৌমচেতনার মধ্য থেকে উঠে এসেছে অবিশ্বাস্য সব টোটেম-চিহ্ন। বিশ্বনাগরিক হয়েও কোথাও এই চেতনার বাহক হবার ফলে তাঁকে কোনও দিনই ইউরোপিয় মর্বিডিটি ও নীচুস্তরের শ্লেষ স্পর্শ করেনি। দার্ঢ্য তাঁর অহংকার। তাঁর তত্ত্ববীক্ষাবিশ্ব সহজগম্যতার নয় এবং ম্যাজিক ওয়ার্ল্ডের অ্যনার্কি থেকে তিনি সমদূরত্ব বজায় রেখেছিলেন আজীবন। থিতু থেকেছেন নিজস্ব ডিসকোর্স নির্মাণে।
তাঁর প্রতীকি দোত্যনা-মিশ্রিত তৎসমশব্দবহুল কাব্যভাষা, মাঝে মাঝে কেন মনে হয় জানি না হয়তো অবক্ষয়ী আধুনিকতার দিকে ছুড়ে দেওয়া প্রত্যাখ্যান। অর্থাৎ এভাবেই অলোকরঞ্জন ছকবাঁধা আধুনিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত করেছেন। আবার কৌমচেতনার প্রকাশে শ্রেণী-অবস্থানের নিরিখে গড়ে ওঠা যে সচেতন ‘ডিক্লাসিফায়েড’ হবার প্রচেষ্টা সেটিকেও অতিক্রম করে গেছেন অলোকরঞ্জন। এখানেই তিনি এক major deviation।
বসেছিলাম ‘যৌবনবাউল’এর ‘বুধুয়ার পাখি’র সামনে। চোখের সামনে ভেসে উঠছিল এক সময়ে হাওয়া-বদলের লোভে পশ্চিমে ছুটে যাওয়া ড্যাঞ্চিবাবুদের পরিত্যক্ত এক বাড়ি। নির্জন এক ধুধু প্রান্তরে পড়ে আছে সে বাড়ি, শ্যাওলা-ঢাকা। একটি দেহাতি কিশোর বুধুয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সে-বাড়ির দিকে, তার জীবনে ছেয়ে থাকা সহজ আনন্দের নিরিখে এ-বাড়ির অতিকায় গভীর নির্জনতা তার কাছে অসহ্য।
কিন্তু কিছুপরেই এই উলম্ফণ ঘটে কবিতাটিতে। রিখিয়া ছেড়ে বাবুডির মাঠে হাঁটবার সময়ে বুধুয়া আবিষ্কার করে তার বাড়ির থেকেও বড় এক বাড়ি…ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি এস বসেছে পাঁচিলে। বুধুয়া সেখানে যেতে চায়…বুধুয়ার ডাকে সে বাড়ির দিক থেকে ছুটে আসে আলো। পথের কলস ভরে দেয় প্রতিদিন।
বুধুয়ার আবিষ্কার নিশ্চিত ভাবেই এক ম্যাক্রোর মাইক্রো’কে আবিষ্কার। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয়, কবিতাটির কোথাও আরোপিত দর্শনের সন্ত্রাস নেই। এক দেহাতি-কিশোরের অপাপবিদ্ধ আনন্দ ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে। অবাক-নির্মাণে কবিতাটির ভিতর থেকে সব কোলাহল মুছে গিয়ে ফুটে উঠছে নির্জন একটি বাড়ি ও এক দেহাতি-কিশোর।
অলোকরঞ্জন শেষ দু’লাইনে লিখছেন,
‘ঝাঁকে-ঝাঁকে পাখি আসে, কেউ তার দিদি, কেউ মাসি
রুপোলি ডানায় যারা নিয়ে যায় বুধুয়ার হাসি।’
-অলোকরঞ্জনের চলে যাবার দিনে আমি আবিষ্কার করলাম, এতদিন কী তীব্র কৌশলে কবি আমার কাছে আড়াল করে রেখেছিলেন ‘নিয়ে যায়’ শব্দদুটিকে। হয়তো কোনও একদিন আবিষ্কার করে চমকে উঠব বলেই এই কুহক রেখে যাওয়া। বহুবার পড়া এই কবিতাটির ‘নিয়ে যায়’ শব্দদুটির থেকে কিছুতেই নিস্তার পাচ্ছিলাম না। তার দিকে উড়ে আসা পাখিদের বুধুয়াই নিশ্চয় দিদি, মাসি ইত্যাদি নামে ডাকে। কিন্তু তার উড়ে যাবার সময় নিয়ে যায় বুধুয়ার হাসি। ব্যক্তি- প্রকৃতি শিল্প-শিল্পী নশ্বর ও পরমের মধ্যে অদৃশ্য সেতু আসলে ওই পাখির ডানার রোদের মতোই নরম এবং অমোঘ।
শুধু তাই নয়, হয়তো বুধুয়ার হাসির মতোই হাসি-হাসিগুলির প্রতিটি পল-অনুপল পুষ্ট করে চলেছে সেই অসীমকে।
