
কস্তুরী সেন- এর কবিতা
সমাধির নীচে গান
কতদিন থেকে যায় প্রেম
থেকে যায় মধ্যে মধ্যে বুক কেঁপে ওঠা
সরেজমিন থেকে যায়, কে কী লিখল কবেকার পুরনো মেয়েটি
সমাধির নীচে গান
উপরে পড়েছে ফুল নতুন সম্পর্কশাখা থেকে তার
সেই বাক্য খুঁড়ে খুঁড়ে জেগে ওঠে দেহ…
কতদিন বেঁচে যায় প্রেম
রাঙাবাস বিরতির পর
মরিয়ার মতো ফের ক্লান্তি ঠেলে ঠেলে
উঠে আসে নতুন সন্দেহ…
এই কথা ছাড়া
ভুল হয়ে গেল গান
গরমিল হয়ে গেল নিষাদে রেখাবে?
ঘোর কুয়াশায় সাঁকো উঠছে না দুলে
আমার এ কবিতার ভুলে
সহস্র পথের বাঁকে যেতে যেতে
সেই যে জনমভিটে পাওয়া
চোখে চোখ পড়ামাত্র…
যে তুমি জাদুর কাঠি,
অন্ধকারে নদীটির জলস্পৃষ্ট হাওয়া
ফিকে হয়ে গেছ আজ
ফিকে হয়ে যাবে?
আরও গূঢ় দিন গেলে, গাঢ়তর রাত্রি গেলে আরও
জনাকীর্ণ হয় যদি আরও বেশি যাত্রীপথরেখা
তবু জানো না কি, তুমি আছ এই কথা ছাড়া
আর কিছু বলে না এ লেখা
অন্ধ ধরেছে গান
‘তোকে খুব ভালবাসত’
ভালবাসা কোন পথে অন্ধকারে একা চলে যায়
‘তোকে খুব ভালবাসত’,
তক্তপোষের নীচে দু’খানা চটির মতো
ছেড়ে রেখে এইসব যাওয়া
কবেকার ফুলস্ক্যাপে খঞ্জনী গ্রাম…
হাতের লেখার টাস্ক, ফিরে এসে খাতা দেখে দেব —
বলে যাওয়া
চলে যাওয়া নিজের বিকেলটুকু খুঁজে
চিরদিন কুঞ্জের খাতা জুড়ে তারপর আগমনি গান
‘তোকে খুব ভালবাসত’
ভালবাসা কোন পথে একা গেছে
একা নাকি শরতের রোদে আরও ভিন্ন ভিন্ন ভালবাসা এসে
অনেক দূরের পথে সোনারং রেখেছে মাথায়?
মাথুর
পুরনো প্রেমিকা তার,
মাঝেমধ্যে দেখা হলে কার্যত অন্যায়
তবু সে তো ক্লান্ত মেয়ে,
ঝগড়াঝাটির শেষে মোছেওনি চিবুকের দাগ
ইচ্ছে হয় পাশে বসি
ইচ্ছে হয় পাহাড়ে বেড়াতে যাই, একঘরে থাকি
ভোর হলে ডেকে তুলে বলি
আলো আসছে
আলো এলে চতুর্দিক এক হয়ে যায়…
ঝলকমাত্র
আনন্দবিদ্যুৎ আসে, বলে শোনো
মনে করে দ্যাখো সেই যাত্রাপথ যাত্রাপথ
বলে মনে করো সব
জল মাটি, হেঁটে গেলে-
গাছে গাছে বেজে উঠল তূরীয় মুকুল!
আনন্দবিদ্যুৎ সেই একবার
কালো সে কী প্রগাঢ় পোশাকে ঝুঁকে
দ্যাখালে ঝলকমাত্র কণ্ঠমণি গৌর!
তাকে শুষে নিয়ে হল তো শরীরগাত্রে গান
যা যা বেজেছিল!
আনন্দবিদ্যুৎ এই ছেঁড়াখোঁড়া পাতাগুলি
এবারে পুড়িয়ে ফেলা হোক তবে
সব অন্ধ
সব এই ঘ্রাণে থাকা…
বলো শুধু অসম্ভব
বলো যাও আর পারছ না!
ভালো লাগল
ভালো