
অভিজিৎ দাসকর্মকার –এর কবিতা
এসরাজের ছড় ও মামুন শব্দ
এক
তোমার নিরুত্তর চোখের
সামনে দাঁড়িয়ে আছে
সুস্বাদু হাসি আর ভ্রমরের
অলক্ষ্যে শাণ্ডিল্য মন ক্রমশ
ভেগা আদলে রূপান্তরিত এক
নিভৃত সাহিত্য সন্ধ্যার অম্বঋষি ইচ্ছা
সমস্ত অক্ষর শুদ্ধকল্যাণে বাঁধা, যার
অবয়বে লাল পাড়ের সাথে কনকমঞ্জরী শোভা
সারা শরীরময় জড়িয়ে
তখন ৭:৪৯
তখন বাবুবাগান লেন,অথচ
মল্ল বনস্পতি তখনো এসরাজের ছড়ে
মসগুল
তুমি পুলহের শ্রবণা মুহূর্তের আভায়
নৈর্ঋতে হেলেছ,যেন
নবমীর বংশীখণ্ডসম
লোকাচার এবং যমুনার ছলাৎ জল
আটমাত্রায় এগিয়ে চলেন
গোসাঁই পথের বনানী বাতাসে…
দুই
গোলাকার টিপের আদলে
দাঁড়িয়ে পুনর্বসুর লালিমা,এবং
থরো থরো সাজে
কার্তিকেয় আঁচল,তুমি
কী স্নিগ্ধ উপবাসে শরীরের ক্ষয়
তারপরও নিশ্চুপ তাকিয়ে : লুব্ধক
কবিশব্দ শ্রীমহিমায় আবেগি,অথচ
মল্ল পথের কোজাগরী সন্ধ্যায়
খয়েরি অবয়বে রয়েছে
গোসাঁই বনানীর মঙ্গলময় পূর্ণ জ্যোৎস্না
তোমার গান্ধর্বে ধুনোর সুগন্ধি
আমি তখনো অগুরুতে স্নান করি,আর
মামুন হয়ে ওঠে এক পরিচিত
গণিত
তিন
ত্রবাদুর নজরে কোলাপুরি
নক্সা,আর
হৃদশব্দে নক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্য
ছড়ালে
আমি তাকে যমুনার অবয়ব মনে করি
বনস্পতি বনানীর হাওয়া আস্তে আস্তে
বয়ে চলে গোসাঁই পথের ধ্রুপদী আলপথ ধরে
অক্ষরগুলো কেমন মামুন স্বরে এগিয়ে চলে
যেমন তোমার অগোছালো কুন্তল
চার
তোমার ইমনে রয়েছে দীপান্বিতার আবহ,আর
নক্ষত্রের স্নিগ্ধ অত্যুহার প্লিওনি গন্ধ
সুদূরে বাস করে যে মনন, তার
অবয়ব নিয়ে নদী হয়ে বইছে মাথুর
একটি প্রতিবিম্ব চেয়েছিলাম
একটি সংকেত শুভ্র নির্মল আবহাওয়াও
এখন সবই বনানী
তুমি আদল বলে যে প্রদীপ আচমনে আড়াল দিলে
আজ;
তার লেহনে কবিশব্দ কুলুকুলু বয়ে চলে, আর
পশ্চিম পাড় ক্রমশ অপেক্ষায় বিবর্তিত হয়
তুমি হাসি হাসি থেকো
আলহামদুলিল্লাহ
আমার যাপনময় থাকবে কাফী আর
যমুনাখণ্ড
পাঁচ
আসতে আসতে যে কুন্তল ঘন হয়
কর্ণকুহরের পাশে
তার অবয়বে মিল পাই
লাল সূর্য আর
তোমার থেমে থাকা সময়
তুমি আদরকে পরিমিতির বাইরে রাখলে
সারা শরীরজুড়ে বেড়ে,ওঠে
তোমার নাভির মায় আর
ধানের নবমী শিস
ছয়
যে নীলের আঁচলে
শ্রাবণ,আর
কুন্তল পিঠে তুমি
আরামে বিরাজমান
তার সাথে কথা আমি
অনর্গল বলতে পারি
যদি
আকাশ
পেখম,এবং
তুমি মিশে যাও আত্মার প্রাচীরে


বেশ ভালো লেগেছে আমার। সমস্ত কবিতা জুড়ে এক অচেনা রাগিণীর খেলা!