কেন অলোকরঞ্জনকে বারবার মনে হয় নিজের ডিসকোর্স নির্মাণের বিষয়ে সচেতন ও যত্নশীল তার কারণ হিসাবে একের পর এক কবিতা উদ্ধৃত করাই যেতে পারে। এখানে শুধুমাত্র দুটি কবিতা একবার ফিরে পড়বার চেষ্টা করা যাক। দুটি কবিতাই অতি-চেনা ও বহুলপঠিত।
‘পান্থ’ কবিতাটিতে অলোকরঞ্জন লিখেছিলেন,
‘মাঝে-মাঝে স্পষ্ট করে বলা দরকার
ঈশ্বর আছেন,
মগডালে-বসে-থাকা পাপিয়াকে আর
পর্যবসিত বস্তুপৃথিবীকে স্নান করাচ্ছেন।
মাঝে-মাঝে স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন
তুমি যে আমার
সাধনার ধন,
তুমি চলে গেছ বলে আমাকে গাহন করবার
কেউ নেই, যত্রতত্র সেরে নিই মধ্যাহ্নভোজন’
-পর্যবসিত বস্তুপৃথিবী ও ঈশ্বরের মাঝখানে অলোকরঞ্জন যেন এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তাঁর বোধ ও বোধির জগতে তিনি সংলগ্ন। অথচ তিনিও উপলব্ধি করেন ক্রম-পর্যবসিত হবার প্রক্রিয়াটিকে। যেন একটি বিশাল মহাদেশ থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ড।
অলোকরঞ্জনের তত্ত্ববীক্ষাবিশ্বে প্রবেশ করতে গেলে তাই স্ফুটার্থ নয়, গূঢ়ার্থকে আশ্রয় করতে হবে। আবেগ ও বৈদগ্ধ্যের মাঝখানে দাঁড়িয়ে অলোকরঞ্জনের গ্রন্থিহীনতার ধরণ ও প্রকাশ আলাদা।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি কবিতার দিকে তাকানো যাক, কবিতাটির নাম ‘বিরোধাভাস’। পোয়েট-পারসোনা প্রথমেই কাকে যেন সতর্ক করে দিচ্ছেন এই বলে,
‘তুমি আমায় বলে দিয়ো না
কী করে তোমার গান গাইতে হবে আমাকে;
আমি হঠাৎ কখন দু’মাত্রা গলা তুলে
সবার সমক্ষে তোমাকে নাজেহাল করে দেব
কখন আমি নিচু খাদে গলা নামিয়ে
তোমাকে অঝোরে কাঁদাব,
তুমি আমায় শিখিয়ে দিয়ো না’।
-অলোকরঞ্জন অতি-স্পষ্ট করে দিচ্ছেন, তাঁর আত্মবিক্ষণ ক্রমে তাকে একক গায়কের নির্জনতার দিকে টেনে নিয়ে যাবে। সমষ্টি চৈতন্যকে তিনি হয়তো উচ্চকন্ঠে অস্বীকার করেন না…অর্থাৎ তাঁর ব্যক্তি-দর্শনের ভিত্তি এতোটাই সুউচ্চ যে এই ‘অস্বীকারের’ কোনও প্রয়োজনই হয় না। তাই তিনি বলতে পারেন,
‘মৃত সমাহিত মহতী জনসভা থেকে
আমি পালিয়ে গিয়ে তোমার মুকুটে পালক গুঁজে দেব,
কখন পালিয়ে যেতে হবে
তুমি আমায় শিখিয়ে দিয়ো না’।
-অভিসন্ধিমূলক আধুনিকতার থেকে দূরে সরে গিয়ে আত্মদীপ জ্বালিয়ে রাখার ‘ঔদ্ধত্য’ তিনি দেখাতে পেরেছিলেন।
প্রাচ্যবিদ্যাচর্চা ও প্রাচ্য-দর্শনের দিকে অলোকরঞ্জনের ঝুঁকে থাকা জীবন-বিচ্ছিন্ন কোনও প্রক্রিয়া নয়। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে আট-লাইনের একটি কবিতার কথা, এই কবিতাটি যতবার পাঠ করি আমি অলোকরঞ্জনকে তপ্ত গান্ডোয়ানা-ভূমির উপর দিয়ে হেঁটে যেতে দেখি – এও এক ভারতযাত্রা। ‘একটি ঘুমের টেরাকোট’য় তিনি লিখছেন,
‘ট্রেন থামল সাহেবগঞ্জে, দাঁড়াল ডান পায়ে।
ট্রেন চলল। থার্ড ক্লাসের মৃণ্ময় কামরায়
দেহাতি সাতজন
একটি ঘুমে স্তব্ধ অসাড় নকশার মতন;
এ ওর কাঁধে হাত রেখেছে, এ ওর আদুল গায়ে
সমবেত একটি ঘুমের কমনীয়তার
গড়েছে এক বৃত্তরেখা, দিগ্বধূর স্তন;
পোড়ামাটির উপর দিয়ে আকাশে রথ যায়’।
-সাহেবগঞ্জ শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে থাকা ‘সাহেব’ ও ‘দেহাতি’ শব্দদুটি দুই মেরুতে অবস্থান করে। কিন্তু স্তব্ধ হয়ে বসে থাকতে হয় যখন অলোকরঞ্জন সাতজন দেহাতির কাঁধে হাত রেখে ঘুমের দৃশ্যটির মধ্যে আবিষ্কার করেন দিগ্বধূর স্তন। এ স্তন মাটির…দেশের। বৃত্তরেখা সূচিত করছে আবহমানকে, এক চক্রবৎ প্রক্রিয়াকে।
অতিমারির সময়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে ঘরে ফিরছে পরিযায়ী শ্রমিকের দল। তাদের কেউ কেউ মুখ থুবড়ে পড়ে থাকছে রাস্তার ধারে, আর উঠতে পারছে না। তাদের কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়ছে রেলের লাইনে আর তাদের ঘুমন্ত শরীরের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে ভারী লোহার চাকা। একটি দেশের মধ্যে ক্রমাগত পিষে যাচ্ছে দেহাতি মানুষ।
অলোকরঞ্জনের এই কবিতাটি সেই কবে লেখা, কিন্তু সার্থক শিল্পতো এমনই। সময়কে ছাপিয়ে গিয়ে সে ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠতে থাকে। এই পোড়ামাটির দেশে, এই পোড়াদেশের উপর দিয়ে রথ যায়। সে রথ কি রাজপুরুষের? নাকি সে রথ সভ্যতার, যার উড়ান শুধু দেখা যায় কিন্তু যার ভিতর ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে ঘুমিয়ে পড়া দেহাতি মানুষগুলিকে নজরে পড়ে না!
দুরধিগম্য নানা প্রতীকে ইন্দ্রিয়জ সংবেদনগুলিকে বুনে রেখে গেলেন অলোকরঞ্জন। তাঁর অতি-পরিচিত চার লাইনের একটি কবিতা যেমন,
‘পড়োশিধরনে হেঁটে যাচ্ছিলাম, শুনতে পেলাম
দরমা বেড়া দেওয়া ঘরে, কে কাকে বলছেঃ
‘পূর্ণেন্দু আমাকে তুমি বাগানের মধ্যে নিয়ে চল
পূর্ণেন্দু, চুম্বন দাও আমাকে, সন্তান না দিয়ে’।
-সান্ধ্যভাষার ‘মায়াকুহক’ পেরিয়ে কী যেন এক বিয়োগাত্মক অথচ তীব্র রিরংসাময় ছায়াচিত্র অভিনীত হয়ে চলেছে দরমাঘেরা ঘরটিতে। নারীর যৌনতার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে থাকা যে সন্তানধারণ সেই সীমানাচাঁদোয়া ভেদ করে লাভার মতো ফুটে উঠছে এক নারীর স্বর – যে চুম্বন চায়, সন্তান না-চেয়ে। কে এই পূর্ণেন্দু, কে এই নারী, কেন তার সন্তানধারণের প্রতিরোধ আমাদের জানা হবে না কোনও দিন। আমরা বারবার অলোকরঞ্জনের কবিতার কাছে ফিরে আসব, দেখব তীব্র রিরংসার ভিতর ঘনিয়ে উঠছে অপার-রহস্য।
সব বড় কবিই প্রথাগত অন্বয় ভেঙে ফেলেন, অলোকরঞ্জন’ও ফেলেছেন।
বাংলা-কবিতাকে এক কুহকভরা জীবন্ত বৈখরী দিয়ে গেলেন অলোকরঞ্জন।
খুব ভালো লাগলো পার্থ দা।
অসম্ভব ভালো লেখা, পার্থজিৎ।
অসামান্য। অনবদ্য।
গভীরতার ঈশ্বরীগন্ডী পেরিয়ে মূর্ত হয়ে ওঠে মানবীঘ্রাণ…অবচেতনের সাথে অবধারিত সংঘাতে কোমল আলাপে দুঃখ মুছে নেয় বাদ্যযন্ত্রটিও…কি আশ্চর্য! অভিমানকেও রাগিনী নাম দিয়ে আমরা বৃথাগর্বে বুঁদ হয়ে যাই সবকিছুই মুষ্টিবদ্…আঙুলের ফাঁক দিয়ে ততক্ষণে গলে যেতে শুরু করেছে সমূহ অর্জন…পার্থ বাবু, আপনার এই গভীর পাঠ শিক্ষিত করে তোলে নবিশকেও…কবিতার চন্দ্রমা পৃথিবী ছাড়িয়ে চলে যায়…মহাকালও এমন অভিজ্ঞতার কাছে শিশুপাঠ্য হাতে নিয়ে বর্ণমালা শিখে নিতে থাকে…অপূর্!
অসামান্য!